শত্রুঘ্ন’র মুখে ‘খামোশ' শুনে উত্তাল রামনগর আরএসএ ময়দানে নাড্ডার পাল্টা সভা তৃণমূলের রামনগর আর এস এ ময়দানে বিজেপির জনসভার পাল্টা তৃণমূলের জনসভায় ভিড় উপচে পড়ল। এদিন ময়দানে হাজির জনতাকে মাতিয়ে দিয়ে গেলেন আসানসোলের তৃণমূল…
শত্রুঘ্ন’র মুখে ‘খামোশ' শুনে উত্তাল রামনগর আরএসএ ময়দানে নাড্ডার পাল্টা সভা তৃণমূলের
রামনগর আর এস এ ময়দানে বিজেপির জনসভার পাল্টা তৃণমূলের জনসভায় ভিড় উপচে পড়ল। এদিন ময়দানে হাজির জনতাকে মাতিয়ে দিয়ে গেলেন আসানসোলের তৃণমূল সংসদ সদস্য শত্রুঘ্ন সিনহা। গত ১২ ফেব্রুয়ারি আরএসএ ময়দানেই জনসভা করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। তারই পাল্টা সভার ডাক দিয়েছিল রামনগরের তৃণমূল নেতৃত্ব। ভিড়ের নিরিখে বিজেপির জনসভাকে টেক্কা দিয়েছে তৃণমূলের জনসভা। মাত্র তিনদিনের নোটিসেই জনসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। তাতেই মাঠ ছিল কানায় কানায় পূর্ণ।
এদিন শত্রুঘ্ন সিনহার কন্ঠে বারবার 'খামোশ' শুনে জনতার উল্লাস ছিল চোখে পড়ার মতো। বিজেপির সভাকে 'গলির সভা' বলে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সভায় এত জনসমাগম দেখে আমি অভিভূত। অনেকেই আমার কাছে জানতে চান, আপনি তো বিজেপিতে ছিলেন, সরকারের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ছিলেন। বিজেপি ছাড়লেন কেন? শত্রুঘ্ন বলেন, একমাত্র জনপ্রিয়, সর্বজনগ্রাহ্য নেতা ছিলেন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটলবিহারী বাজপেয়ী। তাঁর আমলে গণতন্ত্র ছিল। কিন্তু ধীরে ধীরে তা একনায়কত্ব এবং অহংকারে ভরা সরকার হয়ে দাঁড়াল। বিজেপি সরকারের নোটবন্দি একেবারেই ভুল সিদ্ধান্ত এবং দেশের জনগণের জন্য ক্ষতিকারকছিল। আমিই প্রথম এর প্রতিবাদ করেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও জোরদার প্রতিবাদে শামিল হয়েছিলেন। জিএসটি-তেও জনগণের লাভ হয়নি। এসব দেখে আমি উপলব্ধি করি, ব্যক্তির চেয়ে দল বড়। দলের চেয়ে দেশ বড়। দেশের মানুষের স্বার্থের কথা ভেবেই বিজেপি ত্যাগ করি। মমতাজি আমার উপর ভরসা রেখে আসানসোলে উপ নির্বাচনে লড়াইয়ের সুযোগ দিয়েছিলেন। আমি রেকর্ড ভোটে জিতেছি। এটা জনগণের জয়। তৃণমূলের জয়। সর্বোপরি মমতাজির জয়। কেন্দ্রীয় সরকার দিশাহীন বাজেট, আর তৃণমূল সরকার জনমুখী বাজেট পেশ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। এও বলেন, জয়প্রকাশ নারায়ণের পর কেউ নিয়েছিলেন। যদি নিজের ক্ষমতা, লড়াই, ক্যারিশমায় নেতা হন, তিনি হলেন আমাদের দিদিই।তিনি বলেন, ২০২১ সালে রাজ্যে ভোটে জেতার জন্য বিজেপি মানি পাওয়ার, মাসল পাওয়ার গান পাওয়ার সবকিছুই প্রয়োগ করেছিল। কিন্তু “আয়রন লেডি' মমতাজির বলিষ্ঠ নেতৃত্বে বিজেপি কীভাবে পর্যুদস্ত হয়েছে আর তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে তা সকলেই জানেন। ২০২৪ সালে ওরা আবার দেশে ক্ষমতায় ফেরার দিবাস্বপ্ন দেখছে। বিজেপির নেতারা সেবার বলেছিলেন, 'আবকি বার দো'শো পার'। কিন্তু এবার একশোটি সিট পেরনোও মুশকিল হয়ে যাবে। পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে। দেখবেন,কুণাল বলেন, দিল্লির সরকার পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন, রান্নার গ্যাস, জীবনদায়ী ওষুধের দাম বাড়াচ্ছে। তৃণমূল সরকার মানুষের উন্নয়নে একের পর এক প্রকল্প রূপায়ণ করে চলেছে। তৃণমূল আমলে ঝুড়ি থেকে একটা-দুটো পচা আলু বেরিয়েছিল। জানালা দিয়ে 'পচা আলু' ছুঁড়ে দিয়েছিলেন দলনেত্রী। সেই পচা আলু হলেন বিরোধী দলনেতা। যাঁকে অমিত শাহ সাদরে বরণ করেছে।
কুণাল বলেন, নাড্ডা নিজের রাজ্য হিমাচল প্রদেশেই সরকার ধরে রাখতে পারেন না। আর রামনগরে জ্ঞান দিতে এসেছিলেন। তিনি বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচন আসছে। আপনারা লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, স্বাস্থ্যসাথী, কন্যাশ্রীর অধিকার বজায় রাখার জন্য ভোট দেবেন। রাজ্যে শান্তিপূর্ণ, অবাধ নির্বাচন হবে। সিপিএম বিজেপির বি-টিম। একটি ভোট যাতে সিপিএম বা কংগ্রেস না পায় সেদিকেও খেয়াল রাখতে হবে। জোড়াফুলে ভোট দিয়ে দিদির হাত শক্ত করুন। জনসভায় দলের কাঁথি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি তরুণ মাইতি, জেলা চেয়ারম্যান অভিজিৎ দাস সহ অন্যান্য নেতারা বক্তব্য রাখেন।
No comments