নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
খোদ শাসকদলের যুব সভাপতির বিরুদ্ধে নাবালিকা তথা নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ। রাতের অন্ধকারে বাড়ি গিয়ে নাবালিকার বাবাকে মারধর করে বাড়ি থেকে স্বদলবলে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। বিজয়া দশ…
নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ
খোদ শাসকদলের যুব সভাপতির বিরুদ্ধে নাবালিকা তথা নবম শ্রেণীর ছাত্রীকে অপহরণের অভিযোগ। রাতের অন্ধকারে বাড়ি গিয়ে নাবালিকার বাবাকে মারধর করে বাড়ি থেকে স্বদলবলে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ। বিজয়া দশমীর দিন অভিযুক্ত নেতা তার বাহিনীকে সঙ্গে নিয়ে নাবালিকার বাড়িতে হাজির হয়। অভিযোগ নাবালিকাকে আগে থেকেই ফুসলে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে রেখেছিল। ওই রাতেই জোরপূর্বক মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে বাবা বাধা হয়ে দাঁড়ান। এরপর মারধর চালায় তার বাবাকে, তারপর নাবালিতা কে অপহরণ করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় ১৬ বছর বয়সী নবম শ্রেণীর ছাত্রীর সাথে প্রায় ৩০ বছর বয়সি যুবকের বিয়ে করার বাসনায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছেন নাবালিকার পরিবার। শুধু তাই নয় বাবা-মাকে হুমকিও দেওয়া হয়েছে। তিনি একজন তৃণমূলের প্রভাবশালী নেতা।তার বিরুদ্ধে কিছুই করতে পারবে না। থানা পুলিশ আদালত কোন কিছুই কাজ করবে না। এই মর্মে পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানায় অভিযুক্ত যুবকের বিরুদ্ধে লিখিত এফ-আই-আর করেছে নাবালিকার বাবা গদাধর ভূঁইঞ্যা। যুবকের নাম আনন্দ দাস, বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা থানা এলাকার কৈথড় গ্রাম। এক নম্বর কসবা অঞ্চল যুব সভাপতি। নাবালিকার বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের মারিশদা থানা এলাকার মশাগাঁ গ্রাম। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ প্রথমত বিলম্ব করলেও পরে বিষয়টি জটিল আকার নিতে পারে ভেবে যুবককে গ্রেফতার করতে তৎপর হয়। শুক্রবার দুপুরে যুব নেতার বাড়িতে দুই থানার বিরাট পুলিশ বাহিনী পৌঁছায়। কিন্তু পুলিশ গিয়ে তার বাড়িতে দেখতে পায় বাড়িতে জনমানষ শূন্য। সবাই গা ঢাকা দিয়েছে। পুলিশ ইতিমধ্যে অভিযুক্ত নেতার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে। অপরদিকে নাবালিকার বাবা-মা সহ তার গোটা পরিবার চরম দুশ্চিন্তায় প্রহর গুনছেন।
ঘটনা কে ঘিরে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক তোলপাড় শুরু হয়েছে। যেখানে শাসকদলের নেতাদের হাতে নাবালিকা নারীরা সুরক্ষিত নয়। সেখানে সরকার কতটা সুরক্ষা দেবে সে নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়। এই ঘটনাকে ঘিরে রীতিমতো উদ্বেগের মধ্যে রয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
No comments