বয়স্কদের ভাতা বন্ধ পৌর এলাকায়দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে পুরসভার তরফে মিলছে না বয়স্কদের জন্য ভাতা। এতে হলদিয়া পুরসভায় ওই পরিষেবার উপভোক্তারা সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ। পুরসভার ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে পুরসভা জানাচ্ছে, বহু ক্ষ…
বয়স্কদের ভাতা বন্ধ পৌর এলাকায়
দীর্ঘ কয়েক মাস ধরে পুরসভার তরফে মিলছে না বয়স্কদের জন্য ভাতা। এতে হলদিয়া পুরসভায় ওই পরিষেবার উপভোক্তারা সমস্যায় পড়ছেন বলে অভিযোগ। পুরসভার ভূমিকা নিয়েও উঠছে প্রশ্ন। তবে পুরসভা জানাচ্ছে, বহু ক্ষেত্রে একই উপভোক্তা রাজ্য সরকারের তরফে দেওয়া বার্ধক্য ভাতা এবং পুরসভার বয়স্ক ভাতা পাচ্ছেন। তাই ওই উপভোক্তাদের চিহ্নিত করার প্রক্রিয়া চলছিল। সেই কাজে সময় লাগছে বলেই ভাতা দিতে দেরি হচ্ছে। হলদিয়া পুরসভা সূত্রের খবর,
গোটা পুর এলাকা জুড়ে প্রায় হাজার চারেক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাকে পুরসভার তরফে একটি ভাতা দেওয়া হয়। তাতে উপভোক্তারা প্রতি মাসে ২৫০ টাকা করে পান। বহু দুঃস্থ পরিবার ওই ভাতার উপরে নির্ভর করেন। অভিযোগ, গত ন'মাস ধরে ওই ভাতা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। এতে ফলে বিপাকে পড়েছেন তাঁরা। আর ভাতা ফের চালু করতে পুরসভা উদ্যোগীও হচ্ছেন না। বলে অভিযোগ। দীর্ঘ দিন ধরে ভাতা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই আর্থিক দৈন্যদশা দেখা দিয়েছে। হলদিয়ার ২ নম্বর ওয়ার্ডের ধনবেড়িয়া এলাকার বাসিন্দার লক্ষ্মীকান্ত ঘাঁটি বলেন, “সামান্য টাকা ভাতা হিসাবে দেওয়া হয়। বয়স কালে ওটুকুই বিভিন্ন হাত খরচের কাজে লেগে যায়। এখন সেই টাকাও বন্ধ হয়ে গিয়েছে।”
পুরসভা সূত্রে খবর, অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে একই রকম দুটি প্রকল্পে একই ব্যক্তি দু'বার করে ভাতা পাচ্ছেন। নিয়ম অনুযায়ী এক ব্যক্তি একটি ভাতার সুবিধাই পেতে পারেন। সে ক্ষেত্রে উপভোক্তাদের নতুন করে তালিকা তৈরির কাজ চলছে। সেই ‘স্ক্রুটিনি' করতেই সময় লেগে যাচ্ছে। আবার অনেক প্রাপকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট না থাকতে সমস্যা তৈরি হয়ছে। ওই বিষয়টি মিটে গেলেই প্রাপকরা তাঁদের প্রাপ্য অর্থ পেয়ে যাবেন। হলদিয়ার পুরপ্রশাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, “স্ক্রটিনির কাজ চলছে। যাদের যা পাওনা, তাঁরা ওই কাজ শেষ হয়ে গেলেই পেয়ে যাবেন।”
No comments