পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার শিক্ষক শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন শিক্ষারত্ন সম্মান পাচ্ছেন হলদিয়ার বাবুপুর এগ্রিকালচার হাইস্কুলের শিক্ষক টুরিয়াচাঁদ বাস্কে। পুরস্কার আগেও পেয়েছেন এই সাহিত্যিক- শিক্ষক। তবে ‘শিক্ষারত্নে'র সম…
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়ার শিক্ষক শিক্ষারত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন
শিক্ষারত্ন সম্মান পাচ্ছেন হলদিয়ার বাবুপুর এগ্রিকালচার হাইস্কুলের শিক্ষক টুরিয়াচাঁদ বাস্কে। পুরস্কার আগেও পেয়েছেন এই সাহিত্যিক- শিক্ষক। তবে ‘শিক্ষারত্নে'র সম্মান গর্বের বলে জানিয়েছেন তিনি।
টুরিয়াচাঁদের আদি বাড়ি পশ্চিম মেদিনীপুরের লালগড়ের পানপুরিয়া গ্রামে। তবে কর্মসূত্রে হলদিয়ায় থাকেন তিনি। সাদামাটা জীবন দর্শনে বিশ্বাসী টুরিয়া জানান, ছোটবেলা খুব সংগ্রামের মধ্যে কেটেছে তাঁর জীবন। কিন্তু তিনি স্বপ্ন দেখা বন্ধ করেননি। এ দিন শিক্ষারত্ন পুরস্কারের তালিকায় নিজের নাম দেখে খুশি তিনি।
টুরিয়চাঁদের লেখায় জঙ্গলমহলের কথা এসেছে বারবার। বিশেষ করে হাতি। তাঁর কথায়, “খুব ছোটবেলা থেকে আমরা হাতি দেখে অভ্যস্ত। নব্বইয়ের দশকের গোড়ায় দলমার পাহাড় ফাটানোর সময় থেকেই হাতি আসতে শুরু করল।
এখন হাতি আর মানুষের সংঘাত আমাকে কষ্ট দেয়।” টুরিয়চাঁদ জানান, তাঁর প্রিয় কাব্যগ্রন্থ ‘বাঁচাও সিড অনড় হেঁ’ এবং গল্পগ্রন্থ ‘কাহিনি বাহা মালা' সাওতাঁলি ভাষায় জনপ্রিয় হয়েছে। টুরিয়া জানান, একাধিক বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজে আমার কবিতা ও প্রবন্ধ পড়ানো হয়। ২০০০ সাল থেকে ‘তিরন্দাজ’ ও 'জীউয়ী' নামে দুটি সাঁওতাল ভাষায় পত্রিকা প্রকাশ করে আসছেন তিনি।
আদিবাসী সমাজের অধিকার এবং বঞ্চনার কথাও লেখা হয় এই পত্রিকায়। অবসরের পরে পাকাপাকি লেখায় মন দিতে চান টুরিয়চাঁদ। সাঁওতালি ভাষায় অবদানের জন্য এর আগে “পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনগ্রসর জাতি কল্যাণ দফতরের ‘সাধু রামচাদ মুরমু স্মৃতি পুরস্কার স্বরূপ পেয়েছেন এক লক্ষ টাকা। মাতৃভাষায় তিনি কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, সংকলন, গান, চিঠি-সহ ২৭টি গ্রন্থ রচনা করেছেন। টুরিয়া ‘সারদাপ্রসাদ কিন্তু পুরস্কার' প্রাপকও বটে।
No comments