আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসসাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরতে ইউনেস্কো কর্তৃক ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবস।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হলো জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা বা ইউনেস্কো-ঘোষিত একটি আন্তর্জাতিক দিবস। ১৯৬৬ সালের ২৬ অক্টোব…
আজ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস
সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরতে ইউনেস্কো কর্তৃক ঘোষিত আন্তর্জাতিক দিবস।
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস হলো জাতিসংঘ শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা বা ইউনেস্কো-ঘোষিত একটি আন্তর্জাতিক দিবস। ১৯৬৬ সালের ২৬ অক্টোবর ইউনেস্কোর সাধারণ সম্মেলনের ১৪তম অধিবেশনে ৮ সেপ্টেম্বর তারিখকে “আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস” হিসেবে ঘোষণা করা হয়। ১৯৬৭ সালে প্রথমবারের মতো দিবসটি উদ্যাপিত হয়। দিবসটির লক্ষ্য ব্যক্তি, সম্প্রদায় এবং সমাজের কাছে সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরা। বর্তমানে জাতিসংঘের সকল সদস্য রাষ্ট্র এ দিবসটি উদ্যাপন করে থাকে।
দিবস উদ্যাপনের যৌক্তিকতা :
পৃথিবীর প্রায় ৭৭৫ মিলিয়ন অধিবাসীর ন্যূনতম প্রয়োজনীয় অক্ষরজ্ঞানের অভাব রয়েছে। প্রাপ্তবয়স্ক প্রতি পাঁচ জনে একজন এখনও শিক্ষিত নন এবং এই জনগোষ্ঠীর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশই নারী। বিশ্বের প্রায় ৬০.৭ মিলিয়ন শিশু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত এবং আরও অনেকের শিক্ষায় অনিয়মিত বা শিক্ষা সমাপ্ত হওয়ার আগেই ঝরে পড়ে।
ইউনেস্কোর “সকলের জন্য শিক্ষার বৈশ্বিক নিরীক্ষণ রিপোর্ট (২০০৬)” অনুসারে, অঞ্চলভিত্তিতে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সাক্ষরতার হার সবচেয়ে কম (৫৮.৬%); এরপরেই রয়েছে সাব-সাহারান আফ্রিকা অঞ্চলের অবস্থান (৫৯.৭%)। বিশ্বের সবচেয়ে কম সাক্ষরতার হারের দেশগুলো হলো বুর্কিনা ফাসো (১২.৮%), নাইজার (১৪.৪%) ও মালি (১৯%)। প্রতিবেদনে দেশগুলোর নিরক্ষরতার হারের সাথে চরম দারিদ্র্য এবং নারীদের সামাজিক অবস্থানের সাথে নিরক্ষতার সুস্পষ্ট সম্পর্ক পরিলক্ষিত হয়।
No comments