শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরার আত্মবলিবান দিবসে তাঁর ভিটেতে শ্রদ্ধা জানাতে দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিজেপি
১৮৭০সালের ১৯শে অক্টোবর পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের হোগলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরা। বিবাহিত জীবনের আগে সেখানেই তিনি…
শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরার আত্মবলিবান দিবসে তাঁর ভিটেতে শ্রদ্ধা জানাতে দুই রাজনৈতিক দল তৃণমূল বিজেপি
১৮৭০সালের ১৯শে অক্টোবর পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের হোগলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেছিলেন শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরা। বিবাহিত জীবনের আগে সেখানেই তিনি বড় হয়েছিলেন তারপর তমলুকের আলিনান গ্রামে ১২বছর বয়সে ত্রিলোচন হাজরাকে বিবাহ করেন তিনি। তারপর ১৮বছর বয়সে বিধবা হলেন, দীর্ঘ জীবন কাটানোর পর তিনি সেখান থেকেই ইংরেজের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেন মাতঙ্গিনী হাজরা।
আজকের দিনে এক হাতে শঙ্খ আরেক হাতে দেশের জাতীয় পতাকা নিয়ে ইংরেজদের বন্দুকের নলের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন বীর বীরাঙ্গনা শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরা।
দেশ থেকে ইংরেজদের তাড়াতে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে ১৯৪২সালে ২৯শে সেপ্টেম্বর আত্ম বলিদান দিয়েছিলেন শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরা। পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকের আলিনান গ্রামে শহীদ মাতঙ্গিনী হাজরার বাড়ি। দীর্ঘদিন ধরে সেই বাড়ি থেকেই তিনি ইংরেজদের বিরুদ্ধে লড়াই করে এসেছেন রাস্তায় নেমেছেন দেশ থেকে ইংরেজদের তাড়াতে। যখন তিনি ইংরেজদের বন্দুকের সামনে মুখোমুখি তখন তার এক হাতে ছিল শঙ্খ আরেক হাতে জাতীয় পতাকা। ইংরেজদের গুলির সামনে তিনি বুক পেতে দিয়ে গুলির আঘাতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েছিলেন কিন্তু জাতীয় পতাকা মাটিতে লুটোতে দেননি তিনি। সেই বীর মাতঙ্গিনী হাজরার ব্যবহৃত আসবাব পত্র সংরক্ষণ করে রাখা হয়েছে ওই গ্রামের। আজ আত্ম বলিদান দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে গ্রামের বাড়িতে আসেন দুই রাজনৈতিক দল। একদিকে বিজেপির বিধায়িকা তাপসী মন্ডল শ্রদ্ধা জানান অপরদিকে তৃণমূলের সৌমেন মহাপাত্র তিনিও এসে শ্রদ্ধা জানান।
No comments