অবসরের খেলাঘর বেহালপার্ক সাধারণত প্রাকৃতিক অথবা প্রায় প্রাকৃতিক অবস্থায় রক্ষিত একটি সংরক্ষিত স্থান।ভিডিও দেখতে ক্লিক করুনhttps://youtu.be/0IOiI9jwX_8শরীর সুস্থ রাখতে গেলে শরীরের মুক্ত বাতাস শরীরকে সুস্থ করে, সুস্থ থাকতে প্রয়ো…
অবসরের খেলাঘর বেহাল
পার্ক সাধারণত প্রাকৃতিক অথবা প্রায় প্রাকৃতিক অবস্থায় রক্ষিত একটি সংরক্ষিত স্থান।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন
https://youtu.be/0IOiI9jwX_8
শরীর সুস্থ রাখতে গেলে শরীরের মুক্ত বাতাস শরীরকে সুস্থ করে, সুস্থ থাকতে প্রয়োজন হয় মুক্ত বাতাসের । পার্কে যাওয়া মানেই নিজেকে পুনর্জীবিত করতে এবং অপরকে পুনর্জীবিত করাতে সাহায্য করে।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার হলদিয়া পৌরসভা ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে খেলার অবসর নামে একটি পার্ক তৈরি হয়েছিল ২০১২ সালে তৎকালীন বামফ্রন্ট বোর্ড থাকাকালী চেয়ারম্যান ছিলেন তমালিকা পণ্ডা শেঠ উদ্বোধন করেছিলেন পার্কে তৎকালীন পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান নারায়ণ চন্দ্র প্রামানিক।
পার্ক তৈরি হয়েছিল হলদিয়া পৌরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ড ক্ষুদিরাম নগর।
ক্ষুদিরাম নগর মানেই নতুনের আনাগোনা শিল্প শহরে প্রায় বারোটি গ্রামকে তুলে আনা হয়ে বসানো হয়েছিল এই ক্ষুদিরামে, তিলে তিলে তিলোত্তময় হয়েছে হলদিয়ার হৃৎপিণ্ড ক্ষুদিরাম নগর। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ব্যবসা-বাণিজ্যের জন্য বড় বড় প্রতিষ্ঠান বর্তমানে রয়েছে ক্ষুদিরাম নগরে । বিনোদনের জন্য মুক্ত বাতাস কোথা থেকে পাবে সে জন্যই খেলার অবসরে নামে একটি পার্ক তৈরি হয়েছিল।
বর্তমানে সেই পার্কের বেহাল অবস্থা সিস্ট লাইটে স্ট্যান্ড আছে কিন্তু লাইট জ্বলে না। পার্কের ভিতর রাস্তা রয়েছে কিন্তু গাছগাছালি তে ভর্তি , বেঞ্চগুলি রয়েছে ঘাসের ভিতরেই। যে কোন মুহূর্তেই ঘটে যেতে পারে দুর্ঘটনা অব্যবস্থার মধ্যেও কিছু সময় কাটানোর জন্য আবাল বৃদ্ধ বনিতা ৮ থেকে ৮০ মানুষ যান কিছু সময় কাটানোর জন্য ঐ পার্কে।
কিন্তু সন্ধ্যের আগেই বেরিয়ে আসতে হয় পার্ক থেকে সন্ধ্যের সাথে সাথেই অন্ধকারচ্ছন্ন হয়ে যায়। খেলার অবসর এই পার্ক এলাকার মানুষের দাবি বারে বারে পৌরসভায় জানিয়ে কোন কাজ হয়নি। হলদিয়া পৌরসভার প্রশাসক হলদিয়া শিল্পাঞ্চল এলাকায় নতুন করে সংস্কার করছে পার্ক কেনই বা হবে না ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে অবসরের খেলাঘর?
২৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পুলিনবিহারী মন্ডল প্রায় আসি ছুই ছুই তিনি দুঃখ করে বললেন আমরা একটা জায়গায় ছিলাম শিল্পের জন্য জায়গা দিয়ে আমরা নতুন জায়গায় এসেই উঠেছি। অল্প জায়গার মধ্যেই আমাদের থাকতে হয়। বসবার জায়গা নেই তাই পার্কে গিয়ে একটু সময় কাটাতাম কিন্তু সেখানে আলো নেই রাস্তার উপরে ঘাসে ভর্তি বাগান তো দূরের কথা .। বাগানের কোন কাজ হয়নি।
হলদিয়া পৌরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্রাবন্তী শাসমল বললেন ওয়ার্ড এলাকাকে সুন্দরভাবে সাজানোর জন্য প্রায় ৬ কোটি টাকা প্রকল্প জমা দিয়েছিলাম। পৌর বোর্ডে পাস হয়ে রাজ্যে অনুমোদন হয়ে চলে এসেছে। কিন্তু কাজ শুরু হয়নি।
ওয়ার্ডে সিটিগার্ড লিখিত ভাবে পৌরসভায় জানিয়েছেন খেলাঘর অবসরের খেলাঘর অবিলম্বে লাইট ,বিদ্যুৎতিক করার জন্য যা যা দরকার অবিলম্বে করা উচিত।
সূত্রে জানা যায় হলদিয়া পৌরসভা পৌরপ্রশাসক পৌর এলাকার বেশ কয়েকটি পার্কে আধুনিক পার্ক হিসেবে তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছেন বিদ্যাসাগর , সতীশ সামন্ত এবং ভাষা উদ্যান কে লাইট সাউন্ড এবং মিউজিক করার উদ্যোগ নিয়েছেন ।
২৪ নম্বর ওয়ার্ডের এই পার্কে কথা জানাতেই পৌরসভার ফিনান্স অফিসার দুলাল সরকার উদ্যোগী হলেন তিনি বলেন আমরা কাজ করছি, হয়তো সময় লাগবে। কিন্তু পার্ক গুলিকে সৌন্দর্যায়ন করার জন্য পৌর প্রশাসকের নেতৃত্বে যে টিম রয়েছে সেই টিম বোর্ড কাজ করবে।
উদ্যান সংস্কারে উদ্যোগী হল পুরসভা। পুর এলাকায় রয়েছে একাধিক পার্ক বা উদ্যান। বেশিরভাগই বেহাল। কোথাও আলো জ্বলে না। কোথাও পার্কের মধ্যে দোলনা, স্লিপার খারাপ। পুরসভা সূত্রে খবর, পার্কগুলির হাল ফেরানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।
No comments