তীব্র জল্পনা উস্কে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
কাঁথির জনসভা থেকে তীব্র জল্পনা উস্কে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বললেন, ‘দরজা খুললে বিজেপি দল থাকবে না।…
তীব্র জল্পনা উস্কে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
কাঁথির জনসভা থেকে তীব্র জল্পনা উস্কে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তিনি বললেন, ‘দরজা খুললে বিজেপি দল থাকবে না। আগামী সপ্তাহে ছোট করে দরজা খুলব। ডিসেম্বর মাসেই ছোট করে দরজা খুলব। বেছে বেছে ঢুকবে।’
এই সিদ্ধান্তে আসার আগে অবশ্য একাধিক বার উপস্থিত জনতাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ কার্যত সমর্থকদের রায় নিয়েই তিনি বলে দেন, ডিসেম্বরেই হয়ত কয়েকজন বিজেপি থেকে যোগ দেবে তৃণমূলে৷ যদিও অভিষেক বলেন, ‘‘কাউকে মাথার উপর ছড়ি ঘোরাতে দেব না৷ সাধারণ সমর্থকদের সঙ্গে মিলেমিশে কাজ করবেন তাঁরা৷’’সভার শুরু থেকেই এ দিন শুভেন্দু অধিকারীকে তীব্র আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ অভিষেক বলেন, ‘‘ডায়মন্ডহারবারে ফুটেজ খেতে গিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী৷ আসলে ফুটেজ খেতেও আমার নাম নিতে হয়, দিল্লির নেতাদের কাছে নম্বর বাড়াতেও আমার নাম নিতে হবে৷’অভিষেক শুরুতেই বলেন, ‘‘বিধির বিধান দেখুন। আজ তারিখ হল ৩ ডিসেম্বর। শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর জন্মদিনে আজ শ্রদ্ধা জানিয়েছি। তার চেহারা দেখবেন বুক চিতিয়ে মাথা আকাশের দিকে। আর সেই মেদিনীপুরের মান সম্মান, আবেগকে বিক্রি করে। ঘাড়-পিঠ বাঁচিয়ে এই ডিসেম্বরে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিল।’’শুভেন্দু অধিকারীর বাসস্থানের এলাকায় এর আগেও মিটিং করেছিলেন অভিষেক৷ তখন সভাস্থল থেকে অধিকারীদের বাড়ির দূরত্ব ছিল ৫ কিলোমিটার৷ অভিষেক সে কথা মনে করিয়ে দিয়ে বললেন, ‘‘এ বার তো দু’শো মিটারের মধ্যে এসে গিয়েছি৷ আমি ভেবেছিলাম বাড়ির কাছে এসেছি, আমার কথা শুনবে৷ বাড়িতে বসে শুনবে আমার কথা৷ কিন্তু সে তো পালিয়ে গিয়েছে ডায়মন্ডহারবারে৷ ফুটেজ খেতে গিয়েছে৷’’শুভেন্দু অধিকারী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করতে গিয়ে একাধিকবার ‘ভাইপো’ সন্মোধনে কথা বলেন৷ সে প্রসঙ্গ তুলে অভিষেক বলেন, ‘‘আমার নাম তো উচ্চারণ করতে পারে না৷ ভাইপো বলে৷ তা হলে তো মামলা করা যাবে না৷ আমি দাঁড়িয়ে বলছি, আমি একটিও ভুল কথা বললে আমার নামে মামলা হোক৷’
কাঁথিতে শনিবারের সভার আগে হঠাৎই গ্রামে প্রবেশ করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর সেখানে গিয়েই গ্রামবাসীদের একাধিক অভাব-অভিযোগের কথা শুনেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়৷ আর সেখান থেকেই এ বার আচমকা কড়া নির্দেশ দিলেন অভিষেক৷যে অঞ্চলে তিনি গিয়েছিলেন, সেই অঞ্চলের একাধিক মানুষের কথা শুনে তিনি ওই অঞ্চলের পঞ্চায়েতের প্রধান, উপপ্রধান ও অঞ্চল সভাপতিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ইস্তফা দিতে বললেন তিনি৷
No comments