কাঁথি বই মেলার উদ্বোধন
বাম জমানায় গ্রন্থাগার দপ্তরের খিটখিটে চেহারা ছিল। খেতে পেত না। রোগাক্রান্ত ছিল। বর্তমান সরকারের আমলে এই দপ্তরের স্বাস্থ্য যথেষ্ট ভালো হয়েছে। হাঁটতে পারে। দৌড়তে পারে। চলতে পারে। অনেককিছুই করতে পারে। মুখ্যমন…
কাঁথি বই মেলার উদ্বোধন
বাম জমানায় গ্রন্থাগার দপ্তরের খিটখিটে চেহারা ছিল। খেতে পেত না। রোগাক্রান্ত ছিল। বর্তমান সরকারের আমলে এই দপ্তরের স্বাস্থ্য যথেষ্ট ভালো হয়েছে। হাঁটতে পারে। দৌড়তে পারে। চলতে পারে। অনেককিছুই করতে পারে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণা, সদিচ্ছা এবং উদ্যোগেই এসব সম্ভব হয়েছে। শুক্রবার বিকেলে কাঁথি শ্রীঅরবিন্দ স্টেডিয়ামে আয়োজিত পূর্ব মেদিনীপুর জেলা বইমেলার উদ্বোধন করতে এসে একথা বলেন, জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দপ্তরের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। এদিনের অনুষ্ঠানে মৎস্যমন্ত্রী বিপ্লব রায়চৌধুরী, জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক, অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) শৌভিক চট্টোপাধ্যায় সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনিক আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য জনশিক্ষা প্রসার ও গ্রন্থাগার পরিষেবা দপ্তর, স্থানীয় গ্রন্থাগার কৃত্যক (পূর্ব মেদিনীপুর জেলা), রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশনের মিলিত উদ্যোগে বইমেলা শুরু হয়েছে। সহযোগিতায় রয়েছে জেলা পরিষদ, জেলা প্রশাসন ও কাঁথি পুরসভা। সাতদিন ব্যাপী বইমেলা চলবে আগামী ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।
এদিন মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা সাহেব বলেন, বই হল বাঙালিদের প্রাণ। জল ছাড়া যেমন মাছ বাঁচে না, তেমনি বাঙালিরা বই বাদ দিয়ে বাঁচেন না। বাঁচা সম্ভবও নয়। বইয়ের প্রতি বিশ্বাস, আনুগত্য ও ভালোবাসা বাঙালির রক্তে আছে। বই আমাদের জীবন। বই জাতীয় জীবনের ভবিষ্যত। এই বই কিন্তু ধরে রাখতেই হবে। আমরা দায়িত্ব নিয়ে বলছি, সারা ভারতবর্ষের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের মানুষের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ বেশি। কোনও রাজ্যে এমন দৃষ্টান্ত নেই যে, জেলায় জেলায় বইমেলা হচ্ছে। এই ধরনের আগ্রহ ও দায়িত্বের সঙ্গে কোথাও বইমেলা অনুষ্ঠিত হয় না। তিনি বলেন, আমরা গ্রন্থাগারের সদস্যপদ বিনামূল্যে করে দিয়েছি। আগে সদস্যপদ নেওয়ার জন্য অর্থ দিতে হতো। এখন অর্থের কোনও প্রয়োজন নেই। শিশু, প্রাপ্তবয়স্ক ও প্রবীণদের জন্য সদস্যপদ বিনামূল্যেই করা হয়েছে। গ্লোবাল মেম্বারশিপ অর্থাৎ যে কোনও ব্যক্তি সারা রাজ্যের মধ্যে যে কোনও গ্রন্থাগার ব্যবহার করতে পারবেন। মুখ্যমন্ত্রী অন্যান্য দপ্তরের মতো এই গ্রন্থাগার দপ্তরকেও বিশেষভাবে গুরুত্ব দিয়েছেন। এবছর আমরা চার কোটি টাকা খরচ করে তিন হাজার বই কিনেছি। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ সরকার ২ কোটি টাকা এবং রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশান ২ কোটি টাকা দিয়েছে। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় শুধুমাত্র ৯ লক্ষ ৬৫ হাজার ৫১২টি বই রয়েছে। রাজ্যের মধ্যে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা শিক্ষাদীক্ষায় এগিয়ে, একথা উল্লেখ করে এজন্য দুই জেলাবাসীকে বিশেষভাবে কুর্নিশ জানান মন্ত্রী। জেলা গ্রন্থাগার আধিকারিক তথা জেলা বইমেলা কমিটির সম্পাদক বিদ্যুৎ দাস বলেন, জেলা ও রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে নামীদামি প্রকাশনা সংস্থা জেলা বইমেলায় স্টল দিয়েছে। প্রথম দিনেই বইমেলা প্রাঙ্গণে বইপ্রেমী মানুষজনের ভিড় জমে যায়।
No comments