হলদিয়ায় বর্তমান সময়ে জৈব প্রযুক্তির ভূমিকা বিষয়ক জাতীয় সেমিনারবর্তমান সময়ে জৈব প্রযুক্তির ভূমিকা সম্পর্কে দুদিনের আন্তর্জাতিক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির বায়োটেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট।ইনস্টিটিউট এর …
হলদিয়ায় বর্তমান সময়ে জৈব প্রযুক্তির ভূমিকা বিষয়ক জাতীয় সেমিনার
বর্তমান সময়ে জৈব প্রযুক্তির ভূমিকা সম্পর্কে দুদিনের আন্তর্জাতিক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির বায়োটেকনোলজি ডিপার্টমেন্ট।ইনস্টিটিউট এর সত্যেন্দ্রনাথ বোস অডিটোরিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হলদিয়া ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির চেয়ারম্যান ড.লক্ষণচন্দ্র শেঠ,প্রিন্সিপাল ডঃ সুব্রত মন্ডল, আই ওসি হলদিয়া রিফাইনারির সিনিয়র কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার অনুপম আশ কলকাতা বোস ইনস্টিটিউট এর মলিকুলার মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর অতীন কুমার মন্ডল,কল্যাণীর ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জিনোমিকস এর অধ্যাপক ভাস্বতী পন্ডিত, কলকাতার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজি বিভাগের চিফ সাইন্টিস্ট প্রফেসর কৃষ্ণানন্দ চট্টোপাধ্যায়, ইন্ডিয়ান ফটো বায়োলজি সোসাইটির প্রেসিডেন্ট যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি বিভাগের প্রফেসর নীতিন চট্টোপাধ্যায় প্রমূখ।বোস ইনস্টিটিউট এর মলিকুলার মেডিসিন বিভাগের প্রফেসর অতীন কুমার মন্ডল জানান, কিভাবে সেফারন প্রোটিন্স ব্যবহার করে ক্যান্সার রোগের ড্রাগ তৈরি করা হচ্ছে।ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বায়োমেডিকেল জিনোমিকস এর অধ্যাপক ভাস্বতী পন্ডিত জানান, কিভাবে জিন ভ্যারিয়েশন ঘটিয়ে টিউবারকুলোসিস রোগ কে প্রতিরোধ করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে তিনি জানান, জিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে কিভাবে জেনেটিক ডিজিজ প্রতিরোধ করা হচ্ছে, বিভিন্ন রোগ নির্ধারণ করা যাচ্ছে, ক্যান্সারের মতো মারণব্যাধির ট্রিটমেন্ট সম্ভব হচ্ছে এবং এগ্রিকালচারাল ফিল্ডে জিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে খাদ্যশস্য উৎপাদনে সুফল পাওয়া যাচ্ছে। তিনি জানান আগামী দিনে স্বাস্থ্যের সুরক্ষায় জৈব প্রযুক্তি আমাদের প্রধান ভরসা হয়ে উঠবে। ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ কেমিক্যাল বায়োলজি বিভাগের মুখ্য বিজ্ঞানী প্রফেসর কৃষ্ণানন্দ চট্টোপাধ্যায় জানান, জৈব প্রযুক্তির কল্যাণে কোভিদের মতো অতিমারির আক্রমণ থেকে আমরা রক্ষা পেয়েছি। আই ওসি হলদিয়া রিফাইনারির সিনিয়র কোয়ালিটি কন্ট্রোল ম্যানেজার অনুপম আশ জানান, জৈব প্রযুক্তি ব্যবহার করে তাঁরা বায়োডিজেল তৈরি করছেন। বারাউনি এবং হরিয়ানাতে তাদের ইথানল প্ল্যান্ট গড়ে উঠছে জৈব প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে। সেই সঙ্গে তিনি জানান অল্টারনেটিভ জ্বালানির জন্য আগামী দিনে বায়োটেকনোলজিই ভবিষ্যৎ ও ভরসা। রিফাইনারির ওয়েস্ট ওয়াটার দূষণমুক্ত করতে এবং জিরো কার্বন নিঃশ্বরনের ক্ষেত্রেও তাঁরা জৈব প্রযুক্তির উপর নির্ভর করছেন।এইচ আই টির বায়োটেকনোলজির বিভাগীয় প্রধান ড. শুভ্রমা গুপ্ত জানান, জৈব প্রযুক্তি বিষয়ক এই জাতীয় সেমিনারে তাঁদের সঙ্গে সহযোগী হিসেবে রয়েছেন কলকাতার ইন্ডিয়ান কেমিক্যাল সোসাইটি এবং কলকাতার ইন্ডিয়ান ফটো বায়োলজি সোসাইটি। এই ন্যাশনাল সেমিনারের কনভেনার ড. কেয়া সাউ জানান, দ্বিতীয় দিনের আলোচনা সভায় অংশ নেবেন কগনিজেন্ট লাইফ সাইন্সের সিনিয়র প্রজেক্ট ম্যানেজার অভিজিৎ ঘোড়াই,বোস ইনস্টিটিউট এর বায়ো কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক অভ্রজ্যোতি ঘোষ, প্লান্ট বায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক অনুপমা ঘোষ, ইন্ডিয়ান ফটো বায়োলজি সোসাইটির সম্পাদক যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি বিভাগের প্রফেসর চিত্তরঞ্জন সিনহা প্রমূখ।
No comments