Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

পিকে-চুনী-বলরাম! তিন জনেই চলে গেলেন

পিকে-চুনী-বলরাম!  তিন জনেই চলে গেলেন
চলে গেলেন তুলসীদাস বলরাম। ভারতীয় ফুটবলে একটি যুগের অবসান। প্রথমে পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, তার পরে চুনী গোস্বামী, শেষে বলরাম। একে একে চলে গেলেন ত্রয়ী। পুরাণে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর কিংবা বলিউডের অম…

 




পিকে-চুনী-বলরাম!  তিন জনেই চলে গেলেন

চলে গেলেন তুলসীদাস বলরাম। ভারতীয় ফুটবলে একটি যুগের অবসান। প্রথমে পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়, তার পরে চুনী গোস্বামী, শেষে বলরাম। একে একে চলে গেলেন ত্রয়ী। পুরাণে ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর কিংবা বলিউডের অমর-আকবর-অ্যান্টনি— যখনই কোনও ত্রয়ীর কথা উঠেছে, ফুটবল পাগল বাঙালি এই ত্রয়ীর কথাও বলেছেন বার বার। পিকে-চুনী-বলরাম। সেই ষাটের দশক থেকে আজও বাংলার তথা ভারতীয় ফুটবলের হৃদয়ে থেকে গিয়েছেন। থেকে যাবেনও চিরকাল। মৃত্যুও ম্লান করতে পারবে না তাঁদের অনুপস্থিতি।

হায়দরাবাদ থেকে ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন বলরাম। এই শহর তাঁকে দিয়েছে ভালবাসা, সম্মান। তিনি হয়ে উঠেছেন বাংলা তথা ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম বড় ‘সুপারস্টার’। আর সেই যাত্রায় তিনি পাশে পেয়েছিলেন আরও দু’জনকে। এক জন পিকে। অন্য জন চুনী। আর এই পিকে-চুনীর সঙ্গে ভারতীয় ফুটবলের অন্যতম সেরা ত্রয়ী হয়ে উঠেছিলেন দক্ষিণ ভারত থেকে আসা তরুণ বলরাম।


খেলা ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে উত্তরপাড়ায় থাকতেন বলরাম। গঙ্গার ধারে একটি আবাসনে একাই থাকতেন। মনের মধ্যে হয়তো ছিল কিছুটা অভিমান। ভারতীয় ফুটবল তাঁকে প্রাপ্য সম্মান দেয়নি। তাঁর সমসাময়িক ফুটবলারেরা যে খ্যাতি ও সম্মান পেয়েছেন তার ধারেকাছেও ছিলেন না বলরাম। ১৯৬২ সালে অর্জুন পুরস্কার ছাড়া আর কোনও ‘সম্মান’ পাননি তিনি। শেষ জীবনে তাঁর খোঁজখবর নেওয়ার মানুষজনও অনেক কমে গিয়েছিল। কিন্তু বলরাম পেয়েছিলেন দর্শকদের ভালবাসা। সেটাকে আঁকড়ে ধরেই বেঁচে ছিলেন তিনি। সেটা আঁকড়ে ধরেই চলে গেলেন।

পিকে-চুনী-বলরাম কিন্তু ক্লাব ফুটবলে একসঙ্গে খেলেননি। বলরাম বাংলায় পা রাখার পর হয়ে উঠেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের নয়নের মণি। পরে সাউথ ইস্টার্ন রেলের হয়ে খেলেছেন। চুনী আবার চিরকাল প্রতিদ্বন্দ্বী ক্লাব মোহনবাগানের ঘরের ছেলে হয়েই রয়ে গিয়েছেন। আর পিকে কোনও দিন বড় দুই প্রধানে খেলেননি। খেলেছেন ইস্টার্ন রেলের হয়ে। এক ক্লাবে না খেললেও তাঁদের মধ্যে ছিল বন্ধুত্ব। আর সেটা ছিল দেশের জন্য। বিশ্ব ফুটবলের মানচিত্রে ভারতকে তুলে ধরার জন্য। সেটা করেও ছিলেন।



No comments