Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

চাঁদের মাটিতে পা পড়বে চন্দ্রযান ৩-র বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রাভিযানের নজির গড়বে ভারত

চাঁদের মাটিতে পা পড়বে চন্দ্রযান ৩-র বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রাভিযানের নজির গড়বে ভারত ২টো ৩৫ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে  অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান৩ উৎক্ষেপণ করেন ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ISR…

 


চাঁদের মাটিতে পা পড়বে চন্দ্রযান ৩-র বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রাভিযানের নজির গড়বে ভারত

 ২টো ৩৫ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে  অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটা সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে চন্দ্রযান৩ উৎক্ষেপণ করেন ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ISRO। সেই মুহূর্তের জন্য অপেক্ষা করেছিল পুরো দেশ। 'বাহুবলী' লঞ্চ ভেহিকেল মার্ক-৩ (LMV3) M4 রকেটের পিঠে করে চাঁদের উদ্দেশে রওনা দিল ল্যান্ডার এবং রোভার-সহ চন্দ্রযান-৩। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৩ অগস্ট চাঁদের মাটিতে পা পড়বে চন্দ্রযান ৩-র।আর সেই স্বপ্ন সত্যি হলে বিশ্বের চতুর্থ দেশ হিসেবে চন্দ্রাভিযানের নজির গড়বে ভারত (আমেরিকা, পূর্বতন সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং চিন)।শুধু তাই নয়, পুরো বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে পৌঁছে ভারত ইতিহাস গড়ে ফেলবে।তাই এক ঐতিহাসিক মহাকাশযাত্রার অপেক্ষায় শুরু হয়েছে কাউন্টডাউন। সেই মুহূর্তের সাক্ষী থাকার জন্য অনেকেই উদগ্রীব।ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ISRO এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট এবং বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে চন্দ্রযান ৩-র উৎক্ষেপণের লাইভ সম্প্রচার দেখা গেল।

বিগত অভিযানের ভুল-ত্রুটি শুধরে ফের চাঁদে পাড়ি দিল ভারত। শুক্রবার ১৪ ই জুলাই ২০২৩ ঠিক দুপুর ২টো ৩৫মিনিটে ভারতীয় ‘বাহুবলী’র কাঁধে চেপে শ্রীহরিকোটা থেকে চাঁদের উদ্দেশে পাড়ি দিল চন্দ্রযান ৩। এলভিএম৩-এম৪ রকেটটিকে বাহুবলী নামেও ডাকেন বিজ্ঞানীরা। সফল উৎক্ষেপণের ১৬ মিনিটের মধ্যেই চন্দ্রযান ৩ বাহুবলীর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পৃথিবীর পাশে প্রাথমিক কক্ষপথে প্রবেশ করে। সেখান থেকে পাক খেতে খেতেই ৫ আগস্ট চাঁদের কক্ষপথে ঢুকবে সেটি। তারপরে চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ১০০ কিমি উপরে থাকা অবস্থায় প্রপালশন মডিউল থেকে ল্যান্ডারটি ২৩-২৪ আগস্ট চাঁদের মাটি ছোঁবে। তাই সেদিকেই এখন সকলের নজর এটা বারবার বিজ্ঞানীদের গলাতে শোনা যায়। এদিন উৎক্ষেপণ সফলের কথা জানিয়েছেন, ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর চেয়ারম্যান এস সোমনাথ। এবারের চন্দ্রাভিযান নিয়ে প্রচুর প্রত্যাশা বিজ্ঞানীদের। চন্দ্রযান ২ অভিযানে বিক্রম ল্যান্ডারে ত্রুটির কারণে যানটির সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় ইসরোর। ফলে আসল উদ্দেশ্যই মাটি হয়েছিল। এবার তাই বিশেষ করে ‘সফট ল্যান্ডিং’-এর উপরে জোর দিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। উন্নত ল্যান্ডিং প্রযুক্তির জন্য দেশের বিভিন্ন স্তরের বিজ্ঞানী ও গবেষকদের সাহায্য নিয়েছিলেন তাঁরা। এদিন, উৎক্ষেপণ সফল হওয়ার পর সেকথাই শোনা গেল ইসরোর চেয়ারম্যান থেকে অন্যান্য বিজ্ঞানী সকলের কথাতেই। অন্যদিকে, এদিন অভিযানের সাফল্য নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জিতেন্দ্র সিংয়ের গলাতে সেই প্রধানমন্ত্রীর আত্মনির্ভর ভারতের প্রচারের কথাই শোনা গেল। ইসরোর চেয়ারম্যান এদিন বলেন, এলভিএম৩ ফের প্রমাণ করল যে এই মুহূর্তে ইসরোর সবচেয়ে ভরসাযোগ্য হেভি লিফট ভেহিকল এটিই। আরও বেশি করে উপগ্রহ পাঠানোর কাজে এই রকেটটিকেই ব্যবহার করা হবে। প্রসঙ্গত, আগে প্রায় ১৮ তলা বাড়ির সমান উঁচু ৬৪০ টনের এই রকেটটির নাম ছিল জিএসএলভি এমকে৩। চাঁদে স্বয়ংক্রিয় মহাকাশযান (রোভার) সফলভাবে পরিচালনা করতে পারলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সাবেক সোভিয়েত রাশিয়া এবং চীনের পরে চতুর্থ দেশ হিসেবে বিরল কৃতিত্বের অধিকারী হবে ভারত। ২০০৮ সালে চন্দ্রযান ১ অভিযানে সফলভাবে চাঁদের কক্ষপথে উপগ্রহ স্থাপন করেছিল ভারত। চাঁদকে প্রদক্ষিণ করে তা বহু অমূল্য তথ্য পাঠায় যাতে উপকৃত হয়েছিলেন গোটা বিশ্বের মহাকাশ বিজ্ঞানীরাই। বিশেষ করে অতীতে চন্দ্রপৃষ্ঠে জলের অস্তিত্ব ছিল, তা নিয়ে উল্লেখযোগ্য প্রমাণ দিয়েছিল চন্দ্রযান ১। এদিনে রকেট উৎক্ষেপণের দায়িত্বে ছিলেন অসমের তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তনী বিজ্ঞানী চয়ন দত্ত। তিনি ডিপার্টপেন্ট অব স্পেসের ইউ এন রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের বিজ্ঞানী তথা ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। গোটা প্রকল্পের উপ-অধিকর্তা হিসেবে তিনি চন্দ্রযান ৩-এর ল্যান্ডারটির অন বোর্ড কম্যান্ড টেলিমেট্রি, ডেটা হ্যান্ডলিং এবং স্টোরেজ সিস্টেমের দায়িত্বে থাকবেন। আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, চন্দ্রযানের ল্যান্ডার অর্থাৎ  বিক্রম চন্দ্রপৃষ্ঠের দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করবে। কেন বাছা হল দক্ষিণ মেরু? বিজ্ঞানীরা বলছেন, চাঁদের এই অংশটিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন এলাকা বলা হয়। তাই এই অংশেই সর্বপ্রথম আইস ওয়াটার থাকার সম্ভাবনা দেখতে পাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। কিন্তু এতদিন প্রযুক্তিগত কারণের জন্যই চাঁদের ওই অঞ্চলে কেউ পৌঁছতে পারেনি। কাজেই ভারত যদি সেই জায়গায় পৌঁছতে পারে, বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ভারতের কাছে বিরাট মাইলস্টোন হবে।

No comments