মহকুমা হাসপাতালে প্রথম থাইরয়েড অপারেশনে প্রাণ বাঁচল রোগীর প্রানহলদিয়া বন্দর : হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে প্রথম থাইরয়েড অপারেশনে প্রাণ বাঁচল রোগীর । হরিপ্রিয়া মাইতি নামে বছর পঁয়তাল্লিশের গৃহবধূ আপাতত সুস্থ অবস্থায় হাসপাতালেই রয়েছেন…
মহকুমা হাসপাতালে প্রথম থাইরয়েড অপারেশনে প্রাণ বাঁচল রোগীর প্রান
হলদিয়া বন্দর : হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে প্রথম থাইরয়েড অপারেশনে প্রাণ বাঁচল রোগীর । হরিপ্রিয়া মাইতি নামে বছর পঁয়তাল্লিশের গৃহবধূ আপাতত সুস্থ অবস্থায় হাসপাতালেই রয়েছেন ।
থাইরয়েড যন্ত্রণা ভীষণ কষ্ট পেতেন মহিষাদলের বেতকুণ্ডু গ্রামপঞ্চায়েত এলাকার জগৎপুর গ্রামের দরিদ্র পরিবারের গৃহবধূ হরিপ্রিয়া । ফুলে গিয়ে কথা বলা,কিংবা খাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা বাধা হয়েছিল । সেজন্য হোমিওপ্যাথি শুরু করেন প্রথমে । তাতে বেশ কিছু দিন কেটে যাওয়ার পর ফল কিছু হয়নি । ধরলেন আয়ূর্বেদিক চিকিৎসা । কিন্তু তাতেও সুফল মেলেনি । অবশেষে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে নাক-কান-গলার ভালো ডাক্তারবাবু আছেন বলে জানতে পারেন । সেই মতো তিনি যোগাযোগ করেন । অবশেষে মঙ্গলবার হল তাঁর থাইরয়েডের দীর্ঘ অপারেশন । ডাক্তার বিপ্লব দেব অপারেশনের প্রধান ভূমিকায় ছিলেন । সহযোগী ছিলেন ডাক্তার প্রশান্ত কাণ্ডার,অমিতাভ নন্দী এবং নার্স তপতী পাত্র । সমগ্র অপারেশনের তত্ত্বাবধায়ক ছিলেন হাসপাতাল সুপার সুভাষ মাহাতো । স্বাস্থ্য কর্মী বাবলু আলম সহ মোট ১৯ জনের অপারেশন প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন । সকলের তীক্ষ্ম নজরদারিতে টানা ২ ঘন্টা অপারেশন চলেছে । হলদিয়া মহকুমা হাসপাতাল সুপার সুভাষ মাহাতো জানান,"সাধারণত মহকুমা হাসপাতালে এমন অপারেশনের কথা ভাবা হয় না । কিন্তু আমাদের ডাক্তারবাবু বিপ্লব দেব, সহযোগী ডাক্তার প্রশান্ত কাণ্ডার,অমিতাভ নন্দী,নার্স তপতী পাত্রদের সঙ্গে নিয়ে আশ্চর্য কাজ করেছেন । অপারেশন সাকসেস । আমরা আনন্দিত ।" যিনি এত দিন যন্ত্রণা, কষ্টে কাবু হতেন সেই হরিপ্রিয়াদেবী যারপর নাই খুশি । হাসপাতালের বেডে শুয়ে তিনি বলেন,"থাইরয়েডের যন্ত্রণায় জীবনের আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম । অনেক জায়গা ঘুরে শেষে হলদিয়া মহকুমা হাসপাতালে ভরসা পেয়ে অপারেশনে রাজি হই । এখন ভালো আছি । ডাক্তারবাবুরা আমার জীবন বাঁচিয়েছেন । ওরাই আমার ঈশ্বর ।" এত বড় অপারেশনে সাফল্যের কাণ্ডারি বিপ্লব দেবও ফেললেন স্বস্তির লম্বা শ্বাস ।
No comments