Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

দুর্নীতিতে যুক্ত অথবা চাপে পড়ে কাজ করেছেন”, হাতেনাতে ভুয়ো আবাস উপভোক্তা ধরে দুলালপুর পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ককে ধমক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির

দুর্নীতিতে যুক্ত অথবা চাপে পড়ে কাজ করেছেন”, হাতেনাতে ভুয়ো আবাস উপভোক্তা ধরে দুলালপুর পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ককে ধমক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির
 আবাস প্লাসে ভুয়ো উপভোক্তার সন্ধানে গত ৫দিন ধরে রাজ্যে চষে বেড়াচ্ছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। …

 




 দুর্নীতিতে যুক্ত অথবা চাপে পড়ে কাজ করেছেন”, হাতেনাতে ভুয়ো আবাস উপভোক্তা ধরে দুলালপুর পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ককে ধমক কেন্দ্রীয় প্রতিনিধির


 আবাস প্লাসে ভুয়ো উপভোক্তার সন্ধানে গত ৫দিন ধরে রাজ্যে চষে বেড়াচ্ছেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতেও ২ কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি একের পর এক এলাকায় গিয়ে রীতিমতো তাজ্জব হয়ে যাচ্ছেন। শনিবার কেন্দ্রীয়  প্রতিনিধিরা এসেছেন কাঁথি ১ ব্লকের দুলালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মুকুন্দপুর গ্রামে এসে আবাস প্লাসের উপভোক্তা মিতালি সাউ'র বাড়ি দেখে চূড়ান্ত ক্ষিপ্ত হয়ে যান। কাঁথি ১ ব্লকের বিডিও তুহিন কান্তি ঘোষ- সহ দুলালপুর পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক অয়ন বেরাকে প্রশ্ন করেন, “বিশাল পাকাঘর থাকা সত্বেও কিভাবে আবাস প্লাস যোজনায় নাম থাকে মিতালির। এটাও বিশ্বাস করা যায়”। 

এরপরেই কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি বিডিও এবং নির্মাণ সহায়ককে ধমকের সুরে বলেন, “যে কোনও শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ দেখলেই বুঝে যাবে। একটা সামাজিক বিষয়ও তো থাকে। সব শেষে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি বিডিওকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “হয় আপনারা দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিতেই এই ব্যক্তিকে আবাস তালিকায় ঠাই দিয়েছেন, অথবা আপনারা চাপের মুখে পড়ে ভয়ে এমন কান্ড ঘটিয়েছেন”।

যদিও বিডিও তুহিনকান্তি বিশ্বাস এবং আবাস তালিকার সার্ভের দায়িত্বে থাকা দুলালপুর পঞ্চায়েতের নির্মাণ সহায়ক অয়ন বেরা দাবী করেন, “আমরা কোনও চাপে পড়ে এমনটা করিনি। কোনও দুর্নীতিও করিনি। ওই মহিলা ঝুপড়িতে বসবাস করে বলেই নিজে দাবী করেছেন,  এরপরেই তাঁর নাম আবাস তালিকায় তোলা হয়েছে”। তবে এই যুক্তি মানতে চাননি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। তাঁদের সাফ যুক্তি, “আমাদের হাজারবার বোঝাতে চেষ্টা করলেও মানব না পাশে থাকা বিশাল পাকাবাড়ি ছেড়ে ঝুপড়ির একটি ঘরে এতগুলো মানুষ বসবাস করেন”।

 কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা তাঁরা মিতালি সাউ'র বাড়ির ভেতরে গিয়ে দেখে রীতিমতো হতাশ হয়ে যান। আবাস যোজনায় নাম তুলতে কোনও উপভোক্তা এতটা চালাকির আশ্রয় নিচ্ছেন দেখে নিজেদের হতাশা চেপে রাখতে পারেননি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা কাঁথি ১ ব্লকের বিডিও তুহিন কান্তি বিশ্বাসকে দুলালপুর গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় 'আবাস প্লাস' যোজনায় আগের সমস্ত তালিকা বাতিল করে নতুনভাবে তদন্তের নির্দেশও দেন। এদিন কাঁথি ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েনের নেতৃত্বে মুকুন্দপুরে ১০০ দিনের বকেয়া কাজের টাকার দাবিতে কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে বেশকিছুক্ষণ ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। অবশেষে ব্লক প্রশাসনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার মহিষাদলের বিডিও যোগেশ চন্দ্র মন্ডলকে ধমক দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। আবার গত বুধবার ময়নার বাকচা গ্রাম পঞ্চায়েতের ইজমালিচক গ্রামে সরেজমিনে গিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। এই গ্রামের বাসিন্দা দুলাল বর্মণ সহ ২৬টি পরিবারের নাম ইচ্ছাকৃত ভাবে আবাস প্লাসের তালিকা থেকে বাদ গিয়েছে বলে কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ গিয়েছে। কেন্দ্রীয় দলের দুই প্রতিনিধি তালিকা ধরে গেলেন দুলালের বাড়িতে। কিন্তু গিয়েই দেখেন পেল্লাই পাকা বাড়িতে থাকেন দুলাল ও তাঁর পরিবার। ২০০১ সাল থেকে এই বাড়িটি তৈরি হয়েছে। সামনে থাকা একটি ঝুপড়ি বাড়ি দেখিয়ে নিজেদের নাম আবাস প্লাসের তালিকায় তুলেছিলেন। এখন নাম বাদ যাওয়ায় তাঁরা শুভেন্দু অধিকারীর কাছে অভিযোগ জানিয়েছিলেন। কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা সরাসরি দুলালের পরিবারকে প্রশ্ন করেন, আপনারা পাকা বাড়ির মালিক হয়েও কেন কেন্দ্রের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন, এটা ঠিক হয়নি। 

একই ভাবে বৃহস্পতিবার নন্দকুমার থানার কুমরচক গ্রামের স্বপন আড়ি, রাসবিহারি আড়ি প্রমুখের বাড়িতে গিয়ে দেখতে পান তাঁরা রীতিমতো পাকা বাড়ি হাঁকিয়ে বসেছেন। অথচ তারপরেও আবাস উপভোক্তার তালিকায় তাঁদের নাম রয়েছে। এই নিয়ে সার্ভের দায়িত্বে থাকা আধিকারীকদের জোরদার ধমক দেন কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিরা। কিভাবে পাকা বাড়ির মালিকদের নাম এখনও আবাস প্লাসের উপভোক্তার তালিকায় রয়েছে তা নিয়েই উষ্মা প্রকাশ করেন তাঁরা।

No comments