Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

সর্বধর্ম সমন্বয়ে মহাত্মা গান্ধীর মহাপ্রয়াণ দিবসে প্রার্থনা সভা

সর্বধর্ম সমন্বয়ে মহাত্মা গান্ধীর মহাপ্রয়াণ দিবসে প্রার্থনা সভা


মহাত্মা গান্ধী;  জন্মদিন ২রা অক্টোবর ১৮৬৯ – মৃত্যু হয় ৩০শে জানুয়ারি ১৯৪৮) ছিলেন অন্যতম ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিবর্গের মধ্যে …

 



সর্বধর্ম সমন্বয়ে মহাত্মা গান্ধীর মহাপ্রয়াণ দিবসে প্রার্থনা সভা

 




মহাত্মা গান্ধী;  জন্মদিন ২রা অক্টোবর ১৮৬৯ – মৃত্যু হয় ৩০শে জানুয়ারি ১৯৪৮) ছিলেন অন্যতম ভারতীয় রাজনীতিবিদ, ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্রগামী ব্যক্তিবর্গের মধ্যে একজন এবং প্রভাবশালী আধ্যাত্মিক নেতা। এছাড়াও তিনি ছিলেন সত্যাগ্রহ আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা। যার মাধ্যমে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে জনসাধারণ তাদের অভিমত প্রকাশ করে। এ আন্দোলন প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল অহিংস মতবাদ বা দর্শনের উপর ভিত্তি করে এবং এটি ছিল ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম চালিকা শক্তি, সারা বিশ্বে মানুষের স্বাধীনতা এবং অধিকার পাওয়ার আন্দোলনের অন্যতম অনুপ্রেরণা।

ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন।
https://youtu.be/cKa6IqXmqBA

মহাত্মা মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধীজন্ম২ অক্টোবর ১৮৬৯পোরবন্দর, গুজরাত, ব্রিটিশ ভারত

মৃত্যু৩০ জানুয়ারি ১৯৪৮ (বয়স ৭৮)নয়াদিল্লী, ভারত মৃত্যুর কারণহত্যাজাতীয়তাভারতীয়অন্যান্য নামমহাত্মা গান্ধী, বাপুজি, গান্ধীজিশিক্ষাইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডন পেশা

উকিল রাজনীতিবিদ আন্দোলনকারী লেখক কর্মজীবন১৮৯৩ – ১৯৪৮যুগব্রিটিশ ভারতপরিচিতির কারণ ভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন

অহিংস আন্দোলন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের সভাপতি মেয়াদ১৯২৪ – ১৯২৫রাজনৈতিক দলভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসআন্দোলনভারতীয় স্বাধীনতা আন্দোলন দাম্পত্য সঙ্গীকস্তুরবা গান্ধীসন্তান হরিলাল মনিলাল রামদাস দেবদাস পিতা-মাতা করমচাঁদ উত্তমচাঁদ গান্ধী (পিতা)পুতলিবাই গান্ধী (মাতা)গান্ধী ভারতে এবং বিশ্ব জুড়ে মহাত্মা  (মহান আত্মা) এবং বাপু (বাবা) নামে পরিচিত। ভারত সরকার সম্মানার্থে তাকে ভারতের জাতির জনক হিসেবে ঘোষণা করেছে। ২রা অক্টোবর তার জন্মদিন ভারতে গান্ধী জয়ন্তী হিসেবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হয়। ২০০৭ সালের ১৫ই জুন জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ২রা অক্টোবরকে আন্তর্জাতিক অহিংস দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশ এ দিবস পালনে সম্মতি জ্ঞাপন করে।

একজন শিক্ষিত ব্রিটিশ আইনজীবী হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকায় নিপীড়িত ভারতীয় সম্প্রদায়ের নাগরিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে গান্ধী প্রথম তাঁর অহিংস শান্তিপূর্ণ নাগরিক আন্দোলনের মতাদর্শ প্রয়োগ করেন। ভারতে ফিরে আসার পরে তিনি কয়েকজন দুঃস্থ কৃষক-দিনমজুরকে সাথে নিয়ে বৈষম্যমূলক কর আদায় ব্যবস্থা, বহুবিস্তৃত বৈষম্যের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলেন এবং দেওবন্দিদের অধীনে খিলাফত আন্দোলন শুরু করেন।ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের নেতৃত্বে আসার পর গান্ধী সমগ্র ভারতব্যাপী দারিদ্র্য দূরীকরণ, নারী স্বাধীনতা, বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মধ্যে ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, বর্ণবৈষম্য দূরীকরণ, জাতির অর্থনৈতিক সচ্ছলতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রচার শুরু করেন। কিন্তু এর সবগুলোই ছিল স্বরাজ অর্থাৎ ভারতকে বিদেশি শাসন থেকে মুক্ত করার লক্ষ্যে। ১৯৩০ সালে গান্ধী ভারতীয়দের লবণ করের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে ৪০০ কিলোমিটার (২৪৮ মাইল) দীর্ঘ ডান্ডি লবণ কুচকাওয়াজে নেতৃত্ব দেন, যা ১৯৪২ সালে ইংরেজ শাসকদের প্রতি সরাসরি ভারত ছাড় আন্দোলনের সূত্রপাত ঘটায়। তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কারণে বেশ কয়েকবার দক্ষিণ আফ্রিকা এবং ভারতে কারাবরণ করেন।

মহাত্মা গান্ধী সমস্ত পরিস্থিতিতেই অহিংস মতবাদ এবং সত্যের ব্যাপারে অটল থেকেছেন। তিনি সাধারণ জীবনযাপন করতেন এবং একটি স্বায়ত্তশাসিত আশ্রম প্রতিষ্ঠা করেন। তার নিজের পরিধেয় কাপড় ছিল ঐতিহ্যবাহী ভারতীয় ধুতি এবং শাল, যা তিনি নিজেই চরকায় বুনতেন। তিনি সাধারণ নিরামিষ খাবার খেতেন। শেষ জীবনে ফলমূলই বেশি খেতেন। আত্মশুদ্ধি এবং প্রতিবাদের জন্য তিনি দীর্ঘ সময় উপবাস থাকতেন।

মহাত্মা গান্ধী শহীদ দিবস হিসেবে আজকের ৩০শে জানুয়ারি সারা ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্তে আজকের এই দিনটি পালন করা হয় । হলদিয়া মহাত্মা গান্ধী স্মৃতি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে গান্ধীজীর প্রতীকৃতিকে মাল্যদান এবং প্রভাত ফেরী গান্ধীজি সম্পর্কে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । উক্ত সভায় এলাকার দুস্থ মানুষদের হাতে তুলে দেওয়া হয় শীতবস্ত্র। মহাত্মা গান্ধী স্মৃতি রক্ষা কমিটির সম্পাদক আলোক রঞ্জন দাস বলেন। উপস্থিত ছিলেন জাতীয় শিক্ষক সুজন কুমার বালা, কমিটির সভাপতি শীতল বিশ্বাস হারাধন বোয়াল  দুঃস্থ মানুষদের  হাতে শীতবস্ত্র তুলে দিলেন বিবেক মহারাজ শিবনাথ সরকার প্রমুখ ।

No comments