Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

নয়াচরে দাদাগিরি নয় কড়া বার্তা

নয়াচরে দাদাগিরি নয় কড়া বার্তা রাজ্যের নয়াচরে কোনও দাদাগিরি ফলানোর জায়গা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘নয়াচর ফিশিং হাব কাম ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার'। এটি শুধু রাজ্য নয়, দেশের মধ্যেও মডেল হতে চলেছে। সেই প্রকল্প গড়তে …

 



নয়াচরে দাদাগিরি নয় কড়া বার্তা 

রাজ্যের নয়াচরে কোনও দাদাগিরি ফলানোর জায়গা নেই। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প ‘নয়াচর ফিশিং হাব কাম ইকো-ট্যুরিজম সেন্টার'। এটি শুধু রাজ্য নয়, দেশের মধ্যেও মডেল হতে চলেছে। সেই প্রকল্প গড়তে সবাইয়ের সহযোগিতা চাই। মিলেমিশে কাজ করতে হবে।  হলদিয়ায় নয়াচর প্রকল্প নিয়ে বৈঠকে এভাবে কড়া ভাষায় বার্তা দিলেন মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী এবং জেলাশাসক পূর্ণেন্দুকুমার মাজি। নয়াচরে কয়েকশো কোটি টাকার মাছের ব্যবসা, ভেড়ি ও জমির দখলদারি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গোষ্ঠী সংঘর্ষ সহ নানা ধরনের অভিযোগ রয়েছে। রাজ্যের উদ্যোগে ফিশিং হাব প্রকল্প গড়ার কাজ শুরু হওয়ার পরও সমস্যা অব্যাহত। রাজ্যের নির্দেশে সবাইকে নিয়ে সমবায় তৈরি বা পুলিশি নজরদারি বাড়ানোর পরও জেলা প্রশাসনের কাছে এনিয়ে নিয়মিত অভিযোগ আসছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এবং সমস্যার কথা জানতে এদিন সরাসরি নয়াচরের মৎস্যজীবীদের মুখোমুখি হলেন মন্ত্রী সহ মৎস্যদপ্তর ও জেলা প্রশাসনের কর্তারা। এর পরই নয়াচরে নিয়মিত নজরদারির জন্য বিশেষ কমিটি গড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।


মৎস্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ক্যাবিনেটে সিদ্ধান্ত করে সম্প্রতি নয়াচরের জমি মৎস্যদপ্তরের হাতে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রশাসনিক জটিলতা কাটিয়ে জমি মিলেছে। এতদিন এখানে ১৩টি সমবায় ও ব্যক্তি মালিকদের দখলে থাকা জমিতে মাছ চাষ হত। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণার পর সমস্ত মৎস্যচাষীদের যুক্ত করে আরও ৯২টি সমবায় নতুন করে তৈরি হয়েছে। সবমিলিয়ে ১০৫টি সমবায়ের সঙ্গে তিন হাজারের বেশি মৎস্যজীবী যুক্ত হয়েছেন। প্রকল্প রূপায়ণের আগে রাজ্য সরকার চাইছে, মৎস্যজীবীদের প্রকৃত সমস্যাগুলি প্রশাসনের সামনে উঠে আসুক। তাহলে এনিয়ে নীতি নির্ধারণে সুবিধে হবে। প্রশাসনের পক্ষে নিয়মিত কয়েকশো মানুষের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব নয়। সেজন্য এদিন মন্ত্রী নয়াচরের মৎস্যজীবীদের নিয়ে ১৫ জনের একটি কমিটি গড়ার সুপারিশ করেন। নয়াচরের মাছ প্রসেসিংয়ের জন্য হলদিয়ায় আন্তর্জাতিক মানের প্রসেসিং সেন্টার গড়ে তোলার কাজ শীঘ্রই শুরু হচ্ছে বলে জানান জেলাশাসক। তিনি বলেন, নয়াচরে পরিকাঠামো তৈরি এবং হলদিয়ায় ফিশিং ফুড পার্ক তৈরির জন্য প্রাথমিকভাবে প্রায় ১২ কোটি টাকার টেণ্ডার রয়েছে। আগামী মাস থেকে চয়াচরে হেল্থ সেন্টার, আইসিডিএস কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হবে। এজন্য ৩ কোটি টাকার টেণ্ডার হয়েছে। হলদিয়ায় ফিশ প্রসেসিংয়ের জন্য ৯ কোটি টাকার টেণ্ডার হয়েছে। হলদিয়ায় এইচপিএল লিঙ্ক রোডের পাশে এইচডিএ ফুড পার্কে এজন্য জমি দিয়েছে। তিনি বলেন,

নয়াচরে নজরদারির জন্য যে টিম তৈরি হয়েছে তার দায়িত্বে থাকবেন এডিএম দিব্যা মুরুগেশন। তিনি প্রতিমাসে এই বিষয়টি নিয়ে মিটিং করবেন। প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের নভেম্বরে মুখ্যমন্ত্রী নয়াচর ফিশিং হাবের কথা ঘোষণার পর এক বছরের বেশি সময় ধরে দফায় দফায় সমীক্ষা করে একটি তথ্য ব্যাঙ্ক তৈরি করেছে রাজ্য। মৎস্যদপ্তর জানিয়েছে, নয়াচরে ১০ হাজার একর জমিতে ৬-৭ হাজার একর জলাভূমি রয়েছে। সেখানে মাছ চাষ করে বছরে ২০০ কোটি টাকার বেশি বাণিজ্য হয়। এদিন হলদিয়ার দুর্গাচকে ক্ষুদিরাম স্কয়ারে কুমারচন্দ্র জানা অডিটোরিয়ামে নয়াচরের দু'শতাধিক


মৎস্যজীবী উপস্থিত ছিলেন। তাঁরা বলেন, নয়াচরে যশের জলোচ্ছ্বাসের পর সমস্ত পুকুরের বাঁধ নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু প্রশাসনের সমীক্ষার জন্য পুকুর খাল খনন বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে এবছর মাছের উৎপাদন কমে গিয়েছে। প্রশাসন যাতে দ্রুত মেশিনের সাহায্যে পুকুর খননের অনুমতি দেয় মন্ত্রীর কাছে সেই আর্জি জানান তাঁরা। আরও অভিযোগ করেন, এখনও এলাকার মস্তানি দেখিয়ে চলছে একদল লোক। এদিন বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মৎস্যদপ্তরের সিনিয়র স্পেশাল সেক্রেটারি শান্তনু সাহা, ফিশারি দপ্তরের রাজ্যের ডিরেক্টর বিশ্বনাথ প্রমুখ।

No comments