Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পঞ্চায়েত অফিসে সর্ষের মধ্যে ভূত!সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ পাওয়ার পরেও নিশ্চুপ ব্লক প্রশাসন

পঞ্চায়েত অফিসে সর্ষের মধ্যে ভূত!সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ পাওয়ার পরেও নিশ্চুপ ব্লক প্রশাসন
স্থানীয় সূত্রে খবর, সুতাহাটা ব্লকের কুকড়াহাটি গ্রামের বাসিন্দা সরস্বতী দাস মণ্ডলের স্বামী মারা যাওয়ার পর ত…

 



পঞ্চায়েত অফিসে সর্ষের মধ্যে ভূত!সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ উঠল। অভিযোগ পাওয়ার পরেও নিশ্চুপ ব্লক প্রশাসন


স্থানীয় সূত্রে খবর, সুতাহাটা ব্লকের কুকড়াহাটি গ্রামের বাসিন্দা সরস্বতী দাস মণ্ডলের স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি এন এফ বি এস (ন্যাশনাল ফ্যামিলি বেনিফট স্কিম) প্রকল্পে টাকা পাওয়ার জন্য আবেদন ডেকে জানিয়েছিলেন। নিয়ম হল, বছরের মধ্যে পরিবারের রোজগারে সদস্য মারা গেলে এককালীন 80 হাজার টাকা আর্থিক সাহায্য মেলে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান ও এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্টের সই লাগে। অভিযোগ বারবার পঞ্চায়েত অফিসে গিয়েও ফিরে যেতে হয় সরস্বতী দেবীকে। কারণ, তাঁর আবেদনপত্রে সই করেননি কোনও সরকারি কর্মী। একাধিকবার পঞ্চায়েত অফিস থেকে ফেরত যাওয়ার পরে এক পঞ্চায়েত কর্মী তাঁকে ঘুষের প্রস্তাব দেন। অভিযোগ ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের কর আদায়কারী কর্মী সুধাংশু শেখর মান্না অভিযোগকারীকে বলেন, ২০০০ টাকা না দিলে ওই আবেদনপত্রে সই করা হবে না। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে অভিযোগকারী সরস্বতী দাস মণ্ডল ২০০০ টাকা ওই সরকারি কর্মীকে দেন। অভিযোগকারীর আরও অভিযোগ টাকা দেওয়ার

পরেই এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট শিপ্রা আহমেদ ওই ফর্মে সই করে দেন। এর পরেই সরস্বতী সুতাহাটা বিডিওর কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। তবে কর্মীদের একাংশের দাবি, যেহেতু কর্মীরা প্রত্যেকেই রাজনীতি করেন তাই এই অভিযোগের পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। হয়তো এই অভিযোগ রাজনৈতিক গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের ফলাফল।

ব্লক প্রশাসনের দাবি, অভিযোগ পাওয়ার পরে অভিযোগকারীকে পাঠানো হয়েছিল। অভিযোগকারীর সমস্ত অভিযোগ শুনেছে ব্লক প্রশাসন। ওই সরকারি কর্মী সুধাংশু শেখর মান্নাকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল সুতাহাটা ব্লক অফিসে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, অভিযুক্তদের তলব করেই দায়িত্ব সারতে চাইছে ব্লক প্রশাসন।

অভিযোগকারী সরস্বতী বলেন, “বেআইনিভাবে টাকা নেওয়ার অভিযোগ লিখিতভাবে বিডিওর কাছে জানিয়েছি। বিডি অফিস থেকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অফিসে গিয়েছিলাম।” কুকড়াহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের এগজিকিউটিভ অ্যাসিস্ট্যান্ট শিপ্রা আহমেদ বলেন, "সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। ব্লক অফিস থেকে আমাকে ডাকা হয়নি।” সুতাহাটার বিডিও আসিফ আনসারি বলেন, “অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ সম্পর্কিত সবার সাথে কথা বলা হবে। বেনিয়ম কিছু পাওয়া গেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

No comments