আবাস প্লাসে নাম না থাকায় নন্দীগ্রামে বিক্ষোভ অব্যাহত। শুক্রবার নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের আমদাবাদ-১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এনিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। পঞ্চায়েত
অফিসের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির লোকজন। বিক্ষোভরত বিজেপি …
আবাস প্লাসে নাম না থাকায় নন্দীগ্রামে বিক্ষোভ অব্যাহত। শুক্রবার নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের আমদাবাদ-১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে এনিয়ে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়। পঞ্চায়েত
অফিসের সামনে টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপির লোকজন। বিক্ষোভরত বিজেপি কর্মীরা পঞ্চায়েত অফিসের গেটে তালা ঝোলাতে গেলে বাধা দেয় পুলিস। এনিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে তীব্র বাদানুবাদ শুরু হয়। পরিস্থিতি মোকাবিলায় র্যাফ নামানো হয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়া মহিলারা বলেন, উমপুন থেকে যশ সাইক্লোনে মাটির বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয়েছে। তারপরও ক্ষতিপুরণ মেলেনি। আবার আবাস প্লাসেও নাম বাদ। অথচ পাকা বাড়ি রয়েছে এরকম অনেকের নাম আবাস প্লাসের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপে এমন ঘটনা ঘটেছে। তাই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে
এদিন সুবদি গ্রাম থেকে এসেছিলেন ভানুচরণ মণ্ডল, শিবশঙ্কর সেন, আমদাবাদ গ্রাম থেকে বিকাশ পাত্র, কমল দাসরা। তাঁদের সকলের দাবি, কাঁচা বাড়িতে বসবাস করছেন। যেকোনও সময় পঞ্চায়েত কিংবা ব্লক প্রশাসনের টিম ভিজিট করে তা যাচাই করে নিতে পারে। কিন্তু আবাস প্লাসে তাঁদের নাম নেই। এখন পঞ্চায়েত তাঁদের নাম অন্তর্ভুক্ত করতেও রাজি নয়। তাই বাধ্য হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে হচ্ছে। এদিন আমদাবাদ-১ গ্রাম পঞ্চায়েত অফিসে আবাস প্লাস নিয়ে বিক্ষোভে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপির জেলা সহ সভাপতি প্রলয় পাল, অঞ্চল কনভেনর দিলীপ পালের নেতৃত্বে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হয়। প্রলয়বাবু বলেন, আবাস প্লাসে ভেরিফিকেশনের নামে পক্ষপাতিত্ব হয়েছে। মাটির বাড়ি থাকা সত্ত্বেও অনেককে ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয় নন্দীগ্রাম-২ বিডিও অখিলেশ সাহা বলেন ২০১৮সালের তালিকা ধরে বাড়ি বাড়ি সার্ভে হয়েছে। এখন কাঁচাবাড়িতে বসবাস করা সত্ত্বেও সেই তালিকায় কার কারও নাম নেই বলে জানা যাচ্ছে। আমাদের বলা হয়েছে তাঁদের নাম সংগ্রহ করে রাখতে। আমরা সেইমতো তাঁদে নাম সংগ্রহ করছি।
No comments