Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মোদি জমানায় ঋণের বোঝা ছাড়াল মাথাপিছু লক্ষ টাকা

মোদি জমানায় ঋণের বোঝা ছাড়াল মাথাপিছু লক্ষ টাকা
 আর এক মাস পরেই (১ ফেব্রুয়ারি) সংসদে পেশ হবে নতুন অর্থবর্ষের বাজেট। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। ফলে তার আগে এটিই হতে চলেছে দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তাই প্রধানমন্ত্রী…

 



মোদি জমানায় ঋণের বোঝা ছাড়াল মাথাপিছু লক্ষ টাকা


 আর এক মাস পরেই (১ ফেব্রুয়ারি) সংসদে পেশ হবে নতুন অর্থবর্ষের বাজেট। ২০২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। ফলে তার আগে এটিই হতে চলেছে দ্বিতীয় মোদি সরকারের শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিরোধীদের সমালোচনায় যতই দান-খয়রাতির সমালোচনা করুন না কেন, ভোটের দিকে তাকিয়ে তাঁর সরকারও জনমোহিনী কিছু ঘোষণা করবেন বলে ধরেই নেওয়া যায়। কিন্তু সরকারের ঋণের বোঝা কমানোর কোনও দাওয়াই মিলবে কি? সেটাই প্রশ্ন। 

কারণ, মোদি জমানায় দেশের সার্বিক ঋণ যে হু হু বাড়ছে, সরকারি তথ্যেই তা উঠে এসেছে। স্রেফ গত আট বছরে দেশে ঋণের বোঝা বেড়েছে ৮৪ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৫২ কোটি টাকা। আর দেশের ঋণ বাড়ার মানেই হল, জনপ্রতিও আর্থিক দায় চাপা। সেই অঙ্কটিও কম নয়। নরেন্দ্র মোদি সরকারের সৌজন্যে মাথাপিছু ঋণের বোঝা বেড়েছে ৫৮ হাজার ৬৯১ টাকা। ভারতে এখন জনপ্রতি ঋণের বোঝা ১ লক্ষ ৮ হাজার ২৩২ টাকা। অর্থাৎ, এই মুহূর্তে যে নিষ্পাপ শিশুটি ভূমিষ্ঠ হবে, তার মাথাতেও চাপবে ওই ঋণের বোঝা। 

কেন্দ্রীয় সরকারেরই তথ্য বলছে, চলতি বছরে স্রেফ গত ছ’ মাসে দেশের ঋণের বোঝা বেড়েছে ১১ লক্ষ ৩১ হাজার ৩৭৯ কোটি টাকা। ২০২২-২৩ সালের বাজেট পেশের সময় সরকার সংসদে জানিয়েছিল, কেন্দ্রের ওপর এখন ঋণের বোঝা ১৩৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ১৯৩ কোটি টাকা। কিন্তু গত সেপ্টেম্বর মাসে (এটিই সাম্প্রতিক, ফাইনাল পরিসংখ্যান প্রকাশ হবে আসন্ন বাজেটে) সেই অঙ্কটি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৪৭ লক্ষ ১৯ হাজার ৫৭২ কোটি টাকা। অথচ ডঃ মনমোহন সিং সরকারের থেকে ক্ষমতা ছিনিয়ে ২০১৪ সালে কেন্দ্রের কুর্সিতে নরেন্দ্র মোদি বসার সময় যে অঙ্কটি ছিল মাত্র ৬২ লক্ষ ৪২ হাজার ২২০ কোটি টাকা। 

অন্যদিকে, জানুয়ারি থেকে গরিবদের জন্য মিলবে ‘ফ্রি’ রেশন। তেল কোম্পানিগুলিও কেন্দ্রের থেকে পেল ২২ হাজার কোটি টাকার ভর্তুকি। তাদের আর্থিক ক্ষতি মোকাবিলাতেই এই টাকা দেওয়া হচ্ছে। যদিও সরকার তেল কোম্পানিগুলির থেকেই বিশেষ কর (উইন্ডফল ট্যাক্স) আদায় করে তারই অংশ ফিরিয়ে দিচ্ছে বলা যায়। ফলে মাছের তেলেই মাছ ভাজছে মোদি সরকার! তেল কোম্পানিগুলির থেকে বিশেষ কর বাবদ প্রায় ৩০ হাজার টাকা আদায় করে তাদেরই ভর্তুকি দিয়ে কৃতিত্বের ঢাক পেটাচ্ছে। যদিও তার পরেও না কমেছে রান্নার গ্যাসের দাম, না পেট্রল-ডিজেল। ফলে মধ্যবিত্তদের প্রাপ্তি কী হল? সেটাই প্রশ্ন।

No comments