Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

লজ্জা নয়, মাছ ধরা পেশায় আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন শিক্ষিত যুবক সম্প্রদায়! টেকসই মৎস্য আহরণের পাঠ দিচ্ছে নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগ

লজ্জা নয়, মাছ ধরা পেশায় আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন শিক্ষিত যুবক সম্প্রদায়! টেকসই মৎস্য আহরণের পাঠ দিচ্ছে নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগ 
নৌকো নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে গেলে সরকারি কিরকম নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে সেই বিষয়ে একেবারে প্রত্যন্ত নদী …

 




লজ্জা নয়, মাছ ধরা পেশায় আনন্দ খুঁজে পাচ্ছেন শিক্ষিত যুবক সম্প্রদায়! টেকসই মৎস্য আহরণের পাঠ দিচ্ছে নন্দীগ্রাম-১ ব্লক মৎস্য বিভাগ 


নৌকো নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে গেলে সরকারি কিরকম নিয়মাবলী মেনে চলতে হবে সেই বিষয়ে একেবারে প্রত্যন্ত নদী তটে ঘুরে ঘুরে মৎস্যজীবীদের বোঝাচ্ছেন নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারন আধিকারিক সুমন কুমার সাহু । মৎস্য বিভাগের উদ্যোগে হচ্ছে ছোট ছোট সভা। হলদি ও হুগলি নদী ধরে নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকে পেশাগত ভাবে মৎস্য আহরণে মৎস্যজীবীদের সংখ্যা যেমন বাড়ছে তেমনি কম বয়সি শিক্ষিত যুবক মাছ ধরাকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছে। এমনি কম বয়সী তরুন পঞ্চম খন্ড জলাপাইএর সুরজিত দাস, কেন্দেমারির সনজিত মন্ডল, কাঁটাখালি বিজয় দাস, গাংরা চরের মলয় বর্মন প্রমুখরা নদীতে মাছ ধরা পেশা হিসেবে নিয়েছেন। তালপাটি খাল, ধুসা খাল, কাঁটাখালি খাল, আসিমেনিয়ার খাল, বাছুর মারি খাল, কেন্দেমারি খাল প্রভৃতি খাল ধরে নদীতে যায় মৎস্যজীবিদের নৌকা। মৎস্য দপ্তরের সমীক্ষায় এসেছে কেন্দেমারি, কাঁটা খালি, সাউদ খালি ও গাংরাচর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র। জেলে পরিবার ছাড়াও এলাকার অনেক যুবক বেছে নিচ্ছে মাছ ধরা পেশা। 

গাংরা চরের তরুন মৎস্যজীবী মলয় বর্মন বলেন –“মহিষাদল রাজ কলেজে স্নাতক পাশ করেছি, তার পর মাছ ধরাকে পেশা হিসেবে নিয়েছি, এখানে উপার্জন ভালো, আনন্দে আছি। বেকার যুবকরা মাছ ধরাকে পেশা হিসেবে নিতে পারে এটা স্বাধীন পেশা এখানে উপার্জনের সাথে আনন্দ ও আছে। তিনি আরো বলেন, নতুন নৌকা করতে গেলে দু লক্ষ টাকা লাগে তবে পুরোনো নৌকা কিনে সারিয়ে নিলে এক লাখ টাকায় হয়ে যায়”। বেকার একজন ছেলে মাছ ধরাকে পেশা হিসেবে নিলে নৌকা ছাড়া জাল দড়ি এসেট পঞ্চাশ হাজার টাকা লাগবে, তবে ইলিশ নৌকা করতে মূলধন আরো একটু বেশি লাগবে বলে জানায় মলয়। জোয়ার ভাটার ওপর নির্ভর করে মাছ ধরে এবং মৎস্যজীবী পরিচয় পত্র করেছেন নৌকাও রেজিস্ট্রেশান করেছেন । পঞ্চম খন্ড জলাপাইএর সুরজিত দাস বলেন, মৎস্য বিভাগ থেকে জানতে পারছি মাছ আহরণের পাশাপাশি মাছের বংশরক্ষা ও শুশুক রক্ষা করা সহ পরিবেশবান্ধব মাছ শিকারের পদ্ধতি।  

নন্দীগ্রাম-১ নম্বর ব্লকের মৎস্যচাষ সম্প্রসারণ আধিকারিক সুমন কুমার সাহু বলেন, “আমরা নদী উপকূলবর্তী এলাকার মৎস্যজীবিদের চিহ্নিতকরণ করে নৌকা রেজিস্ট্রেশান লাইসেন্সিং এর বিষয় যেমন বোঝানো হচ্ছে তেমনি টেকসই মৎস্য আহরনের পাঠ পড়ানো হচ্ছে আর এতে সহায়কের ভূমিকা নিচ্ছে শিক্ষিত তরুন মৎস্যজীবিরা”।

নন্দীগ্রাম-১পঞ্চায়েত সমিতির মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ মৌসুমি পানি বলেন, "ব্লক মৎস্য আধিকারিক কেন্দেমারি থেকে গাঙরা নদী চর এলাকা ধরে ধরে লাগাতার পরিদর্শন ও সভা করছেন, মৎস্যজীবিদের মধ্যে উৎসাহ দেখা দিচ্ছে"।

No comments