Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কি বিজেপির দখলে?

পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কি বিজেপির দখলে?
ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের নির্দেশ এসেছে গিয়েছে। কিন্তু দিন যত কাছে আসছে, জেলার ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতগুলি নিয়ে চিন্তা বাড়ছে তৃণমূল, বিজেপি– উভয় পক্ষই। কারণ, বোর্ড গঠনের সভায় নিজেদের স…

 



পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কি বিজেপির দখলে?


ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের নির্দেশ এসেছে গিয়েছে। কিন্তু দিন যত কাছে আসছে, জেলার ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতগুলি নিয়ে চিন্তা বাড়ছে তৃণমূল, বিজেপি– উভয় পক্ষই। কারণ, বোর্ড গঠনের সভায় নিজেদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করতে দুই যুযুধান পরস্পরের বিরুদ্ধে আর্থিক প্রলোভন থেকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করছে।

এবারে পঞ্চায়েত ভোটে পূর্ব মেদিনীপুরের ২২৩টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ১৩৭টিতে সংখ্যা গরিষ্ঠতা পেয়েছে তৃণমূল এবং ৬১টি পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি। কংগ্রেস জোট একটি পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে। কিন্তু জেলার বাকি ২৪টি পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে। ওই পঞ্চায়েতগুলির মধ্যে যেখানে অল্প সংখ্যক আসনের ব্যবধান রয়েছে, সেখানে ক্ষমতা দখল করতে তৃণমূল ও বিজেপি তৎপরতা দেখাচ্ছে। তমলুক ব্লকের অনন্তপুর-১, পদুমপুর-১, বিষ্ণুবাড় -২ পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু অবস্থায় রয়েছে। একই অবস্থা শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের বল্লুক-১, ২, রঘুনাথপুর-২ এবং শান্তিপুর-২ পঞ্চায়েতে। নন্দকুমার, চণ্ডীপুর, নন্দীগ্রাম-১, ২, মহিষাদল ও সুতাহাটা ব্লকেও একাধিক পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু বা অল্প সংখ্যক আসনের ব্যবধানে রয়েছে। ওই সমস্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের ক্ষমতা দখল করতে তৃণমূল ও বিজেপির নেতৃত্ব নির্দল এবং বিপক্ষ দলের সদস্যদের সমর্থন পাওয়ার জন্য চেষ্টা চালাচ্ছেন। এমন পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনের সভার আগেই দলের সমস্ত সদস্য-সদস্যাদের নিজেদের শিবিরে ধরে রাখতেও সতর্কতামূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা নিয়েছেন তৃণমূল ও বিজেপির নেতৃত্ব।

বিজেপির নব নির্বাচিত সদস্য- সদস্যাদের শিবির বদল ঠেকাতে তাঁদের গতিবিধির উপরে দলীয় ভাবে নজরদারি চালানো হচ্ছে। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “জেলার অনেক গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকা সত্ত্বেও তৃণমূল ক্ষমতা দখল জন্য আমাদের দলের সদস্যদের আর্থিক প্রলোভন দিচ্ছে। নানাভাবে হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাই নবনির্বাচিত সদস্যদের দলীয়ভাবে নজরদারিতে রাখা হয়েছে।”

আগামী ৯ থেকে ১১ অগস্টের মধ্যে জেলার বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠনের সভা হবে। তার আগে সতর্ক তৃণমূলও। বিজেপির তোলা এমন অভিযোগ অস্বীকার করে তৃণমূলের তমলুক সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সৌমেন মহাপাত্র বলেন, "বেশিরভাগ গ্রাম পঞ্চায়েতেই আমাদের সংখ্যা গরিষ্ঠতা রয়েছে। ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতগুলিতে যেখানে বামফ্রন্ট সদস্যরা ফ্যাক্টর, সেখানে জেলা বামফ্রন্ট নেতৃত্ব বোর্ড গঠনে কাউকে সমর্থন না করার কথা ঘোষণা করেছেন। বামফ্রন্ট নেতৃত্ব ওই সিদ্ধান্ত বজায় রাখলে আমাদের লাভ হবে। তবে অধিকাংশ ত্রিশঙ্কু পঞ্চায়েতেই আমাদের বোর্ড হবে। তাই ক্ষমতা দখলের জন্য বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্যদের আর্থিক প্রলোভন বা হুমকি। দেওয়ার অভিযোগ ভিত্তিহীন।”

No comments