প্রশাসনের ‘চাপে' ফের নিয়োগ-প্যানেল বাতিল
হলদিয়ার কারখানায় নিয়ম ভেঙে শ্রমিক নিয়োগের অভিযোগ অব্যাহত। সরকারি পোর্টালের দ্বারা শ্রমিক নিয়োগ না করায় জেলা প্রশাসনের ‘চাপে’ ফের একটি কারখানায় নিয়োগ করা শ্রমিক প্যানেল বাতিল কর…
প্রশাসনের ‘চাপে' ফের নিয়োগ-প্যানেল বাতিল
হলদিয়ার কারখানায় নিয়ম ভেঙে শ্রমিক নিয়োগের অভিযোগ অব্যাহত। সরকারি পোর্টালের দ্বারা শ্রমিক নিয়োগ না করায় জেলা প্রশাসনের ‘চাপে’ ফের একটি কারখানায় নিয়োগ করা শ্রমিক প্যানেল বাতিল করা হল।
হলদিয়া শিল্পাঞ্চলে বেসরকারি কারখানাগুলোতে অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে পোর্টাল তৈরি করেছে জেলা প্রশাসন। গত জুনে সেটি চালুর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। অনিয়ম, দূর্নীতি এবং নিয়োগ সংক্রান্ত সমস্যাকে কেন্দ্র করে শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ও শিল্পাঞ্চলে অশান্তি এড়ানোর জন্যই এই ব্যবস্থা। কারণ, অনেক ক্ষেত্রেই এই লোক নিয়োগের মাধ্যমে গরীব শ্রমিকদের কাছ থেকে টাকা আদায়ের অভিযোগ আসছিল। সব মিলিয়ে আশা করা হয়, পোর্টাল চালু হওয়ায় নিয়োগে স্বচ্ছতা বজায় থাকবে। জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, কয়েকদিন আগে একটি বেসরকারি কারখানায় ১৭ জনকে নিয়োগ করেন এক ঠিকাদার। আর সেটির জন্য পোর্টাল ব্যবহার করা হয়নি। এ নিয়ে মহকুমা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে। মহকুমা প্রশাসন থেকে নিয়োগ সম্পর্কিত তথ্য জানতে চাওয়ার পরেই প্যানেল বাতিল করেন ঠিকাদার অরূপ প্রামাণিক।
নিয়োগের কথা স্বীকার করে অরূপ বলেন, "কারখানাতে আমার কয়েকজন শ্রমিকের প্রয়োজন ছিল। স্থানীয় নেতাদের মাধ্যমে কয়েকজন বেকার যুবকদের কাজে ঢুকিয়ে দিই। তবে সে জন্য পোর্টাল ব্যবহার করা হয়নি। প্রশাসন জানতে পেরে নিয়োগ বাতিলের নির্দেশ দিয়েছে। প্রশাসনের নির্দেশ মতো ১৭ জনেরই নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছি।” এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিক বলেন, “আমরা ঘটনাটি সম্পর্কে অবহিত। তবে এ নিয়ে আমাদের কোনও ব্যবস্থা নিতে হয়নি। ওই ঠিকাদার নিজেই নিজের নিয়োগ বাতিল করে দিয়েছেন।"
মাসখানেক আগে হলদিয়ার একটি রাষ্ট্রায়ত্ত কারখানায় একটি ঠিকাদারি সংস্থা ২২ জন শ্রমিক নিয়োগ করে। পোর্টালের পদ্ধতিগত ত্রুটিতে নিয়োগ, হয়েছে জানার পরই সেই নিয়োগ বাতিল করে জেলা প্রশাসন। ফের একই ঘটনা ঘটায় বিজেপি প্রভাবিক ভারতীয় মজদুর সঙ্ঘের (বিএমএস) রাজ্যের সহ-সভাপতি প্রদীপ বিজলী কটাক্ষ করে বলেন, “২০১১ সালের পর থেকে কারখানাতে লোক ঢোকানোর মৌরসী পাট্টা নিয়ে বসে ছিল তৃণমূলের নেতারা। হঠাৎ সেই অভ্যাস ছাড়তে কষ্ট হচ্ছে ওদের।” এ ব্যাপারে আইএনটিটিইউসির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি চন্দন দে অবশ্য বলছেন, “বিষয়টি জানা নেই। খোঁজ নিয়ে দেখব।"
No comments