Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

বন্দর কর্তৃপক্ষের উদাসীনতায় হলদিয়া বন্দরের কাজের সমস্যা

বন্দর কর্তৃপক্ষের মদতেই হলদিয়া বন্দরের কাজের সমস্যাফের দুই ঠিকাদার সংস্থার ঝামেলায় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হল হলদিয়া বন্দরে। আজ, বুধবার সকাল থেকে বন্দরের ৯নম্বর বার্থে আলমেরিয়া নামে একটি ম্যাঙ্গানিজ বোঝাই জাহাজ থেকে মাল নামান…

 


বন্দর কর্তৃপক্ষের মদতেই হলদিয়া বন্দরের কাজের সমস্যা

ফের দুই ঠিকাদার সংস্থার ঝামেলায় জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ হল হলদিয়া বন্দরে। আজ, বুধবার সকাল থেকে বন্দরের ৯নম্বর বার্থে আলমেরিয়া নামে একটি ম্যাঙ্গানিজ বোঝাই জাহাজ থেকে মাল নামানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। গত শনিবার যে দুই ঠিকাদার সংস্থার মধ্যে ঝামেলা হয়েছিল, তারাই এরমধ্যে জড়িত বলে জানা গিয়েছে। এদিন সকালে একটি ঠিকাদার সংস্থা কাজ করতে গেলে অন্য সংস্থার শ্রমিকরা কাজে বাধা দেয়। ওই সংস্থার দাবি, ৯নম্বর বার্থে তাদেরই কাজ করার চুক্তি রয়েছে বন্দরের সঙ্গে। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে  সিআইএসএফ জওয়ান। জোর উত্তেজনা রয়েছে বন্দর এলাকায়।

সূত্রের খবর, প্রতিটি কারখানায় প্রত্যেকটি মানুষের চলার ক্ষেত্রে সেফটির একান্ত প্রয়োজন কারখানায় সেফটি ফাস্ট প্রয়োজন হয়‌ শ্রমিক সুরক্ষা থেকে শুরু করে কারখানার সমস্ত কিছু সচল রাখার জন্য।  বন্দরে দীর্ঘ প্রায় ১০ বছর ১৫ বছর ধরে যারা কাজ করে আসছিলেন এতদিন হঠাৎ তাদের কাজে লাগবে না সেফটি সিঙ্গেল প্রয়োজন নেই বলে উত্তেজনার ছড়ানো হলদিয়া বন্দরের ভিতরে। হলদিয়া বন্দরের ৯ নম্বর বার্থে সেফটি সিগন্যালম্যান সরবরাহ করতেন ফাইভ স্টার গ্রুপ অফ কোম্পানি। গত কয়েকদিন আগেই এই সংস্থার সঙ্গে আর একটি সংস্থা কাজের রেষারেষিতেই একটি জাহাজ দাঁড়িয়েছিল প্রায় ৩৬ ঘন্টা। বন্দর কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়ে মেশিনে খালি করেছিলেন। সেখানেও মেসিনে খালি করলেও সেফটি হিসেবে ট্রেন অপারেটর এবং সিগনাল ম্যান প্রয়োজন। রাত্রে জাহাজ  এসেছে, সকাল থেকে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন সেই সকল শ্রমিক যারা দীর্ঘদিন সিগন্যাল দেওয়ার কাজ করে আসছিলেন কিন্তু বিপত্তি ঘটে আলাদা জায়গায়। জানা যায় ওই শ্রমিকরা ফাইভ স্টার গ্রুপ অফ কোম্পানির সরবরাহ করতেন আর তার জন্যই সিগন্যাল লাগবে না রিপ্লে অ্যান্ড কোম্পানি কাজে বাধা দিলেন। ফাইভ স্টার গ্রুপ অফ কোম্পানির কর্ণধার শেখ মজাফফর সাহেব জানালেন দীর্ঘদিন এই সকল বার্থে তিনি শ্রমিক সরবরাহ করে আসছেন এবং লিখিতভাবে তিনি টেন্ডার পেয়ে শ্রমিক দিচ্ছেন। অযথা কাজের ব্যাঘাত ঘটিয়ে হলদিয়া কাজের পরিবেশ নেই। সাধারণ মানুষের কাছে মেসেজ দিতে চাইছে ঐ কোম্পানি। আর তাকে মদৎ দিচ্ছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।  যেখানে কাজ শুরুর আগেই সেফটি ফাস্ট প্রয়োজন হয় সেই সিগনাল ম্যান একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ করেন ক্রেন থেকে পন্য খালাসের সেই সিগন্যাল ম্যানকে কাজে না লাগিয়ে ট্রেনের সাহায্যে পন্য খালি করার চেষ্টা করছে। একদিকে বন্দরে যেকোনো সময় ঘটে যেতে পারে কোন দুর্ঘটনা আর শ্রমিকদের কাজ হারানোর আশঙ্কা।  হলদিয়া বন্দরের কাজের যে সমস্যা চলছে সারা ভারতবর্ষের অন্যান্য বন্দরে কাছে খুবই খারাপ জায়গায় দিন দিন পৌঁছে যাচ্ছে। যেখানে মা মাটি মানুষের সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন কোন শ্রমদিবস নষ্ট না করে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে নতুন ভাবে হলদিয়া বন্দরকে ভারতবর্ষের সমস্ত বন্দরের কাছে শ্রেষ্ঠ বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে গেলে সকলের সহযোগিতা একান্ত  ভাবে প্রয়োজন রয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

নিয়মমাফিক যাহারা টেন্ডার পেয়েছেন যে সকল শ্রমিকরা কাজ করতেন তাদেরকে কাজ করার অনুমতি দিক বন্দর কর্তৃপক্ষ এই আশা করেন।

বিএমএস রাজ্য সহ-সভাপতি প্রদীপ বিজলী বলেন কোন কারখানার ক্ষেত্রে সেফটি ফাস্ট। ক্রেন অপারেটরের সঙ্গে সিগন্যালের একান্ত প্রয়োজন। সিগন্যালম্যান ছাড়া কোন কাজ করতে গেলেই বড় সমস্যা হতে পারে। তাই সেফটিকে মাথায় রেখে সিগন্যালম্যানের প্রয়োজন আছে বলে তিনি জানালেন।

No comments