Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

হলদিয়ার মিষ্টি এখন বিদেশ যাত্রা

হলদিয়ার মিষ্টি এখন বিদেশ যাত্রা

 দীপাবলিতে মেলবোর্ন যাত্রা করল হলদিয়ার ব্রাহ্মী সন্দেশ। সঙ্গী কাঁচা হলুদের রসগোল্লা। হলদিয়ার দেশপ্রাণ সুইটসের এই অরগ্যানিক রসগোল্লা ও সন্দেশের জনপ্রিয় হয়েছে করোনার সময় থেকে। ব্যাঙ্গালোর, দিল্লি, মু…

 



হলদিয়ার মিষ্টি এখন বিদেশ যাত্রা



 দীপাবলিতে মেলবোর্ন যাত্রা করল হলদিয়ার ব্রাহ্মী সন্দেশ। সঙ্গী কাঁচা হলুদের রসগোল্লা। হলদিয়ার দেশপ্রাণ সুইটসের এই অরগ্যানিক রসগোল্লা ও সন্দেশের জনপ্রিয় হয়েছে করোনার সময় থেকে। ব্যাঙ্গালোর, দিল্লি, মুম্বাইয়ের পর এবার হলদিয়ার প্রবাসী সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার শুভঙ্কর চক্রবর্তীর হাত ধরে পাড়ি দিল অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নে।


