Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দীর্ঘ দেড় মাস পর থাইল্যান্ড থেকে মৃতদেহ এল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়

দীর্ঘ দেড় মাস পর থাইল্যান্ড থেকে মৃতদেহ এল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়দীর্ঘ দেড় মাস পর থাইল্যান্ড থেকে মৃতদেহ এল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরের বারাঙ্গা গ্রামে। আর এই মৃতদেহ আনার জন্য যাকে পরিবারের লোক কৃতজ্ঞতা জানালো তিনি হলেন কাঁথ…

 






দীর্ঘ দেড় মাস পর থাইল্যান্ড থেকে মৃতদেহ এল পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়

দীর্ঘ দেড় মাস পর থাইল্যান্ড থেকে মৃতদেহ এল পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রামনগরের বারাঙ্গা গ্রামে। আর এই মৃতদেহ আনার জন্য যাকে পরিবারের লোক কৃতজ্ঞতা জানালো তিনি হলেন কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারী। 

এই মৃতদেহ পেয়ে পরিবারের লোকেরা যেমন কান্নায় ভেঙে পড়লেন তেমনি কৃতজ্ঞতা জানালেন সাংসদ শিশির 

অধিকারীকে। সময় পেলে শিশির অধিকারীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আসবেন বলেও জানালেন পরিবারের লোকজন-সহ পরিজনেরা।

মৃত শেখ সাইদের শশুর জয়নাল খান  তার একমাত্র জামাই শেখ সায়েদ গত ২৮  মার্চ ২ এজেন্ট আশিস এবং লালচাঁদ সঙ্গে থাইল্যান্ড যান কাজ করার উদ্দেশ্যে। সেখানে গিয়ে দু-একদিনের পর ৩০শা মার্চ বাড়ির লোকের কাছে খবর আছে তিনি মারা গেছেন এরপরেই পরিবারের লোকের সন্দেহ হয়।। তারপরে তারা ওই দুই এজেন্ট এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে এবং তার জামাইয়ের মৃতদেহ বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে পরিবারের লোকজন। ওই মৃতদেহ আনার জন্য পরিবারের কাছ থেকে তারা তিন লক্ষ টাকা চায়। এরপরে তার জামাইয়ের মৃতদেহ ফিরে পাওয়ার জন্য প্রত্যেক জনপ্রতিনিধির দ্বারে দ্বারে পৌঁছান এবং কান্নায় ভেঙে পড়েন কেউ তার কথায় কর্ণপাত করেননি। এমন কি  রাজ্যের মন্ত্রী অখিল গিরির কাছেও দ্বারস্থ হয়েছিলেন বলে জানান জয়নাল বাবু। বারবার তাকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। কোন জনপ্রতিনিধি তাকে সাহায্য করেননি বলে জানিয়েছেন জয়নালবাবু। তিনি নিজেই এলাকায় একজন তৃণমূল কর্মী বলেও দাবি করেছেন। শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে তিনি সাংসদ শিশির অধিকারীর দ্বারস্থ হন। সংসদ শিশির অধিকারী ও রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর সহযোগিতায় এবং এক হাজী সাহেবের সহযোগিতায় বিদেশ দপ্তরের সঙ্গে কথা বলে দীর্ঘ দেড় মাস পরে তার পরিবারের হাতে মৃতদেহ তুলে দেওয়া হয়। এদিন কলকাতা বিমানবন্দর থেকে সায়েদের মৃতদেহ রামনগরের বাড়িতে এসে পৌঁছায় । মৃতদেহ পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্যান্য লোকজনরা। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন গৌতম জানা তিনি পরিবারের লোকজনদেরকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। জয়নাল বাবু বলেন, সাংসদ  শিশিরবাবু না হলে আমি আমার জামাইয়ের মৃতদেহ ফিরে পেতাম না। তাই তার কাছে আমি কৃতজ্ঞ সেই সঙ্গে তিনি আমাকে পাঁচ হাজার টাকাও সাহায্য করেছেন। সময় পেলে তার বাড়িতে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে আসব। তবে এই ঘটনায় স্থানীয় এলাকায় নেমে এসেছে গভীর শোকের ছায়া। 


No comments