Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

গ্রামে গ্রামে হাজির 'দিদির দূত

গ্রামে  গ্রামে হাজির 'দিদির দূত
 ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুনভাবে জনসংযোগ করতে গ্রামে গ্রামে হাজির ঘাসফুল নেতারা। ইতিমধ্যেই চলতি বছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। বিরোধীদের একইঞ্চিও জমি ছাড়তে…


 



গ্রামে  গ্রামে হাজির 'দিদির দূত


 ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোটের আগে নতুনভাবে জনসংযোগ করতে গ্রামে গ্রামে হাজির ঘাসফুল নেতারা। ইতিমধ্যেই চলতি বছরে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে পাখির চোখ করে এগোচ্ছে রাজ্যের শাসকদল। বিরোধীদের একইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ ঘাসফুল শিবির। এবার 'দিদির দূত' কর্মসূচি পালন করতে এগিয়ে  এলেন খোদ পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের  সভাধিপতি উত্তম বারিক। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে কর্মসূচি পালনে মাঠে-ময়দানে নেমে পড়ছেন তাঁরা। বুধবার পূর্ব মেদিনীপুর জেলার পটাশপুর ১ ব্লকের অমর্ষি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের বিভিন্ন এলাকায় জনসংযোগ কর্মসূচিতে গেলেন পটাশপুরের তৃণমূল বিধায়ক তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক। এদিন প্রথমে অমর্ষি ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের সরিদাসপুরে (দক্ষিণ) একটি মহাদেব মন্দিরে পুজো দেন। তারপর সরিদাসপুর গ্রামের বাসিন্দাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা খোঁজ খবর নেন স্থানীয় বিধায়ক তথা জেলা সভাধিপতি। পটাশপুরের বিধায়ক তথা পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পরিষদের সভাধিপতি উত্তম বারিক জানিয়েছেন, "গত ২ রা জানুয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন "দিদি সুরক্ষা কবচ" কর্মসূচি পালনের জন্য। প্রথম পর্যায়ের এই কর্মসূচি শুরু করলাম। এই কর্মসূচি দু'টি পর্বে চলবে। প্রথমে জেলা পরিষদের সভাধিপতি, সাংসদ ও বিধায়ক যাবেন। তারা তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে রাত্রি যাপন করবেন। এরকম করে ৭ দফা কর্মসূচি পালন হবে।" উল্লেখ্য, বুধবার, ১১ জানুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে 'দিদির সুরক্ষা কবচ' কর্মসূচি। কর্মসূচিতে প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলে পৌঁছে যাবেন 'দিদির দূত'রা। গ্রামে-গ্রামে ঘুরে শুনবেন মানুষের কথা। মানুষ যা পেয়েছেন সেটা যেমন লেখা হবে, তেমন না পাওয়ার বিষয়টিও খতিয়ে দেখা হবে। তৈরি করা হবে লিস্ট। দলের কর্মীর বাড়িতে তাঁদের সঙ্গে ভাগ করে খেতে হবে রাতের খাবার। প্রসঙ্গত, গত ২ জানুয়ারি কোলকাতার নজরুল মঞ্চে 'দিদির দূত'-এর ঘোষণা করে দলের সেকেন্ড ইন কমান্ড অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, দিদির দূত হিসাবে কাজ করবেন প্রায় সাড়ে ৩ লক্ষ ভভলেন্টিয়ার। তাঁরা মানুষের বাড়ি বাড়ি যাবেন। এই কর্মসূচি ২টো পর্যায়। প্রথম পর্যায়ে, প্রত্যেক সাংসদ, বিধায়ক, সভাধিপতি, জেলা প্রেসিডেন্ট, জেলা চেয়ারম্যান, দলীয় মুখপাত্ররা ৩২০ জনের টিম তৈরি হয়েছে। তাঁরা জানুয়ারির ১১ তারিখ থেকে ফেব্রুয়ারী ২৮ অবধি ১০ রাত করে গ্রামে থাকবেন। বাংলায় সব মিলিয়ে ৩ হাজার ৩৪৩ অঞ্চল রয়েছে। ১ জন ১০টা অঞ্চলে রাতে থাকেন, তবে ৩২০ জনের হিসাবে ৩ হাজার ২০০ অঞ্চলে রাত কাটানো যাবে। ৯৮ শতাংশ অঞ্চলই ঘোরা হবে বলে দলীয় সূত্রের খবর।

No comments