মেলবোর্নে 'বিরাট-গাথা'র সঙ্গে এবার বাঙালির মিষ্টি-মঙ্গল' যুক্ত করে গর্বিত হলদিয়া। দেশপ্রাণের মহিষের দুধের তৈরি সন্দেশ ও স্টিম স্নশ কেক পেট্রকেম ও দ্য চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর কর্ণধার পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়ের খুব প্রিয়। বিদেশ থেকে কলকাতায় এলেই অর্ডার পড়ে হলদিয়ায়।দীপাবলির অরগ্যানিক সন্দেশের সঙ্গে ভাইফোঁটায় তাল ঠুকছে আমের পাটিসাপটা, কোকোনাট ক্রাঞ্চ সন্দেশ এবং চকোলেট ভাপা সন্দেশ। ভাইফোঁটায় নতুন স্বাদের মিষ্টিতে চমক দেবে দেশপ্রাণ সুইটস। ভাইফোঁটায় নতুন মিষ্টিতে চমক দিতে তৈরি হলদিয়ার নামী মিষ্টি দোকান শ্রীকৃষ্ণ সুইটস, ঐতিহ্য সুইটস। শ্রীহরি মিষ্টান্ন ভান্ডার, শ্রীকৃষ্ণ সুইটসের কর্ণধার সিদ্ধেশ্বর রাউৎ বলেন চকোলেট ও আখরোট, পেস্তা, দামী কিসমিসের মতো নানা ধরনের শুকনো ফলের ফ্রুটস সন্দেশের উপর জোর দিয়েছে সবাই। মিষ্টিতে নানা ধরনের উদ্ভাবনী আইডিয়া মিশিয়ে কারিগররা রচনা করছেন মিষ্টি- পুরান।হলদিয়ার বহু তরুণ তরুণী বিদেশে থাকেন। তাঁরা কেউ পুজোর ছুটিতে বাড়ি এলেই হলদিয়ার সেরা দোকানগুলিতে আলাদা করে অর্ডার দেন মিষ্টির। যেমন দিয়েছিলেন হলদিয়া ইন্সটিটিউট অব টেকনোলজির প্রাক্তনী শুভঙ্কর। তিনি ছোট থেকেই দেশপ্রাণের মিষ্টি খেয়ে বড় হয়েছেন। রসগোল্লা ও সন্দেশের ভক্ত শুভঙ্কর দেশে ফিরেই ফোন করেছিলেন দেশপ্রাণের কর্ণধার অভয়ানন্দ পাত্রকে। কর্মসূত্রে তাঁর বাবা হলদিয়ায় থাকতেন। এখন রাজারহাটে নতুন ফ্ল্যাটে তাঁরা চলে গেলেও ছেলে ফিরলেই দেশপ্রাণের মিষ্টি চাই।অভয়ানন্দবাবু বলেন, লক্ষ্মী পুজোর পর মেলবোর্ন ফেরার আগে শুভঙ্কর ২০০পিস করে হলুদের রসগোল্লা ও ব্রাহ্মী সন্দেশ প্যাকেট করে নিয়ে গিয়েছে। ওদেশের বন্ধুদের দীপাবলির গিফট হিসেবে বাঙলার রসগোল্লা খাওয়াবে। এই রসগোল্লা মহিষের দুধের ছানা দিয়ে তৈরি এবং কাঁচা হলুদের রস ব্যবহার করা হয়েছে। করোনার সময় থেকে এই মিষ্টি বিশেষ অর্ডার হিসেবে তৈরি করছি আমরা। তিনি  জানান, ভাইফোঁটার জন্য তিনটে নতুন আইটেমের মিষ্টি তৈরি করেছি। আমের পাটিসাপটার প্রতি পিসের দাম ২৫ টাকা। চকোলেট ভাপা সন্দেশ ও কোকোনাট ক্রাঞ্চ সন্দেশের দাম ১৫টাকা করে।ভাইফোঁটা স্পেশাল মিষ্টির দাম বাড়লেও অন্যান্য মিষ্টির দাম তেমন বাড়ছে না বলে জানান ব্যবসায়ীরা। তাঁরা বলেন, এখন ব্যবসা উৎসবকেন্দ্রীক হয়ে গিয়েছে। একদিকে মূল্যবৃদ্ধি অন্যদিকে আর্থিক সঙ্কটের কারণে মামুষের হাতে বাড়তি অর্থের অভাব। মানুষজন বাজেটের বাইরে খরচ করতে গিয়ে বিপাকে পড়ছে। তাই মিষ্টির দাম বাড়ানো যাচ্ছ না হঠাৎ করে। তবে দুধ সহ মিষ্টি তৈরির অন্যান্য উপকরণের দাম অনেকটা বেড়ে গিয়েছে। গরু ও মহিষের দুধ ৫-১০টাকা করে বেড়ে গিয়েছে। গরুর দুুধ ৪৩টাকা ও মহিষের দুধ ৬৫টাকা করে কিনতে হচ্ছে।ভাইফোঁটা হিন্দুদের একটি উৎসব। এই উৎসবের পোষাকি নাম ভ্রাতৃদ্বিতীয়া অনুষ্ঠান। কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে (কালীপূজার দুই দিন পরে) এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। বাঙালি হিন্দু পঞ্জিকা অনুযায়ী, এই উৎসব কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ২য় দিনে উদযাপিত হয়। মাঝেমধ্যে এটি শুক্লপক্ষের ১ম দিনেও উদযাপিত হয়ে থাকে। পশ্চিম ভারতে এই উৎসব ভাইদুজ নামেও পরিচিত। সেখানে ভ্রাতৃদ্বিতীয়া পাঁচ-দিনব্যাপী দীপাবলি উৎসবের শেষদিন। আবার, মহারাষ্ট্র, গোয়া ও কর্ণাটকে ভাইফোঁটাকে বলে ভাইবিজ। নেপালে ও পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পার্বত্য অঞ্চলে এই উৎসব পরিচিত ভাইটিকা নামে। সেখানে বিজয়াদশমীর পর এটিই সবচেয়ে বড় উৎসব। এই উৎসবের আরও একটি নাম হল যমদ্বিতীয়া। কথিত আছে, এই দিন মৃত্যুর দেবতা যম তার বোন যমুনার হাতে ফোঁটা নিয়েছিলেন। অন্য মতে, নরকাসুর নামে এক দৈত্যকে বধ করার পর যখন কৃষ্ণ তার বোন সুভদ্রার কাছে আসেন, তখন সুভদ্রা তার কপালে ফোঁটা দিয়ে তাকে মিষ্টি খেতে দেন। সেই থেকে ভাইফোঁটা উৎসবের প্রচলন হয়। ভাইফোঁটার দিন বোনেরা তাদের ভাইদের কপালে চন্দনের ফোঁটা পরিয়ে দিয়ে ছড়া কেটে বলে-“ ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা, যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা।যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা, আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা॥যমুনার হাতে ফোঁটা খেয়ে যম হল অমর।আমার হাতে ফোঁটা খেয়ে আমার ভাই হোক অমর॥ ”

No comments