টিকলি ফটকার আগুনে ভষ্মিভূত দোকান ঘটনা স্থলে দমকলের ইঞ্জিন সকাল প্রায় ১১ টা ৪০ মিনিটে মহিষাদল ব্লকের অন্তর্গত অমৃতবেড়িয়া লকগেট প্রাঙ্গণে নিমাই সামন্তের(অসিত সামন্ত) দোকানে হঠাৎ ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। দোকানটি মূলত হার্ডওয়ার্স -…
টিকলি ফটকার আগুনে ভষ্মিভূত দোকান ঘটনা স্থলে দমকলের ইঞ্জিন
সকাল প্রায় ১১ টা ৪০ মিনিটে মহিষাদল ব্লকের অন্তর্গত অমৃতবেড়িয়া লকগেট প্রাঙ্গণে নিমাই সামন্তের(অসিত সামন্ত) দোকানে হঠাৎ ভয়াবহ আগুন লেগে যায়। দোকানটি মূলত হার্ডওয়ার্স -এর । তার সঙ্গে বিক্রির জন্য বিভিন্ন ধরনের জিনিস পত্র পাওয়া যেত। দোকানটিতে পেট্রোল বিক্রি হত। নিমাই সামন্তের ছেলে বিশ্বজিৎ সামন্ত পেট্রোল পাম্প থেকে গাড়িতে করে পেট্রোল কিনে এনে দোকানে এক লিটার ,দু লিটার করে মোটরবাইক চালকদের বিক্রি করত। সকালে বিশ্বজিৎ সামন্তের স্ত্রী পেট্রোল ১-- ২ লিটার করে বোতলে ঢেলে ভরছে। এদিকে ছোট্ট ছেলেটি টিকলি ফটকা ফুটানোর সময় তার আগুন ছিটকে পড়ে বোতলের দিকে। তৎক্ষণাৎ আগুন লেগে যায় সারা দোকানে। দোকানের ভিতরে গ্যাস সিলিন্ডারটি রান্নার জন্য ছিল । সিলিন্ডারটিতে আগুন লেগে যায়। এক মুহূর্তের মধ্যে ধূলিসাৎ হয়ে যায় দোকানের যাবতীয় বিক্রি জিনিসপত্রাদি। সিলেন্ডারটির বিস্ফোরণ চোখে পড়ার মত ছিল। খবর পাওয়া মাত্র মহিষাদল থানার পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে এসে পৌঁছায়। আগুন লাগার ঘটনার চিৎকার শুনে আশেপাশে মানুষজন জড়ো হয় আগুন নেভানোর জন্য। দোকানটিতে দিনের পর দিন এই ভাবে পেট্রোল বিক্রি হতে থাকে। পেট্রোল থেকে আগুন লাগার মূল কারণ বলে জানিয়েছেন অমৃতবেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা প্রত্যক্ষদর্শী সত্য রঞ্জন অধিকারী । কিন্তু আগুন নেভানোর জন্য Fire Extinguisher অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রটি দোকানে রাখা নেই। রাখা নেই বালতিতে ভরা লাল বালি। ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা। পেট্রোল কিনে ব্যবসা করার জন্য যে যে যন্ত্রাংশ রাখার প্রয়োজন। আইন অনুযায়ী সেগুলি দোকানে রাখা ছিল না। হলদিয়া থেকে দমকল বাহিনী ( Fire -Brigade)- র একটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই এলাকার জনসাধারণ আগুন নিভিয়ে ফেলে। দমকল বাহিনীর অফিসার- ইন-চার্জ তারকেশ্বর সিনহা বলেন, আমাদের পৌঁছানোর আগেই আগুন নেভানো হয়েছে। তিনি আর বলেন, এইভাবে প্রত্যন্ত গ্রামের ভিতরে দোকানে পেট্রোল রেখে ব্যবসা করা উচিত নয়। দোকান ঘরটি পাকার ছাদ ঢালাই ছিল বলে পাশের দোকানদার গুলি রেহাই পেয়ে গিয়েছে।
No comments