Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মহিলা পরিচালিত বাসন্তী পুজোয় মেতেছে সুতাহাটার গোবিন্দপুর গ্রাম

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।https://youtu.be/SG9DM--5j5o
যিনি রাঁধেন,তিনি চুলও বাঁধেন....মহিলা পরিচালিত বাসন্তী পুজোয় মেতেছে সুতাহাটার গোবিন্দপুর গ্রাম
হলদিয়া বন্দরঃ মাসে মাসে নিশ্চিত আয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নারীর সহায়।রাজ্য সরকারের লক্…

 




ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।

https://youtu.be/SG9DM--5j5o


যিনি রাঁধেন,তিনি চুলও বাঁধেন....

মহিলা পরিচালিত বাসন্তী পুজোয় মেতেছে সুতাহাটার গোবিন্দপুর গ্রাম


হলদিয়া বন্দরঃ মাসে মাসে নিশ্চিত আয় লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নারীর সহায়।রাজ্য সরকারের লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকাতেই গ্ৰামে বাসন্তী পুজোর আয়োজন করেছেন সুতাহাটার চৈতন্যপুর গ্ৰাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত গোবিন্দপুর আগমনী মহিলা পুজো কমিটি।জানা গেছে, এই গ্রামে আগে বাসন্তী পুজোর চল ছিল না।আশপাশেও সেভাবে বাসন্তী পুজো হয় না।


তাই পুজো দেখতে যেতে হত অনেক দূরে। তাই গ্রামের মহিলারাই একজোট হয়ে গ্রামে পুজো করার সিদ্ধান্ত নেন।গতবছর থেকে শুরু হয় সেই পুজো। শুরুতে সঞ্চয়ের টাকা দিয়ে এবং পাড়ায় চাঁদা সংগ্রহ করে পুজো খরচ জোগাড় করেন মহিলারা। এবার তাঁদের পুজোর আর্থিক সমস্যা অনেকটাই মিটিয়ে দিয়েছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার।পাশাপাশি খরচ তুলতে পাড়ায় পাড়ায় ঘুরে চাঁদাও সংগ্রহ করছেন মহিলারা।গ্রামের প্রায় ৮০ জন মহিলা মিলে এই পুজোর আয়োজন করেছে।পুজোর বাজেট প্রায় ৩-৪ লক্ষ টাকা।পুজো উপলক্ষে প্রত্যেকদিন সন্ধ্যায় গ্ৰামের কচিকাঁচাদের নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি দুঃস্থদের বস্ত্র ও মশারি দানের মতো সেবামূলক কর্মসূচিও গ্ৰহণ করেছে পুজো উদ্যোক্তারা।অষ্টমীতে অন্নপূর্ণা পূজা ও অন্নকূট উৎসবে ১৫৬ পদ দিয়ে মায়ের ভোগ নিবেদন করা হয়েছে।সেই ভোগ পাত পেড়ে খেয়েছেন গ্ৰামের মানুষ।সারাদিন ব্যস্ততার শেষে অষ্টমীর বিকেলে মহিলারা মাঠের ওপর সবুজ ঘাসে গোল হয়ে বসে নবমীতে কুমারী পুজোর আয়োজনের পরিকল্পনা করছেন।পুজো কমিটির সম্পাদিকা আল্পনা মাইতি বলেন, 'আমরা সরকারি সাহায্য পাইনি। চাকরিজীবী না হয়েও আমাদের কমিটির মহিলারা বাড়িতে মুরগি পালন করে, চাষবাস করে প্রায় সকলেই স্বনির্ভর। পাশাপাশি রাজ্য সরকারের থেকে মাসে মাসে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে ৫০০ টাকা পাচ্ছি আমরা। চাঁদাও কমবেশি তুলছি। ফলে,পুজো আয়োজনে আর্থিক সমস্যা সেভাবে নেই।' হলদিয়া-মেচেদা রাজ্য সড়কের ওপর চৈতন্যপুর মোড় থেকে অনেক ভেতরে প্রত্যন্ত গ্ৰাম গোবিন্দপুর।গ্ৰামের চারিদিক সবুজে মোড়া ধান খেত।বোরো ধান গাছের মাথায় সবেমাত্র কচি ধান শিসের দেখা মিলেছে।ঢাকের কাঠির শব্দ পেলেই গ্ৰামের কচিকাঁচার দল বেঁধে মণ্ডপের সামনে হাজির।এদিকে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ।বিকেলে থেকে বাড়ির কাজ ও রান্না শেষ করেই সন্ধ্যা নামলেই অনুষ্ঠান মঞ্চের সামনে ভিড় করে সারা গ্ৰাম।গ্রামের এই পুজোয় সব দায়িত্বই পালন করেন মহিলারা। চাঁদা তোলা থেকে শুরু করে পুরোহিত,ঢাকি জোগাড় সবই তাঁরা করছেন সমান দক্ষতার সঙ্গে।তবে চেষ্টা করেও মহিলা পুরোহিত জোগাড় করতে পারেননি উদ্যোক্তারা।পুজো কমিটির সভানেত্রী মানসী পড়ুয়া বলেন, "পাঁচদিনের পুজো,তিন দিন হয়ে গেছে।বাকি রয়েছে নবমী ও বিজয়াদশমী।বছরের এই কয়েকটা দিন আমরা সবাই এখসাথে আনন্দ করি।" বুধবার অষ্টমীর রাতে যাত্রাপালার আসর জন্য অপেক্ষা করেছিল গ্ৰামবাসী।কিন্তু তা আর হল না।সকালেই যাত্রাদল ফোন করে জানিয়েছে,গতরাতে পালা শেষ ফেরার পথে পথ দুর্ঘটনায় পড়েছিল তাদের বাস।যাত্রাদলের বেশ কয়েকজন কলাকুশলী জখম হয়েছেন তাই তারা আজ পালা গাইতে পারবেন না। তাই আর বেশি দেরি করেনি প্রমিলা বাহিনী নিজের পাড়ায় কয়েকজন নাটক দলের সঙ্গে যুক্ত।তাদের কে নিয়েই দিনভর চলল নাটকের প্রস্তুতি। সন্ধ্যায় নামলেই সন্ধ্যারতির পর নাটক মঞ্চস্থ হবে।শেষ দিন বিজয়া দশমী উপলক্ষে দুপুরে নিজেদের গ্ৰাম সহ আশপাশের বিভিন্ন গ্ৰামের কয়েক হাজার মানুষকে অন্নভোগ খাওয়ানোর বন্দোবস্ত করছে আগমনী মহিলা কমিটি।তাদের এই কর্মকাণ্ড কে কুর্নিশ জানিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছেন সুতাহাটা ব্লক তৃনমূল কংগ্রেস সভাপতি অশোক মিশ্র।তিনি জানান,"মহিলাদের উদ্যোগে এই পুজো এলাকার মানুষের নজর কেড়েছে।আগামীদিনে তাঁরা যাতে এই পুজো চালিয়ে যেতে পারে তাঁর জন্য সমস্ত রকম ভাবে সাহায্য সহযোগিতা করে পাশে থাকবো।"




No comments