Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

স্কুলের শিক্ষকও আবাস যোজনা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে

স্কুলের শিক্ষকও আবাস যোজনা টাকা হাতিয়ে নিয়েছেশিল্পশহরে আবাস যোজনায় পাওয়া বাড়িতে দাওয়াখানা তৈরির অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছিলেন পুরসভার আধিকারিকদের। আর তা করতে গিয়ে চোখ কপালে উঠেছে তাঁদের। দেখা গিয়েছে, শাসক দলের কাউন্সিলর থ…

 


স্কুলের শিক্ষকও আবাস যোজনা টাকা হাতিয়ে নিয়েছে

শিল্পশহরে আবাস যোজনায় পাওয়া বাড়িতে দাওয়াখানা তৈরির অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নেমেছিলেন পুরসভার আধিকারিকদের। আর তা করতে গিয়ে চোখ কপালে উঠেছে তাঁদের। দেখা গিয়েছে, শাসক দলের কাউন্সিলর থেকে নেতা-নেত্রী কিংবা তাঁদের আত্মীয় স্বজন থেকে শুরু করে ঠিকাদার, বেসরকারি চাকুরে এমনকী সরকারি স্কুলের শিক্ষকও বাগিয়ে নিয়েছেন আবাস যোজনার টাকা।

কারও আবাস যোজনার বাড়ি আবার দু-তলা থেকে চার তলা। কেউ দাওয়াখানার মতোই আবাস যোজনার পাওয়া বাড়িতে দোকান ভাড়া দেওয়ার মতো করে সুবিধাযুক্ত করে নিয়েছেন। যা দেখে তদন্তকারীদের প্রাথমিক ধারণা, আবাস যোজনার বাড়ি বণ্টনের ক্ষেত্রে শুধু যে নিয়মনীতি মানা হয়নি তা নয়, বণ্টনের একটি বড় অংশ শাসকদলের ঘনিষ্ঠদের মধ্যে ভাগ-

বাঁটোয়ারা করে নেওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য, হলদিয়া পুরসভার ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে আরতি প্রধান নামে জনৈক মহিলার আবাস যোজনার বাড়ি ওষুধ দোকানে পরিণত হওয়ার ঘটনা সামনে আসার পর পুর এলাকায় কী ভাবে আবাস যোজনার বাড়ি বণ্টন হয়েছে, উপভোক্তাদের আর্থিক অবস্থা ইত্যাদি খতিয়ে দেখার জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কাগজ পত্র খতিয়ে দেখার পাশাপাশি স্থানীয় মানুষজনের কথাও বলছেন তাঁরা। আর তাতেই উঠে এসেছে এমন চমকপ্রদ তথ্য। আরতি প্রধান যেমন স্বামীর পাকা বাড়ি থাকা সত্ত্বেও একটি ঝুপড়ির সামনে দাঁড়ানো ছবি জমা দিয়ে নিজেকে ছাদহীন বাড়ির মালিক প্রমাণ করে আবাস যোজনার সুবিধা নিয়েছেন। তেমনি সুবিধা নিয়েছেন শাসকদের নেতা-নেত্রীরাও।

স্বামী ও দেওরের নামে বাড়ি বরাদ্দ করা হয়েছে। স্বামী গোবিন্দ শাসমলের নামে বরাদ্দ বাড়ি প্রসঙ্গে প্রাক্তন কাউন্সিলরের দাবি, “তিনি কাউন্সিলর হওয়ার আগেই বাড়ি পেয়েছেন। কাউন্সিলর হওয়ার পরে শেষ কিস্তির টাকা নিয়েছেন।” স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, শ্রীকৃষ্ণ জানা নামে স্থানীয় প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকের নামেও আবাস যোজনার বাড়ি বরাদ্দ হয়েছে। শিক্ষকের স্ত্রী একজন অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী। শ্রীকৃষ্ণ জানা বলেন, “মেয়ে অসুস্থ। চিকিৎসা বাবদ অনেক টাকা খরচ হয়। আবাস যোজনার জন্য আবেদন করেছিলাম সেই জন্য ঘর পেয়েছি।”পুরসভা সূত্রে খবর, পুরসভার ক্ষুদিরাম নগর এলাকায় ওই ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর শ্রাবন্তী শাসমল ঘরআত্মসাৎ করেছে।”

ভারতীয় মজদুর সংঘের সহ-সভাপতি প্রদীপ কুমার বিজলি বলেন, “সরকারি টাকা শাসক দলের নেতা-নেত্রীরা ভাগ করে খেয়েছে। যাঁরা প্রকৃত প্রাপক তাঁদের বঞ্চিত করে নিজেরা অবৈধভাবে সরকারি টাকা আত্মসাৎ করেছে।

No comments