বৃদ্ধের বার্ধক্য ভাতা চালু করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ

পূর্ব বর্ধমানের বৃদ্ধের বার্ধক্য ভাতা চালু করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একজন নবতিপর বৃদ্ধ অভিযোগ করে জানান, তিনি বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছন না। তৃণমূল…

 

পূর্ব বর্ধমানের বৃদ্ধের বার্ধক্য ভাতা চালু করতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগ

সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে একজন নবতিপর বৃদ্ধ অভিযোগ করে জানান, তিনি বার্ধক্য ভাতা পাচ্ছন না। তৃণমূলে নব জোয়ার প্রচার কর্মসূচির গুরুত্বপূর্ণ অংশ জন সংযোগ যাত্রার আওতায় রবিবার পূর্ব বর্ধমানের রায়না-২ নম্বর ব্লকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় যখন জন সংযোগ চালাচ্ছিলেন, তখনই এই ঘটনাটি ঘটে।

একটুও সময় নষ্ট না করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হন এবং ওই বৃদ্ধের ফোন নম্বর ও ঠিকানা নথিবদ্ধ করে তাঁকে প্রতিশ্রুতি দেন, আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই তিনি বার্ধক্য ভাতার টাকা হাতে পেয়ে যাবেন। এই সহযোগিতার জন্য ওই বৃদ্ধ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিজেদের মধ্যে পেয়ে উচ্ছ্বসিত ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁদের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিজেপি উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বাংলার মানুষকে বঞ্চিত করছে। তারা আমাদের প্রাপ্য ১ লক্ষ ১৫ হাজার কোটি টাকা বকেয়া রেখে দিয়েছে। যদি তারা এই টাকা দিয়ে দেয়, তাহলে যোগ্য উপভোক্তাদের মধ্যে কেউ তাঁর প্রয়োজনীয় জনকল্যাণমুখী প্রকল্পগুলির সুবিধা লাভ করা থেকে আর বঞ্চিত থাকবেন না। রাস্তা এবং পানীয় জল সংক্রান্ত সমস্ত সমস্যা মিটে যাবে। বিজেপির দমনমূলক আচরণের প্রতিবাদে আমরা রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছি এবং এক্ষেত্রে তৃণমূলস্তরের মানুষই প্রধান ভূমিকা পালন করেছেন।’’

জেলায় এই কর্মসূচির তৃতীয় দিনের শুরুটা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় করেছিলেন রায়নায় রাসবিহারী বসুর মূর্তিতে মাল্যদান করে। পরবর্তীতে তিনি একাধিক রোড শো, জনসভা এবং অধিবেশন কর্মসূচি পালন করেন। আজ, এই যাত্রা ২০তম দিন পূর্ণ করল। এদিন জননেতার সাক্ষাৎ পেতে রাস্তায় জন জোয়ার নেমেছিল। 

ড্রাম বাজানো থেকে শুরু করে সব বয়সের মানুষের সঙ্গে আলাপচারিতা, বিশেষ করে শিশুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের অভাব-অভিযোগ শোনা, এক মুহূর্তের জন্যও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এই প্রচার কর্মসূচির মুখ্য উদ্দেশ্য থেকে সরে আসেননি। সেই মুখ্য উদ্দেশ্য হল, তৃণমূলস্তরের মানুষকে শক্তিশালী করে তোলা। কেন্দ্রীয় সরকার যেভাবে প্রাপ্য অর্থ আটকে রেখে বাংলার উন্নয়নে বাধা সৃষ্টি করে চলেছে, সেই সম্পর্কেও মানুষকে অবহিত করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।