Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

মহারাষ্ট্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে হামলার শিকার এগরার যুবক, ছত্তিশগড় থেকে ফিরল কফিনবন্দী দেহ !

মহারাষ্ট্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে হামলার শিকার এগরার যুবক, ছত্তিশগড় থেকে ফিরল কফিনবন্দী দেহ !

মহারাষ্ট্রের জলগাঁও শহরের একটি হোটেলের কাজ ছেড়ে বাড়ি ফেরার পথে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ড…

 



মহারাষ্ট্র থেকে বাড়ি ফেরার পথে ট্রেনে হামলার শিকার এগরার যুবক, ছত্তিশগড় থেকে ফিরল কফিনবন্দী দেহ !



মহারাষ্ট্রের জলগাঁও শহরের একটি হোটেলের কাজ ছেড়ে বাড়ি ফেরার পথে অস্বাভাবিক ভাবে মৃত্যু হল পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা পুরসভার ১৩ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা অমিত প্রহরাজ। তাঁকে ছত্তিশগড়ে গুরতর জখম অবস্থায় রেল পুলিশ উদ্ধার করে।

মাঘায় গুরুতর চোট নিয়ে ছত্তিশগড়ের বালোদাবাজার ডিস্ট্রিক্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয় গত ১৮ নভেম্বর। পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় পরের দিন অমিতকে নিয়ে যাওয়া হয় রায়পুরের ডিকেএস সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। ২০ তারিখে ওই হাসপাতালের আইসিইউতে মৃত্যু হয় অমিতের। আজ মঙ্গলবার তাঁর মৃতদেহটি কফিন বন্দী হয়ে বাড়িতে ফেরার পর কান্নায় ভেঙে পড়েছে গোটা পরিবার।

মৃত অমিতের পরিবারের দাবী, ১৮ তারিখে সন্ধ্যে নাগাদ ট্রেন থেকেই সে বাড়িতে ফোন করে জানিয়েছিল কয়েকজন তাঁর সঙ্গে ঝামেলা করছে, মারধর করছে। এমনকি ট্রেনে তাঁকে কিছু ইঞ্জেকশানও দেওয়া হয়েছে বলে ছেলেটি ফোন করে বাড়িতে জানিয়েছিল। তারপর থেকেই অমিতের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হুয়ে যায়। পরে ছত্তিশগড় পুলিশের তরফে জানা যায় সেখানকার হাসপাতালে অমিতের মৃত্যু হয়েছে।

চিকিৎসা চলাকালীন একাধিক পরীক্ষানিরীক্ষায় দেখা যায় অমিতের মাথায় গুরুতর চোট লেগেছিল। স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে, রেল পুলিশের সহায়তায় অমিতকে প্রায় সঞ্জাহীন অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। প্রথম দিকে তাঁর পরিচয় না জানা গেলেও চিকিৎসায় কোনও ত্রুটি রাখা হয়নি। তবে শেষ পর্যন্ত ২০ তারিখ সন্ধ্যে সাড়ে ৬টা নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়। সোমবার দেহটি ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। মঙ্গলবার বেলার দিকে অমিতের কফিন বন্দী দেহ বাড়িতে পৌছায়।

মৃতের পরিজনদের অভিযোগ, ট্রেনের মধ্যে ছেলেটি কিভাবে হামলার শিকার হল, কারা এই ঘটনায় যুক্ত তা খুঁজে বের করুক রেল পুলিশ। ওই দুষ্কৃতীদের কঠোর শাস্তির দাবী জানিয়েছেন মৃতের পরিজনেরা। অমিতের পরিবার সূত্রে দাবী, মহারাষ্ট্রের যে হোটেলে অমিত কাজ করত সেখানে বেশ কয়েকমাস বেতন মিলছিল না। এই নিয়ে হোটেলের সঙ্গে ব্যাপক ঝামেলা হয়। অবশেষে টাকা নে পেয়ে খালি হাতেই বাড়ি ফিরে আসছিল। কিন্তু পথে অজ্ঞাত দুষ্কৃতীদের হামলায় চিরতরে হারিয়ে গেল তরতাজা যুবকটি। এই ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে গোটা এলাকায়।

No comments