Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

তীব্র গরমে হলদিয়ার একাধিক জায়গায় ধুলোর ঘূর্ণি,আতঙ্কে শহরবাসী

তীব্র গরমে হলদিয়ার একাধিক জায়গায় ধুলোর ঘূর্ণি,আতঙ্কে শহরবাসী
তীব্র গরমের কারণে হলদিয়াতে প্রায় প্রত্যেকদিন বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল ডাস্ট ডেভিল বা ধুলোর ঘূর্ণি।কখনো শহরের রাস্তায় আবার কখনো খোলা মাঠে বেশকিছু সময় ধরে ধুলোর কু…

 




তীব্র গরমে হলদিয়ার একাধিক জায়গায় ধুলোর ঘূর্ণি,আতঙ্কে শহরবাসী


তীব্র গরমের কারণে হলদিয়াতে প্রায় প্রত্যেকদিন বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল ডাস্ট ডেভিল বা ধুলোর ঘূর্ণি।কখনো শহরের রাস্তায় আবার কখনো খোলা মাঠে বেশকিছু সময় ধরে ধুলোর কুণ্ডলী লাটুর মতো পাক খাচ্ছে। গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা নাগাদ ১১৬ জাতীয় সড়কের ধারে হলদিয়া সিটি সেন্টার বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া একটি শিল্প সংস্থার গেটের সামনে আচমকাই এই ধুলোর ঘূর্ণি তৈরি হয়। লাটুর ন্যায় পাক খেতে খেতে প্রায় ১০০ মিটার উচ্চতায় ধুলো-ময়লাকে দাঁড় করিয়ে দেয় খাম্বার মতো। এরপর সোমবার হলদিয়ার দুর্গাচকে একটি সরকারি কলেজ মাঠে দেখা যায় ধুলোর ঘূর্ণি।ফের আজ বুধবার দুপুরে হলদিয়ার ক্ষুদিরামনগরে দেখা গেল ধুলোর ঘূর্ণি।এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান প্রথমে দূর থেকে দেখে ভেবে ছিলাম, পাশাপাশি কোথাও আগুন লেগেছে, আর সেখান থেকে কুণ্ডলী পাকিয়ে ধোঁয়া বেরোচ্ছে। তার কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে এসে দেখি ধুলো-ময়লা পাক খাচ্ছে। আগে এ দৃশ্য কখনও দেখিনি। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি মানুষজন।'

চৈত্র-বৈশাখ মাসে অতিরিক্ত গরমের কারণে পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও পড়শি ঝাড়খণ্ডে এই ধরনের ঘূর্ণি দেখা যায় বলে জানিয়েছেন দিঘা আবহাওয়া বিভাগের ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক পল্লব দাস।মহিষাদলের লক্ষ্যা হাইস্কুলের ভূগোলের শিক্ষিকা তথা বিজ্ঞান কর্মী সুচিস্মিতা মিশ্র বলেন, 'ভূপৃষ্ঠের কোনও অংশের তাপমাত্রা বেড়ে গেলে পরিচলন স্রোতের কারণে তৈরি হয় এমন ধুলোর ঘূর্ণি। উত্তপ্ত অংশের বাতাস দ্রুত ওপরের দিকে উঠে যায়। আর সে সময় পাশাপাশি অঞ্চল থেকে নীচের শূন্যস্থানের দিকে ধেয়ে আসে শীতল বাতাস। এ সময় কুণ্ডলীর ভিতরের বায়ুর চাপ শূন্য থাকলেও বাইরের বায়ুর চাপ দশগুণ থাকে। ফলে এই কুণ্ডলী বাড়ি, গাড়ি, গাছপালাকে মুহূর্তেই দূরে ছুড়ে ফেলে দিতেও পারে। তবে তা নির্ভর করে ঘূর্ণির আকার স্থায়িত্বের ওপর। সে কারণে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে না। কিন্তু শহরবাসী এই ধরনের ছবি আগে কখনো দেখেনি। হঠাৎ আরে চোখের সামনে দেখে রীতিমতো চমকে যাচ্ছেন সবাই। আমিও বাসিন্দা প্রদীপ বিজলী বলেন গাছ লাগাতে হবে জলাশয় ভরাট বন্ধ করতে হবে তাহলেই এই ঘূর্ণিঝড় (ধুলো ঝড়) থেকে রেহাই পাবে মানুষ।

বিজ্ঞান কর্মী শিক্ষিকা সচিস্মিতা মিশ্র বলেন 

হলদিয়া তে প্রচুর গাছ নষ্ট হয়েছে আম্ফান,ইয়াস আর কাঠ মাফিয়াদের জন্য।শিল্প  কলকারখানার জন্য প্রচুর বায়ুদূষণের ফলে বাতাসে SPM এর পরিমাণ খুব বেশি।ফলে হলদিয়ায় ভীষন গরম পড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোন কোন অঞ্চল প্রচন্ড উত্তপ্ত হয়ে যাচ্ছে যেখানে নিম্নচাপের সৃষ্টি হচ্ছে ও বাতাস হালকা হয়ে দ্রুত ওপরে উঠে যাচ্ছে।ফলে শূন্যস্থানে দ্রুত চারপাশ থেকে অপেক্ষাকৃত ঠাণ্ডা বাতাস ঘুরতে ঘুরতে ছুটে এসে সেই বাতাসও উষ্ণ হয়ে হালকা হয়ে ওপরে উঠছে।আর সেই বাতাস হলদিয়ার পাহাড় প্রমাণ ধুলি,কয়লার গুঁড়ো নিয়ে ওপরে উঠছে।তাই ধুলোর ঘূর্ণি দেখা যাচ্ছে।আরো বড় বড় সমস্যার জন্য তৈরি থাকতে হবে হলদিয়ার মানুষকে। যত তাপমাত্রা বাড়বে হলদিয়ার মানুষের বিপদ বাড়বে।গাছ, জলাভূমি নষ্টের মাসুল,এত এত মাটির নিচের তোলার জল তোলার মাসুল হলদিয়ার জনগণকে দিতে হবে।


No comments