Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

রাত কাটলেই নতুন অতিথি জন্মগ্রহণ করবে আর সেজন্যই সমস্ত রকমের প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে

রাত কাটলেই নতুন অতিথি জন্মগ্রহণ করবে আর সেজন্যই সমস্ত রকমের প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে।জন্মাষ্টমী কী? এ বছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কততম জন্মাষ্টমী পালিত হবে? জন্মাষ্টমীর উপবাস কত তারিখ? উপবাস কীভাবে করা হবে? পারণ কখন? পারণ মন্ত্র…

 



রাত কাটলেই নতুন অতিথি জন্মগ্রহণ করবে আর সেজন্যই সমস্ত রকমের প্রস্তুতি এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে।

জন্মাষ্টমী কী? এ বছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের কততম জন্মাষ্টমী পালিত হবে? জন্মাষ্টমীর উপবাস কত তারিখ? উপবাস কীভাবে করা হবে? পারণ কখন? পারণ মন্ত্র কী? 

জন্মাষ্টমী হলো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শুভ জন্মতিথি। ভাদ্র মাসের কৃষ্ণপক্ষের অষ্টমী তিথিতে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জন্মগ্রহণ করায় এই তিথিকে ভক্তগণ জন্মাষ্টমী তিথি বলেন।

এই বছর জন্মাষ্টমী হলো ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৯তম জন্মাষ্টমী। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ ১২৫ বছর ধরাধামে অবস্থান করে মাঘ মাসের পূর্ণিমা তিথিতে দেহত্যাগ করেছিলেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যেদিন পৃথিবী ত্যাগ করেন সেই দিনই কলিযুগের সূচনা হয়। সেই দিনটি ছিলো শুক্রবার। বিভিন্ন গবেষকদের হিসাব অনুযায়ী খ্রিষ্টপূর্ব ৩১০১-এ কলিযুগ আরম্ভ হয়। বর্তমান ২০২৩ খ্রিষ্টাব্দ। এই হিসাব অনুযায়ী কলিযুগের বয়স হলো (৩১০১+২০২৩) ৫১২৪ বছর। অর্থাৎ ২০২৩-এর ইংরেজি সালের মাঘী পূর্ণিমা থেকে ৫২৪৯ বছর পূর্বে শ্রীকৃষ্ণের জন্ম হয়। সেজন্য এবছর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৯তম জন্মাষ্টমী।

প্রায় প্রতি বছরই জন্মাষ্টমী পালন নিয়ে অনেকেই দ্বিধায় পড়ে যান। বাংলাদেশে সাধারণত জন্মাষ্টমী দুইটি মতে পালিত হয়ে থাকে। এবছরের জন্মাষ্টমী ১৯শে ও ২০শে ভাদ্র (৬ই ও ৭ই সেপ্টেম্বর) দুই দিনেই পালন করা হবে। মূলত পুরাণাদি শাস্ত্রে দুটি মতভেদ থাকার কারণে এই ভিন্নতা হয়।

স্মার্তমত: স্মার্ত মতের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, আপনি যে তিথির উপবাস করবেন সেই তিথির শুরু থেকেই উপবাস শুরু করতে হবে এবং সেই দিনই ব্রত পালন করতে হবে। অর্থাৎ সপ্তমী স্পর্শা অষ্টমী পালিত হবে। এই বছর ১৯শে ভাদ্র (৬ই সেপ্টেম্বর) রাত ৮টা ৪০ মিনিটের পর অষ্টমী শুরু হবে, এই হিসেবে স্মার্ত মতে জন্মাষ্টমী উপবাস ১৯ ভাদ্র (৬ই সেপ্টেম্বর) পালন করবে।

পারণ: ২০শে ভাদ্র (৭ই সেপ্টেম্বর), দিনের ৩টা ৩৭ মিনিট পর্যন্ত।

গোস্বামী মত: গোস্বামী বা বৈষ্ণব মতের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, তিথি যখন শুরু হবে সেই সময় সূর্যোদয় স্পর্শ করতে হবে। কিংবা সূর্যোদয়ের অন্তত ১ ঘন্টা ৩৬ মিনিট পূর্বে থেকে তিথির স্পর্শ থাকতে হবে। এই হিসেবে গোস্বামী মতে জন্মাষ্টমী উপবাস ২০শে ভাদ্র (৭ই সেপ্টেম্বর)।

পারণ: ২১শে ভাদ্র (৮ই সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টার মধ্যে।

তাহলে এই পরিস্থিতিতে সাধারণ হিন্দু হিসেবে (অর্থাৎ যাদের গুরু নেই) আপনি কোন দিন উপবাস পালন করবেন ?

সূর্যসিদ্ধান্ত অনুসারে বা মোটামুটি বৈদিক সকল মত গুলোই সূর্যোদয়ের সাথে তিথির স্পর্শ হিসেব করেই উপবাস পালন করেন। তাই আপনি ২০শে ভাদ্র (৭ই সেপ্টেম্বর) জন্মাষ্টমীর উপবাস পালন করতে পারেন।

জন্মাষ্টমী পালনের নিয়মাবলী: নারী পুরুষ উভয়ই এই ব্রত পালন করতে পারবেন। জন্মাষ্টমী উপবাসের নিয়ম মূলত একাদশীর মতোই। ব্রতের পূর্বদিন সাত্ত্বিক আহার করে সংযমী হয়ে থাকতে হয়। যেদিন ব্রত করবেন সেদিন উপবাস থেকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পূজার্চনা করবেন। বেদাদি শাস্ত্র বা গীতা ইত্যাদি শাস্ত্রগ্রন্থ পাঠ করতে পারেন। ভগবান শ্রীকৃষ্ণের শতনাম পাঠ করতে পারেন। মূলকথা সম্পূর্ণ দিন পূজার্চনা বা স্বাধ্যায়ের সংস্পর্শে থাকবেন। পারণের দিন অন্ন নিবেদন করে অতিথি ভোজন করিয়ে তারপর নিজে ভোজন করবেন।

পারণ মন্ত্র: সর্ব্বায় সর্ব্বেশ্বরায় সর্ব্বপতয়ে সর্ব্বসম্ভবায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।

পারণ সমাপন মন্ত্র: ভূতায়ভূতেশ্বরায় ভূতপতয়ে ভূতসম্ভবায় গোবিন্দায় নমো নমঃ।

সবাইকে ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ৫২৪৯ তম জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা।


No comments