Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা

পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারাপুলিশ ঘটনাস্থলে আসার গড়িমসির অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে ও পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। রবিবার রাত প্রায় ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপ…





পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা

পুলিশ ঘটনাস্থলে আসার গড়িমসির অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে ও পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। রবিবার রাত প্রায় ৮টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর থানার এগরা- পটাশপুর রাজ্য সড়কের উপরে খড়াই শ্যামসুবাড় এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়ায়। পটাশপুর থানার পুলিশের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়ে পড়ে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। পাশাপাশি পুলিশকে ঘিরে বেশকিছুক্ষণ চলে বিক্ষোভ। সেইসঙ্গে পুলিশের গাড়িতে সজোরে ধাক্কাধাক্কি করে স্থানীয়রা ক্ষোভে ফেটে পড়ে। এই ঘটনার জেরে রবিবার রাতে স্থানীয় এলাকায় চলে তুমুল উত্তেজনা। অবশেষে পুলিশ ও স্থানীয়দের তৎপরতায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। সেইসঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে অভিযুক্তদের নিয়ে পটাশপুর  থানায় রওনা দেয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ মার্চ পটাশপুর থানার খাটুয়াবাড় গ্রামে ধীরেন পাত্র ( ৫৫) নামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়। এরপর দিন অর্থাৎ ২৪ মার্চ বেলার দিকে মৃতের পরিবার-সহ বেশ কয়েকজন মিলে তাঁকে দাহ করে। কিন্তু স্থানীয় গ্রামবাসীদের অভিযোগ, মৃত ব্যক্তিকে তাঁর পরিবারের লোকজন মিলে পিটিয়ে মেরে ফেলে। এদিন বিকেলে খুনের অভিযোগ তুলে গ্রামবাসীরা অভিযুক্তদের ধরে এনে স্থানীয় গ্রামের এক মন্দির প্রাঙ্গণে বসিয়ে বেশ কয়েকঘন্টা জিজ্ঞাসাবাদ করে। তবে অভিযুক্ত গুণধর ছেলে উত্তম পাত্র ( ৪০),  তাঁর স্ত্রী সীতা পাত্র ( ৩০),  এবং তাঁর মা সুমিত্রা পাত্র ( ৪৮) কে গ্রামবাসীরা দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করতে থাকে। অবশেষে এদিন সন্ধ্যা নাগাদ তিন অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রামবাসী ও সংবাদমাধ্যমের ক্যামেরার সামনে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে খুন করেছে বলে কবুল করে। তবে কি কারণে খুন করল, তা কিন্তু কেউই স্পষ্টভাবে বলতে রাজি হয়নি। এই ঘটনার কথা ফোনে পটাশপুর থানার পুলিশকে বারংবার জানানো সত্বেও তাঁরা ঘটনাস্থলে দেরি করে পৌঁছায়। আর দেরিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসতেই ক্ষোভে ফেটে পড়ে স্থানীয় এলাকার বাসিন্দারা। পুলিশকে দেখেই ক্ষোভ উগরে দেন আমজনতা। পুলিশ  আসামীদের নিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয় বাসিন্দারা। পাশাপাশি পুলিশের সামনেই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ তুলে ঘটনাস্থল থেকেই মারতে মারতে নিয়ে যাওয়ার সময় গাড়িতে তুলতে কার্যত হিমসিম খেতে হয় পুলিশকে। আবার কেউ কেউ অভিযোগ করে বলেন, দিনের পর দিন রাস্তায় গাড়ি দাঁড় করিয়ে টাকা তুলতে ব্যস্ত পুলিশ। অথচ খবর দেওয়া সত্বেও খুনের আসামি তুলতে পুলিশ গড়িমসি করেছে। আগামী দিনে যদি এই ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটে তাহলে পুলিশের তোলাবাজির বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন এলাকার বাসিন্দারা।

No comments