অল্পের জন্য রক্ষা পেল ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে বহু যাত্রী। মেদিনীপুর থেকে হাওড়া গামী ডাউন খড়্গপুর স্টেশনে ঢোকার মুখেই বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। ট্রেনের একূ বগি লাইনচ্যুত হলেও অল্পের জন্য রক্ষা পেল বড় দুর্ঘটনা থেকে।গত কয়েকদিন আগ…
অল্পের জন্য রক্ষা পেল ট্রেন দুর্ঘটনা থেকে বহু যাত্রী। মেদিনীপুর থেকে হাওড়া গামী ডাউন খড়্গপুর স্টেশনে ঢোকার মুখেই বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো। ট্রেনের একূ বগি লাইনচ্যুত হলেও অল্পের জন্য রক্ষা পেল বড় দুর্ঘটনা থেকে।
গত কয়েকদিন আগেই ঘটে গেছে বড় ধরনের ট্রেন দুর্ঘটনা উড়িষ্যার । ট্রেন দুর্ঘটনায় কয়েকশো মানুষ মারা গেছেন শোকাহত দেশবাসী তারই মধ্যে আবার এই দুর্ঘটনা ঘটলে মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়তেন । ট্রেন দুর্ঘটনা বারে বারে এই ধরনের ঘটছে কেন সেই নিয়েও মানুষের মধ্যে চর্চা শুরু হয়েছে।
খড়গপুর স্টেশনে ঢোকার মুখেই লাইন চ্যুত মেদিনীপুর হাওড়া ডাউন লোকাল ট্রৈনের ১ টি বগি।
তাহলে কি সিঙ্গেল সমস্যা হচ্ছে?
কখনও কি রেলের সিগন্যাল নিয়ে মাথা ঘামিয়েছি? লাল, হলুদ, সবুজ— একাধিক সিগন্যালের একেক রকম অর্থ। আবার হলুদ সিগন্যাল একটা নয়, দুটো। ওয়ান ইয়েলো ও ডাবল ইয়েলো। দুই সিগন্যালের অর্থও আলাদা। ট্রেনের চালক ও সহ-চালক উভয়কেই অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে এদিকে খেয়াল রাখতে হয়। প্রথমেই আসা যাক ‘গ্রিন’ বা সবুজ সিগন্যালের প্রসঙ্গে। এর অর্থ একটিই। তা হল, সামনের রেলপথ ক্লিয়ার আছে। নির্ধারিত সীমার মধ্যে ট্রেন এগিয়ে নিয়ে যান। এরপরেই আসে ‘ডাবল ইয়েল’ কিংবা দুটো হলুদ সিগন্যাল। এর অর্থ, ‘অ্যাটেনশন’। তীব্র গতিতে ছুটে আসা ট্রেনের চালককে গতি কমানোর নির্দেশ দেয় এই সিগন্যাল। এরপরই আসে ‘ওয়ান ইয়েলো’ ও ‘রেড’ সিগন্যাল। একবার হলুদ সিগন্যাল মানে ‘কশন’। অর্থাৎ, ট্রেনের গতি কমিয়ে থামানোর প্রস্তুতি নিন। শেষে রেড বা লাল। ‘স্টপ’। তবে, রেল কর্তাদের মত, ডাবল ইয়েলোর পর সবসময়ই ওয়ান ইয়েলো সিগন্যাল নাও দেওয়া হতে পারে। যদি দু’বার হলুদ সিগন্যালের পর দেখা যায় যে, সামনের রাস্তা ক্লিয়ার, তাহলে সবুজ সঙ্কেতই পাবেন চালক। কিন্তু ডাবল ইয়েলোর পর ওয়ান ইয়েলো এলে পরবর্তীতে অবশ্যম্ভাবী লাল সঙ্কেতই পাবেন ট্রেনের চালক ও সহ-চালক। আবার নিজেরা শুধু সিগন্যাল দেখলেই হয় না, ক্রমাগত নিজেদের মধ্যে সংযোগ রক্ষা করে চলতে হয় রেলকর্মীদের। যার পোশাকি নাম ‘কলিং আউট অব সিগন্যাল’। কোনও স্টেশনে ঢোকা এবং বেরনোর মুখে যথাক্রমে ‘হোম’ ও ‘ডিস্ট্যান্স’ সিগন্যাল থাকে। হোম সিগন্যাল নিশ্চিত করে কোন প্ল্যাটফর্মে ট্রেন ঢুকবে। ডিস্ট্যান্স বলে দেয় স্টেশন থেকে বেরিয়ে কোন লাইনে উঠতে হবে।
No comments