Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মানবিক শিক্ষক,বুক ব্যঙ্কে পাঁচ লক্ষ টাকা প্রদান বিদ্যালয়কে

মানবিক শিক্ষক,বুক ব্যঙ্কে পাঁচ লক্ষ টাকা প্রদান বিদ্যালয়কে


জয়নগর হাই স্কুল 'বুক ব্যাঙ্ক'-এর উদ্যোগে এম.সি.পি.আই.প্রাইভেট লিমিটেডের আর্থিক সহযোগীতায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর চার'শ পঞ্চাশ জন দুঃস্হ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে বিল…

 



মানবিক শিক্ষক,বুক ব্যঙ্কে পাঁচ লক্ষ টাকা প্রদান বিদ্যালয়কে




জয়নগর হাই স্কুল 'বুক ব্যাঙ্ক'-এর উদ্যোগে এম.সি.পি.আই.প্রাইভেট লিমিটেডের আর্থিক সহযোগীতায় ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণীর চার'শ পঞ্চাশ জন দুঃস্হ ছাত্রছাত্রীর মধ্যে বিলি করা হয় পাঠ্য পুস্তক।


উপস্হিত ছিলেন সংস্হার সিনিয়র অ্যাডভাইসর সঞ্জয় রাজগুরু,এইচ.আর. প্রধান রজত দে, সিনিয়র ম্যানেজার কমলেশ মিনা, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নিখিল চন্দ্ৰ সাহু,শুভানুধ্যায়ী দাতা ও 'বুক ব্যাঙ্কের কর্ণধার কানাই মহন্ত।শুধু নিজেদের বিদ্যালয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয় এই 'বুক ব্যঙ্ক'।কন্যামিলন হাই স্কুল,হলদিয়া গভর্নমেন্ট টেন ক্লাস সেকেন্ডারি স্কুল,লাবন্যপ্রভা বালিকা বিদ্যালয়, পরানচক শিক্ষানিকেতন, ভাগ্যবন্তপুর হাই মাদ্রাসা,কাঞ্চননগর দিদারুদ্দিন বিদ্যাভবন প্রভৃতি বিদ্যালয়ের পনেরজন ছাত্রছাত্রী ভীষণভাবে উপকৃত এই পাঠ্যপুস্তক পেয়ে৷মাত্র দশ শতাংশ মূল্যে ছাত্রছাত্রীদের এই বই প্রদান করা হয়৷সংগৃহীত অর্থ সঞ্চিত হয় 'বুক ব্যাঙ্ক'-এর অ্যাকাউন্টে।

২০০৮ সালে কানাইবাবুর প্রতিষ্ঠিত 'বুক ব্যঙ্কে এইভাবে তিলে তিলে সঞ্চিত পাঁচ লক্ষ টাকা তিনি তুলে দেন বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের হাতে।উদ্দেশ্য এই অর্থের সুদের টাকায় প্রতি বছর তার বর্তমানে বা অবর্তমানে দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের জন্য পাঠ্যপুস্তকের সংস্হান করা৷কানাইবাবুর কথায়,"আমার স্বপ্নের বুক ব্যাঙ্কের স্বপ্ন এতদিনে পূরণ হল।বিদ্যালয় জীবনে পাঠ্যপুস্তকের অভাব ভীষ পীড়া দেয়৷লোকের কাছে বই ভিক্ষা করে পড়াশুনা করতে হয়েছে৷ সেই বোধ থেকেই আমার এই বুক ব্যাঙ্কের সূচনা।দরিদ্র ছাত্রছাত্রীদের কথা ভেবে ভবিষ্যতে আমার লক্ষ্য দশ লক্ষ টাকা গচ্ছিত রাখা।"

নবম শ্রেণীর সহায়িকা সহ সমস্ত পাঠ্যপুস্তকের মূল্য ৩৯৪০ টাকা।ছাত্রছাত্রীদের দিতে হবে মাত্র ৩৯০ টাকা।একইভাবে দশম শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীরা মাত্র ৪০০টাকার বিনিময়ে সমস্ত পাঠ্যপুস্তক পাবে৷বছরের শেষে ফেরত নেওয়া হয় সমস্ত পাঠ্যপুস্তক৷ষষ্ঠ থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত প্রতিবছর ছয় শতাধিক ছাত্রছাত্রী উপকৃত হয় এই বুক ব্যঙ্কের মাধ্যেমে।দশম শ্রেণীর ছাত্রী রিয়ার কথায়,"বাবা দিনমজুর,বই কেনার সামর্থ নেই।ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে বুক ব্যঙ্কই আমার ভরসা৷" হলদিয়া গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড টেন ক্লাস সেকেন্ডারি স্কুলের দশম শ্রেণীর ছাত্রী বর্ষা ঘোষের বাবা পেশায় ওয়েল্ডিং কর্মী।বুক ব্যঙ্ক থেকে বই পেয়ে ভীষণ উপকৃত তিনি৷

No comments