হাসপাতালে এসি বিভ্রাটে ভোগান্তি
এসি বিভ্রাটে নাজেহাল হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল। প্রশ্নের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই একাধিক বিভাগে পরিষেবা দিতে বাধ্য হচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।হাসপাতাল সূত্রে খবর, …
হাসপাতালে এসি বিভ্রাটে ভোগান্তি
এসি বিভ্রাটে নাজেহাল হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল। প্রশ্নের মুখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের ভূমিকা। প্রচণ্ড গরমের মধ্যেই একাধিক বিভাগে পরিষেবা দিতে বাধ্য হচ্ছেন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালের প্রায় ১৩ টি বাতানুকুল যন্ত্র বেশ কয়েক ঠান্ডাঘরে বসে রয়েছে। মাস ধরেই বিকল। রেডিওলজি, প্যাথলজি, ইএনটি এমনকি জরুরি বিভাগ থেকে শুরু করে একাধিক বিভাগে এসি কাজ করছে না। পূর্ত দফতরের তরফে এসি মেশিনগুলি মেরামতের জন্য প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকা প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে। তবে টাকা আসবে কোথা থেকে সেই সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বুধবার হাসপাতালের এসি মেরামত নিয়ে বৈঠক হয়। বৈঠকে হাসপাতালে সুপার ও চিকিৎসক ছাড়া উপস্থিত ছিলেন জেলা স্বাস্থ্য আধিকারিক।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, প্রধানত এসি মেশিন থেকে বেশ কিছু যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে গিয়েছে। ফলে এই হাঁসফাঁস, গরমে এসি ছাড়াই সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিতে হচ্ছে স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসকদের। তবে অভিযোগ, নন মেডিক্যাল পদে যারা রয়েছেন অর্থাৎ যাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ হিসেবে চিহ্নিত করা হয় সেই অ্যাসিস্ট্যান্ট সুপারের রুমের এসি কিন্তু সচল রয়েছে। চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, যাঁরা মূলত সাধারণ মানুষকে পরিষেবা দিয়ে থাকেন। রোগী দেখেন তাঁদের গরমে নাজেহাল হতে হচ্ছে। আর যাদের ঘরে দিনে ৫ জন লোকও ঢোকে না। তারা
এই বিষয়ে হাসপাতালের সুপার সুভাষ মাহাতোকে ফোন করা হলে তিনি ফোন কেটে দেন। ইতিমধ্যেই চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুরের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বিভাস রায় বলেন, “হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে রোগী কল্যাণ সমিতির কাছে পাঠাতে ফাইল পাঠাতে বলা হয়েছিল। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তা পাঠানো হয়নি। কেন পাঠানো হয়নি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জবাব দেবে।”
No comments