Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার অ্যান্ড হেড মিস্ট্রেস হলদিয়া মহকুমার ১ম ত্রি বার্ষিক সম্মেলন

অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার অ্যান্ড হেড মিস্ট্রেস হলদিয়া মহকুমার ১ম  ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় হলদিয়া গভমেন্ট বিবেকানন্দ বিদ্যাভবনে তাদের প্রায় ১৫ দফা দাবি নিয়ে আজ সম্মেলনে আলোচনা হয় সম্মেলনে ছিলেন পরেশ চন্দ্র দ…

 




অ্যাডভান্স সোসাইটি ফর হেডমাস্টার অ্যান্ড হেড মিস্ট্রেস হলদিয়া মহকুমার ১ম  ত্রি বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় হলদিয়া গভমেন্ট বিবেকানন্দ বিদ্যাভবনে তাদের প্রায় ১৫ দফা দাবি নিয়ে আজ সম্মেলনে আলোচনা হয় সম্মেলনে ছিলেন পরেশ চন্দ্র দাস স্নেহাশীষ আচার্য সম্পাদক ও সভাপতি। উপস্থিত ছিলেন জেলা কমিটির সদস্য হরিদাস ঘটক অনুপম বিশ্বাস ও অন্যান্য নেতৃত্ববৃন্দ।

মিড ডে মিল সহ কিছু সরকারি প্রকল্প থেকে অব্যাহতি চেয়ে বিকাশ ভবনে চিঠি দিয়েছিলেন প্রধানশিক্ষকরা। স্বল্প বরাদ্দে পড়ুয়াদের মুখে গ্রাস তুলে দেওয়ার মতো গুরুদায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন, এই ছিল দাবি। তা নিয়ে রাজ্যের তরফে এখনও কোনও উত্তর দেওয়া হয়নি। এর মধ্যেই এবার প্রধান শিক্ষকদের বাড়তি ইনক্রিমেন্ট বন্ধ করার সরকারি অর্ডার কার্যকর করার নির্দেশ এলো একাধিক জেলা থেকে। একই সঙ্গে প্রধান শিক্ষকদের ফিরিয়ে দিতে হবে বেতনের বাড়তি টাকাও। সূত্রের দাবি, সেই পরিমাণ প্রায় লাখখানেক। এর ফলে বহু প্রধান শিক্ষককে কার্যত সহ শিক্ষকদের বেতনে কাজ করতে হবে। এই নির্দেশের জেরে প্রধান শিক্ষকদের অসন্তোষের আগুনে ঘি পড়েছে। দাবি তো মিটলই না। উল্টে নয়া নির্দেশের খাঁড়া। 

রোপা ২০০৯ অনুযায়ী, প্রধান শিক্ষকদের বাড়তি ৩ শতাংশ ইনক্রিমেন্ট দিয়ে পে ফিক্সেশন করা হত। ২০১৯ সালের রোপা অনুযায়ী সেই নিয়ম কিছুটা পাল্টে, ইনক্রিমেন্টের পরবর্তী ধাপে তুলে তাঁদের পে ফিক্সেশন করা হয়েছে। চলতি বছরের ২ মে একটি অর্ডার জারি করা হয়। তাতে ১০ বছর সন্তোষজনক চাকরির জন্য প্রধান শিক্ষকদের প্রাপ্য ইনক্রিমেন্টটি ফিরিয়ে আনা হয়। এই ইনক্রিমেন্ট সহ-শিক্ষকরা পান। তবে, সহ-শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক হওয়ার পরে তাঁদের এই ইনক্রিমেন্ট দেওয়া হচ্ছিল না। সেটি ফিরিয়ে আনার সঙ্গে সঙ্গে প্রধান শিক্ষক হওয়ার যে ইনক্রিমেন্ট, সেটিকে বাদ রাখা হয়। তবে, এই অর্ডারের পরে সবকিছু চুপচাপই ছিল। তবে, দু’-একদিনের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর এবং ঝাড়গ্রাম জেলার ডিআইদের দু’টি অর্ডারে ঝড় উঠেছে। তাতে বলা হয়েছে, ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি থেকে নিযুক্ত প্রধান শিক্ষকদের প্রাপ্ত ইনক্রিমেন্টটি তো বাতিল হবেই, তাঁদের এই বেতনবৃদ্ধির জেরে বাড়তি টাকাও ফেরাতে হবে। একটি প্রধান শিক্ষক সংগঠনের নেতা চন্দন মাইতির দাবি, এর পরিমাণ প্রায় এক লক্ষ টাকা। কারও ক্ষেত্রে বেশিও হতে পারে। বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পের চাপ সামাল দিয়ে স্কুল চালানো প্রধান শিক্ষকরা আর কীসের আশায় চাকরিতে আসবেন, প্রশ্ন তাঁর।

প্রধান শিক্ষক নেতা কৃষ্ণাংশু মিশ্র বলেন, এই নির্দেশের প্রেক্ষিতে আমরা শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপের দাবি জানাচ্ছি। পূর্বে নেওয়া আর্থিক সুবিধা পরবর্তীকালে জারি কোনও নির্দেশিকা দিয়ে তো বাতিল করা যায় না। তমলুকের কাছে একটি স্কুলের প্রধান শিক্ষক তিমির ভট্টাচার্য বলেন, একই বেতনে অনেক বেশি চাপ নিয়ে কাজ করতে কেউ রাজি হবেন না। অনেকেই চাইবেন সহ শিক্ষকের চাকরিতে ফিরে যেতে। তবে, বর্তমান নিয়মে সেটাও সম্ভব নয়। প্রসঙ্গত, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষকরা সহ শিক্ষকদের তুলনায় মাসিক ৫০০ টাকা বেশি পান বেতনের সঙ্গে। মাধ্যমিক বা উচ্চ প্রাথমিক স্তরের প্রধান শিক্ষকদের ক্ষেত্রে সহ শিক্ষকদের সঙ্গে সেই ফারাকটুকুও নেই। তাই তাঁদের বেতন তো সহ শিক্ষকদের সমান হবেই, অনেকের ক্ষেত্রে তা কমেও যেতে পারে। কারণ, সিনিয়রিটির জেরে অনেক সহ শিক্ষকই বেতনের নিরিখে প্রধান শিক্ষকদের ছাপিয়ে যেতে পারেন।

পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতির রাজ্য সভাপতি দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, প্রধান শিক্ষকদের অনেক চাপ নিয়ে কাজ করতে হয়। তাই তাঁদের বাড়তি ইনক্রিমেন্টের দাবি ন্যয্য। তবে, সরকারি অর্ডারও আপাতত মানতে হবে। তার পরে সরকারের কাছে এই অর্ডার বাতিল করার বা ইনক্রিমেন্ট ফেরত দেওয়ার দাবি জানানো যাবে।

No comments