তাজপুর বন্দরের আনুষ্ঠানিক অনুমতি আদানি গোষ্ঠীকে
গোটা রাজ্যে যখন কর্মসংস্থানের হাওয়াকার ঠিক সেই সময় রাজ্য সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত তাজপুর বন্দর। আর সেই তাজপুর বন্দরের দায়ভার যে আদানি গোষ্ঠীর ওপর যাচ্ছে তা আগেই স্পষ্ট করেছিল রাজ্য…
তাজপুর বন্দরের আনুষ্ঠানিক অনুমতি আদানি গোষ্ঠীকে
গোটা রাজ্যে যখন কর্মসংস্থানের হাওয়াকার ঠিক সেই সময় রাজ্য সরকারের নয়া সিদ্ধান্ত তাজপুর বন্দর। আর সেই তাজপুর বন্দরের দায়ভার যে আদানি গোষ্ঠীর ওপর যাচ্ছে তা আগেই স্পষ্ট করেছিল রাজ্য সরকার। বুধবার কলকাতার নিউটাউনে রাজ্য সরকারের বিজয়া সম্মিলনী থেকে আদানি গোষ্ঠীর হাতে তাজপুর বন্দরের লেটার অফ ইনটেন্ট(আগ্রহপত্র) তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই খবরের পরেই স্থানীয় এলাকায় জুড়ে কার্যত খুশির বন্যা। হলদিয়ার পর জেলায় ফের তাজপুর বন্দরের খবরে এক প্রকার কর্মসংস্থানের দিশা দেখছেন সাধারণ মানুষজন।
প্রশাসন সূত্রে খবর, বাণিজ্য, যোগাযোগ ও পর্যটনসহ অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্ব ভূমিকা রাখবে এই বন্দর। বন্দরের জন্য ১০০০ একর জমি দেবে রাজ্য। ইতিমধ্যে প্রয়োজনীয় জমি চিহ্নিত করার কাজ শেষ করেছে রাজ্য সরকার। তাজপুর থেকে শংকরপুর মাঝে তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে এই সমুদ্র বন্দর তৈরি করার জন্য রাজ্য সরকার সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ করবে সরকারি ও বেসরকারি অংশীদারীর মাধ্যমে। তাজপুর সমুদ্রবন্দর গড়ে উঠলে হলদিয়া বন্দরের ওপর থেকে অনেকটাই চাপ কমবে। কলকাতা থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে এই তাজপুর বন্দর। জাতীয় সড়ক থেকে বন্দরের দূরত্ব হবে মাত্র পাঁচ কিলোমিটার। কাছে গড়া হবে রাজনগর রেলস্টেশন। বন্দরের ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ চ্যানেলের নাব্যতা থাকবে ১২.১। জোয়ারের সময় নাব্যতা বেড়ে গিয়ে দাঁড়াবে ১৬ মিটার। নবান্ন সূত্রে খবর, বন্দর নির্মাণ কার্যে ১৫ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হবে। পাশাপাশি আনুষাঙ্গিক পরিকাঠামো উন্নয়নে খরচ হবে ১০ কোটি। সব মিলিয়ে ২৫ কোটির বিনিয়োগ হতে চলেছে। পাশাপাশি ২৫ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ মিলবে।
অনেকের মতে দেশের পাশাপাশি রাজ্যে ও অনেকদিন ধরে লগ্নীর খরা চলছে। সেই জায়গায় রাজ্য সরকারের তাজপুর বন্দর নিয়ে পদক্ষেপ বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। একসময়ের মোদি ঘনিষ্ঠ আদানি গোষ্টির হাতে তাজপুর বন্দরের দায়িত্ব দেওয়ায় বিরোধীরাও তাদের অস্ত্রের শান দিচ্ছে। বুধবার আদানি পুত্র করন আদানির হাতে আগ্রহপত্র তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। এর আগে রাজ্য মন্ত্রিসভা সেই উদ্যোগে ছাড়পত্র দিয়েছিল। টুইট করে করন আদানি জানিয়েছেন, "বাংলার প্রথম গভীর সমুদ্র বন্দর। শুধু বন্দর তৈরি করব না পূর্ব ভারতের জলপথের গেটওয়ে গড়ে উঠবে।"
No comments