Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

স্বর্ণশিল্পীদের প্রতি শাখার সদস্যদের মধ্যে সংহতি দিবসের পটভূমিকা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানালেন -মধুসূদন

স্বর্ণশিল্পীদের প্রতি শাখার সদস্যদের মধ্যে সংহতি দিবসের পটভূমিকা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানালেন -মধুসূদন
৯ই আগষ্ট তাৎপর্যস্বর্ণশিল্পের ইতিহাস মন্থন করে উঠে এলাম ৯ই আগষ্টের পটভূমিকার স্মৃতি বিশ্লেষনে | সময়ের ধারায় যাতে স্বর্ণশিল্পের ই…

 


স্বর্ণশিল্পীদের প্রতি শাখার সদস্যদের মধ্যে সংহতি দিবসের পটভূমিকা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানালেন -মধুসূদন


৯ই আগষ্ট তাৎপর্য

স্বর্ণশিল্পের ইতিহাস মন্থন করে উঠে এলাম ৯ই আগষ্টের পটভূমিকার স্মৃতি বিশ্লেষনে | সময়ের ধারায় যাতে স্বর্ণশিল্পের ইতিহাস বিলীন না হয় সে কথা মনে করে এই লেখা, অথবা বলা যায় পুনঃ পর্যালোচনা |১৯৬২ সাল চীনা আক্রমণে ভারত বর্ষ| সীমিত ক্ষমতা নিয়ে চীনাদের সমুচিৎ জবাব দেওয়ার জন্য যুদ্ধ ক্ষেত্রে অবতীর্ন হতে পিছ পা না হয়ে চীনাদের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে লড়াই করে চলেছে ভারতীয় সেনা | আর যুদ্ধের এই আবহে তৎকালীন ভারত সরকার জারি করেন কালা স্বর্ণ আইন | সেই সঙ্গে ঘোষিত হলো স্বর্ণ বন্ড | কিন্তু কারণ দর্সাবার কোন অভিপ্রেত ছিল না কেন্দ্রীয় সরকারের | তাঁদের একমাত্র উদ্দেশ্য জনগণের ব্যবহার্য ও গচ্ছিত সোনা বন্ডের মাধ্যমে সরকারি তোষাখানায় এনে সেই সোনা বিশ্বব্যাঙ্কের (world Bank ) কোষাগারে জমা দিয়ে অর্থ ধার করে যুদ্ধাস্ত্র ক্রয় করা | কিন্তু বিঁধি বাম | এই আত্মহননকারী সরকারি আইন সারা ভারতের জনগন প্রত্যাখ্যান করলেন | তৎকালীন ভারত সরকার ১৯৬৩ সালে রাতের অন্ধকারে শ্রী মোরারজি ভাই দেশাই জারি করলেন অধ্যাদেশ (Ordinance )|  কিন্তু কি সেই আইন! 

আইন করা হলো ১৪ (14 karat ) ক্যারাটের বেশি মানের গহনা তৈরি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ | পুরাতন গহনা ভেঙে ২২ ক্যারাটের গহনা নির্মাণ করা যাবে না | জারি হলো ১৩ নং খাতা ব্যবহার করে প্রতিটি খরিদ্দার / ক্রেতার নাম নথিভুক্ত করা ও তাঁদের দেওয়া সোনা ১৪ ক্যারেট হিসাবে ১৩ নম্বর খাতায় লিপিবদ্ধ করতে হবে | যদি কোনো দোকানে ১৩ নম্বর খাতায় জমা সোনার অতিরিক্ত সোনা পাওয়া যায়, তবে সঙ্গে সঙ্গে সেই দোকান বন্ধ (siz ) করে দেওয়া হবে | গ্রেফতার হবেন শিল্পী ও দোকানদার | এই ছিল সেই কালা আইন | 

ফল স্বরূপ এর বিরুদ্ধে ১৯৬২ সালের ১৮ই নভেম্বর (বাংলা ১লা অগ্ৰহায়ণ) বাংলায় জন্ম নিল বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতি | এর ঢেউ আছড়ে পড়লো সারা ভারতবর্ষে | ১৯৬৩ সালের ১৩ জানুয়ারি  সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে ভূমিষ্ঠ হলো আরও একটি লড়াকু সংগঠন অখিল ভারতীয় স্বর্ণকার সঙ্ঘ | সারা দেশে স্বর্ণশিল্পীদের আন্দোলনের ঢেউ ছড়িয়ে পড়লো কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী / কচ্ছ থেকে কোহিমা | প্রতিটি রাজ্যের প্রদেশ স্বর্ণশিল্পীরা অখিল ভারতীয় স্বর্ণকার সঙ্ঘের ছাতার তলায় এসে সারা ভারত জুড়ে এই কালা আইনের বিরুদ্ধে শুরু করলেন ধৰ্মঘট, অনশন, জেল ভরোর মত আন্দোলন | চললো মিটিং, মিছিল, আর সমাবেশ | বাংলার সুযোগ্য নেতৃত্ব প্রয়াত অনিল বসুর নেতৃত্বে অখিল ভারতীয় স্বর্ণকার সঙ্ঘের প্রথম সাধারণ সম্পাদক সর্দার যশবন্ত সিং দিল্লীর তিনমূর্তি ভবনের সামনে বসলেন আমরণ অনশনে | কালা আইন বাতিলের ও স্বর্ণকারদের কাজের অধিকার ফিরিয়ে দেবার দাবীতে ৯ই আগস্ট ১৯৬৬ সাল ২৬ দিন আমরণ অনশনে বসলেন প্রয়াত অনিল বসু |সারা ভারতে ছড়িয়ে পড়লো সংহতির বার্তা | ভয় পেলো কেন্দ্রীয় সরকার, বাতিল করলেন কালা আইন, কাজ ও কাজের অধিকার / হাতুড়ি ধরার অধিকার ফিরে পেলো সারা ভারতের আপামর স্বর্ণশিল্পী ও ব্যবসায়ীরা |                 

আজ সেই ৯ই আগষ্ট সংহতি দিবস | সারা ভারতের স্বর্ণশিল্পীরা মর্যাদার সঙ্গে দিনটি পালন করে থাকেন | আসুন আমরা সকলে শ্রদ্ধা ও মর্যাদার সঙ্গে দিনটিকে স্মরণ করি |      

স্বর্ণশিল্পীদের কাছে অনুরোধ প্রতি শাখার সদস্যদের মধ্যে সংহতি দিবসের পটভূমিকা ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছেন অখিল ভারতী স্বর্ণকার সঙ্ঘের সভাপতি শ্রী কাশ্মীরা সিং রাজপূত, বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সভাপতি শ্রী কালিদাস কর্মকার/ কার্যকরী সভাপতি শ্রী নিখিল রায়  ও অখিল ভারতীয় ও বঙ্গীয় স্বর্ণশিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক শ্রী টগর চন্দ্র পোদ্দার  তথ্য সংগ্রহ ও অনুলেখন  শ্রী নারায়ণ চন্দ্র বসাক | ( রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও শোভাবাজার, হাটখোলা, বাগবাজার (আংশিক ) শাখার সম্পাদক | অনুপ্রেরণা শ্রী মধুসূদন কুইলা ( রাজ্য সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য ও হলদিয়া শাখার সম্পাদক )|                    ত

No comments