সোনাধূলি- শান্তালতা বিশই সাহা
গরুর খুরের ধূলি ঢেকে দেয় বেলাআকাশের আলো চুরি করে মেঘমালা।বিকেলের রোদ লালচে আভায় যায় অস্তাচলেপাখি নীড়ে ফেরেনা বলা গল্প বলে।সে যে এক মহা সন্ধিক্ষণ,বারো ঘন্টার ঝলমলে দিনমান শেষে ক্ষণস্থায়ী গোধূলি মেতে উ…
সোনাধূলি- শান্তালতা বিশই সাহা
গরুর খুরের ধূলি ঢেকে দেয় বেলা
আকাশের আলো চুরি করে মেঘমালা।
বিকেলের রোদ লালচে আভায় যায় অস্তাচলে
পাখি নীড়ে ফেরে
না বলা গল্প বলে।
সে যে এক মহা সন্ধিক্ষণ,
বারো ঘন্টার ঝলমলে দিনমান শেষে ক্ষণস্থায়ী গোধূলি
মেতে উঠে রঙের খেলায়।
তাই দেখে প্রকৃতিও তার চরিত্র বদলায়,
সাঁঝবাতি জ্বলে উঠার অপেক্ষায়
পাখীর নীড়ে ফেরা, যেন এক ঔপন্যাসিক চরিত্র!
দিনমনির মৃদুমন্দ বাতাসে সজীব গোধূলি সময়।
আকাশের কপালে লাল টিপ,
মায়াবী সৌন্দর্যের মুগ্ধতা ছড়িয়ে দেয়
ঐ দূর গাঁয়ের পলাশডাঙার মাঠে।
দিনশেষে ক্লান্ত শরীরে মায়ের কোলে ঘুমিয়ে পড়ে সাঁঝের সোনালী আলো,
আঁধারের নুপুর বাজায় দিনের উপসংহারে।
সোনালী গোধূলি!সে যে সূর্যের স্ত্রেণিক মরণ,
গোধূলি লগ্নে মনোহরা বিবাহবাসর,
রঙের ইন্দ্রজালে রূপবালা পল্লীঅন্তর,
এ মহা সন্ধিক্ষণ যেন সোনাধূলি!!
কনে দেখা আলো রঙ্ ললিতরাগে স্নাত হয়;
প্রেম গুড়ো গুড়ো হয়,
বিকেল ভাঙে অন্তরাল।
শুকতারা বসে গেছে আকাশের জলচৌকিতে ;
আমার দখিনের বারান্দায় গোধূলিসুখে বেলা ডুবে,
কখনও বিষাদি বাতাস ঘিরে ধরে এ সময়,
তখন কলমের মুখে শব্দ উপুড় করি স্নিগ্ধময়তায়,
বুকের কার্ণিশে তুলে রাখি
গোধূলির রূপ তরঙ্গের শষ্যঅক্ষর।।
No comments