রাম-বামের জোটকে হারিয়ে জয়ী হল শাসক দলমহিষাদলের সমবায় নির্বাচনে বার বার ফেল করছে বাম-বিজেপি জোটের ‘নন্দকুমার মডেল'। কেশবপুরের পর এবার ফের মহিষাদলের গেঁওখালি সমবায় সমিতির ভোটে তৃণমূলের কাছে নাস্তানাবুদ হল বাম- বিজেপি জোট। …
রাম-বামের জোটকে হারিয়ে জয়ী হল শাসক দল
মহিষাদলের সমবায় নির্বাচনে বার বার ফেল করছে বাম-বিজেপি জোটের ‘নন্দকুমার মডেল'। কেশবপুরের পর এবার ফের মহিষাদলের গেঁওখালি সমবায় সমিতির ভোটে তৃণমূলের কাছে নাস্তানাবুদ হল বাম- বিজেপি জোট। রাম-বামের জোটকে হারিয়ে বুধবার জয়ী হল শাসক দল তৃণমূল। বিজেপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মহিষাদলের নাটশাল গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় গেঁওখালি সমবায় ভোটে ৪৯টি আসনের মধ্যে তৃণমূল এককভাবে জয়ী হয়েছে ২৬টি আসনে। অন্যদিকে, বাম-বিজেপি জোট পেয়েছে মোট ১৮টি আসন। কংগ্রেস পেয়েছে পাঁচটি আসন।
কিছুদিন আগে নন্দকুমারের বহরমপুরে একটি সমবায় নির্বাচনে রাম-বাম জোটের জয়ের পর সেই কৌশল মডেল করে অন্য সমবায় ভোটে কার্যকরী করার চেষ্টা করে বিজেপি। কিন্তু শুরুতেই একের পর এক সমবায় ভোটে মুখ থুবড়ে পড়তে শুরু করেছে বলে রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ। ২০নভেম্বর কেশবপুর জালপাই রাধাকৃষ্ণ কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনে ওই জোট চূড়ান্তভাবে পর্যুদস্ত হয়। ওই এলাকাও বিজেপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত এবং বিধানসভা
ভোটে বিভিন্ন বুথে এগিয়ে ছিল বিজেপি। তবু নিজেদের ভোট ব্যাঙ্কে ভরসা করতে না পেরে বামেদের ভোট সঙ্গী করে বিজেপি জয়ের লক্ষ্যে নেমেছিল বলে ব্যাখ্যা রাজনৈতিক মহলের। একইভাবে মহিষাদলের গেঁওখালিতেও জোট করে ভোটে লড়াই করে এদিন সমবায়ে হারল বিজেপি।
নাটশাল-২ তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি সুকুমার পাত্র বলেন, রাম-বাম জোট ঠেকাতে তৃণমূল ও কংগ্রেস কিছু জায়গায় জোট বেঁধে লড়াই করেছে। কিছু জায়গায় তৃণমূল একা লড়াই করেছে। কয়েকটি জায়গায় জোট হয়েছে। তার ফলে ৩১টি আসন পেয়েছে তৃণমূল ও কংগ্রেস। দুটি দলই যেহেতু জাতীয়তাবাদী দল, সেজন্য এক হয়ে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মহিষাদলের বিধায়ক তিলক চক্রবর্তীও এই জোটের কথা স্বীকার করেছেন। বিজেপির তমলুক জেলার সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শাসকদল তৃণমূল বিজেপিকে ভয় পেয়ে সমবায়ের মতো নির্বাচনেও কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করছে। উল্টে তারা বাম- বিজেপি জোট বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। সিপিএম নেতৃত্বের দাবি, আমরা তৃণমূল ও বিজেপি ছাড়া যেকোনও শক্তির সঙ্গে জোট করতে আগ্রহী।
No comments