Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

চাকরি দেওয়ার নাম করে দীঘায় নিয়ে এসে যুবতীর শীলতাহানি

চাকরি দেওয়ার নাম করে দীঘায় নিয়ে এসে যুবতীর শীলতাহানি
চাকরি দেওয়ার নাম করে দীঘায় নিয়ে এসে মেয়ের শীলতাহানি চেষ্টায় গ্রেপ্তার হল মৃত্যুঞ্জয় দাস নামে হাওড়া লিলুয়া থানা এলাকার বাসিন্দা। ঘটনায় জানা যায় ওই যুবতী একটি স্বেচ্ছ…

 


চাকরি দেওয়ার নাম করে দীঘায় নিয়ে এসে যুবতীর শীলতাহানি


চাকরি দেওয়ার নাম করে দীঘায় নিয়ে এসে মেয়ের শীলতাহানি চেষ্টায় গ্রেপ্তার হল মৃত্যুঞ্জয় দাস নামে হাওড়া লিলুয়া থানা এলাকার বাসিন্দা। ঘটনায় জানা যায় ওই যুবতী একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থায় কাজ করতেন ফোনে যুবকের সঙ্গে তার পরিচয় হয় চাকরি দেওয়ার নাম করে তাকে দীঘায় নিয়ে এসে একটি হোটেলে ওঠেন। হোটেলে উঠে যুবতির সঙ্গে অশালীন আচরণ করে বলে অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে দীঘা থানা পুলিশ যুবককে গ্রেপ্তার করে আজ কাঁথি আদালতে তোলে। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে দীঘায় এলাকায়।

জানা যায় চাকরি দেওয়ার নাম করে দীঘায় নিয়ে এসে যুবতীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে গ্রেপ্তার হল হাওড়ার এক যুবক। পুলিস জানিয়েছে, ধৃত যুবকের নাম মৃত্যুঞ্জয় দাস। তার বাড়ি হাওড়ার সালকিয়ায়। বৃহস্পতিবার তাকে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেন। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবতীর বাড়ি মেদিনীপুর এলাকায়। তিনি অনেকদিন ধরে চাকরির চেষ্টায় বিভিন্ন জায়গায় আবেদন করেছিলেন। কোনও ওয়েবসাইট মারফত যুবতীর ফোন নম্বর পায় মৃত্যুঞ্জয়। এরপরই তাঁকে ফোন করে সে। আলাপ- পরিচয়ের পর মৃত্যুঞ্জয় তাঁকে ম্যাসাজ থেরাপি ক্লিনিকে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। সেইমতো মৃত্যুঞ্জয় বলে, চাকরি পেতে হলে দীঘায় যেতে হবে। সেখানে হোটেলে ইন্টারভিউ রয়েছে। মৃত্যুঞ্জয়ের প্রস্তাব মতো বুধবার তার সঙ্গে দীঘায় আসেন ওই যুবতী।

মৃত্যুঞ্জয় তাঁকে নিয়ে নিউ দীঘার একটি হোটেলে ওঠে। হোটেলের রুমে ঢুকে ওই যুবতী জানতে পারেন, কোথাও কোনও ইন্টারভিউয়ের ব্যবস্থা নেই। শুধু তাই নয়, মৃত্যুঞ্জয় সেখানে তাঁকে কুপ্রস্তাব দেয় এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। মৃত্যুঞ্জয় যে একজন প্রতারক, সেব্যাপারে পরিষ্কার হয়ে যান ওই যুবতী। তিনি তৎক্ষণাৎ ফোন করে দীঘা থানায় বিষয়টি জানান। পুলিস ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই যুবককে আটক ও যুবতীকে উদ্ধার করে। পরে যুবতীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে মৃত্যুঞ্জয়কে গ্রেপ্তার করে পুলিস। পুলিসের দাবি, মৃত্যুঞ্জয়ের অভিপ্রায় আগে থেকে কিছুটা হলেও বুঝতে পেরেছিলেন ওই যুবতী। তবু এর শেষ দেখতে চাইছিলেন এবং প্রতারক যুবককে পুলিসের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনাও করেছিলেন তিনি।

No comments