অসমের সংস্থাকে জমি দিল বন্দরশিল্পের সাহায্যের জন্য হলদিয়া বন্দরের তরফে অসমের এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে জমি দেওয়া হল।বন্দর সূত্রের খবর, মাস ছয়েক আগে ডিব্রুগড়ের সংস্থা ‘ব্রহ্মপুত্র ক্র্যাকার অ্যান্ড পলিমার লিমিটেডে'র (বিসিপ…
অসমের সংস্থাকে জমি দিল বন্দর
শিল্পের সাহায্যের জন্য হলদিয়া বন্দরের তরফে অসমের এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে জমি দেওয়া হল।
বন্দর সূত্রের খবর, মাস ছয়েক আগে ডিব্রুগড়ের সংস্থা ‘ব্রহ্মপুত্র ক্র্যাকার অ্যান্ড পলিমার লিমিটেডে'র (বিসিপিএল) তরফে হলদিয়া বন্দরের কাছে জমির আবেদন করা হয়। ওই সংস্থার তরফে নদী সংলগ্ন এলাকাকে প্রাধান্য দেওয়ার উল্লেখ করা হয়েছিল। বন্দরের তরফে হুগলি নদীর পাড় সংলগ্ন দুর্গাচক এলাকায় প্রায় ২১ একর জমি চিহ্নিত করা হয়। পরে বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং রাষ্ট্রায়ত্তসংস্থার আধিকারিকেরা সেই জমি পরিদর্শন করেন। তার পরেই সবুজ সঙ্কেত মিলেছে। বন্দরের তরফে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাকে জমি সংক্রান্ত অফার লেটার দিয়ে দেওয়া হয়েছে। সরকারি নির্ধারিত মূল্যের বিনিময়ে ওই জমি কর্তৃপক্ষের। হস্তান্তরিত হবে।
হলদিয়া বন্দরের তৈল জেটি (১ এবং ২) থেকে পাইপের মাধ্যমে ওই সংস্থার জমিতে গ্যাস নিয়ে আসা হবে। মূলত, ভিন্ দেশ থেকে প্রপেন ও বিউটেন গ্যাস জাহাজে হলদিয়া বন্দরে নিয়ে আসা হবে। তা পাইপের মাধ্যমে সোজাসুজি ওই সংস্থার স্টোরেজ ট্যাঙ্কে নিয়ে যাওয়া হবে। কারখানা নিজের প্রয়োজন মত নির্দিষ্ট অনুপাতে দু'টি গ্যাসকে মিশিয়ে রেলপথের মাধ্যমে হলদিয়া থেকে অসম নিয়ে যাবে।
বর্তমানে হলদিয়া থেকে সড়কপথে গ্যাস অসমে নিয়ে যাওয়া হয়। রেলপথের মাধ্যমে গ্যাস পরিবহণ চালু হলে উত্তর-পূর্ব ভারতের শিল্পে নতুন দিশা দেখাবে বলে মত বন্দর
ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার তরফে বছরে কমপক্ষে দেড় লক্ষ মেট্রিক টন পণ্য পরিবহণের নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। বন্দরের আধিকারিকদের একাংশের দাবি, ওই প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে বন্দরের রোজগারও বাড়বে। বন্দরের জেনারেল ম্যানেজার (এম অ্যান্ড এস) বলেন, “অসমের এক রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা জমির জন্য আবেদন করেছিল। দুর্গাচকে প্রায় ২১ একর জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে। সংস্থাকে জমির অফার লেটার দিয়ে দেওয়া হয়েছে।”
No comments