Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

লালধড়কা' লেলিয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ

'লালধড়কা' লেলিয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ 
সোনার গয়না চুরির অপবাদ দিয়ে হলদিয়ার হাদিয়া গ্রামে সালিসি সভা বসিয়ে জয়দেব বেতাল নামে এক ওয়েল্ডার মিস্ত্রির কাছ থেকে জোর করে ১লক্ষ ২২ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। &…

 


 'লালধড়কা' লেলিয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগ 


সোনার গয়না চুরির অপবাদ দিয়ে হলদিয়ার হাদিয়া গ্রামে সালিসি সভা বসিয়ে জয়দেব বেতাল নামে এক ওয়েল্ডার মিস্ত্রির কাছ থেকে জোর করে ১লক্ষ ২২ হাজার টাকা আদায়ের অভিযোগ উঠেছে। 'লালধড়কা' লেলিয়ে চুরির অপবাদ দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। অভিযোগ, পুজোর সময় জয়দেববাবুর কাছে গ্রামের কয়েকজন আনন্দ অনুষ্ঠান করার অছিলায় ১০হাজার টাকা দাবি করে। তিনি টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাঁকে চুরি ও ধর্ষণ কেসে ফাঁসানোর হুমকি দেওয়া হয়। এই ঘটনার  সপ্তাহখানেক পর জয়দেববাবুকে চুরির ঘটনায় ফাঁসানোর অভিযোগ ওঠে। তারপরই শালিসি সভা বসিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যের উপস্থিতিতে টাকা আদায় করা হয় বলে অভিযোগ। রবিবার এই অভিযোগে পুলিস এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। হলদিয়ার এসডিপিও রাহুল পাণ্ডে বলেন, শঙ্কর মাকড় নামে মূল অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। তবে এধরনের সালিসি সভার বিরুদ্ধে পুলিস বড় পদক্ষেপ করবে।পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ১২ অক্টোবর লক্ষ্মীপুজোর ঠিক পরই হাদিয়া গ্রামে একটি চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে সালিসি সভা বসে। জয়দেব বেতাল নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে চুরির অভিযোগ আনা হয় সভায়। স্থানীয় শঙ্কর মাকড়ের বাড়ি থেকে ১০ অক্টোবর সোনার গয়না চুরি গিয়েছে বলে অভিযোগ। সকাল ১০টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ৩ঘণ্টা ধরে সালিসি সভার পর জয়দেববাবুকে ৩লক্ষ টাকা জরিমানা করা হয়। জরিমানা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে আটকে রেখে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। শেষমেস প্রাণের ভয়ে জয়দেববাবুর পরিবার ১লক্ষ ২২হাজার টাকা দিতে বাধ্য হন। এইমর্মে ১৯অক্টোবর জয়দেববাবু সুতাহাটা থানায় শঙ্কর মাকড় সহ ৮জনের নামে অভিযোগ দায়ের করেন। প্রায় দেড়শো লোকজনের উপস্থিতিতে ওই সভা হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনার পর থেকে রীতিমত আতঙ্কে রয়েছেন জয়দেববাবুর পরিবার।

বছর আটচল্লিশের জয়দেব বেতাল দীর্ঘদিন ধরে ওয়েল্ডিংয়ের কাজের সূত্রে কখনও সৌদি আরবে কখন ভিন রাজ্যে থাকেন। পুজোর সময় তিনি ওড়িশায় কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরেন। তিনি বলেন, আমি বাড়ি ফিরতেই শঙ্কর সহ কয়েকজন এসে আনন্দ অনুষ্ঠান করার জন্য ১০হাজার টাকা দাবি করে। শঙ্করের সঙ্গে মেলামেশা থাকলেও এত টাকা দেওয়ার সামর্থ নেই বলে জানিয়ে দিই। তারপরই ওরা পরিকল্পনা করে আমাকে চুরির ঘটনায় ফাঁসিয়েছে। আমি বাইরে কাজ করি বলে ওদের ধারনা প্রচুর টাকা রয়েছে। সেজন্য ঈর্ষা থেকে একাজ করেছে। এর আগে একবার আমাকে এলাকার বাজারে স্টল করার জন্য তাঁর কাছে ৪০হাজার টাকা চেয়েছিল বলে দাবি জয়দেববাবুর। তখনও তিনি টাকা না দেওয়ায় রাগ ছিল বলে তাঁর ধারনা। 

ওই সালিসি সভায় তৃণমূলের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য গুরুপদ বাগ উপস্থিত ছিলেন বলে স্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, লালধড়কা এনে যখন ওই জয়দেবকে গলায় জড়িয়ে ধরল তখন সবাই বলল ও চুরি করেছে। স্থানীয় মানুষের এই বিশ্বাসকে বাধা দিতে পারিনি। তাছাড়া জয়দেব তো সালিসি সভায় স্বীকার করেছে। হলদিয়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ও সহ সভাপতি বিষয়টি জানার পরও এড়িয়ে গিয়েছেন। হলদিয়ার মহকুমা শাসক সুপ্রভাত চট্টোপাধ্যায় বলেন, এতো খাপ পঞ্চায়েতের মতো ঘটনা। এধরনের সালিসি সভা বন্ধ করার উদ্যোগ নেওয়া হবে। গ্রামে লালধড়কার কুসংস্কার রোধে কড়া প্রশাসনিক পদক্ষেপ করা হবে।

No comments