হলদিয়ার চাউলখোলা গ্ৰামে মহিলা পরিচালিত দুর্গা পুজো
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা জমিয়ে দুর্গাপুজো করছেন হলদিয়া ব্লকের চাউলখোলা গ্রামের মহিলারা।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে প্রত্যেক মাসে পাঁচশো ট…
হলদিয়ার চাউলখোলা গ্ৰামে মহিলা পরিচালিত দুর্গা পুজো
লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকা জমিয়ে দুর্গাপুজো করছেন হলদিয়া ব্লকের চাউলখোলা গ্রামের মহিলারা।মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৈরি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে প্রত্যেক মাসে পাঁচশো টাকা করে পাচ্ছেন মহিলারা।সেই জমানো টাকার অংশ থেকেই দুর্গাপুজোয় খরচ করতে চান তাঁরা। সম্পূর্ণ মহিলা পরিচালিত এই পুজো এবার দ্বিতীয় বর্ষে পড়েছে। পুজো কমিটির সম্পাদিকা ঝর্ণা মান্না বলেন, “গত বছর থেকে আমাদের গ্রামের মহিলারা উদ্যোগ নিয়ে দুর্গাপুজো শুরু করেছি।গত বছর সেপ্টেম্বর মাস থেকে আমরা গ্রামের মহিলারা রাজ্য সরকারের দেওয়া 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-এর টাকা পাচ্ছি। ফলে সেই 'লক্ষ্মীর ভাণ্ডার'-এর টাকা থেকে সবার আর্থিক সাহায্যের পরিমাণ অনেকটাই বেশি হয়েছে।”
হলদিয়া চাউলখোলা গ্রামে কাত্যায়নী মহিলা পুজো কমিটির সদস্য প্রায় ৩০ জনের কাছাকাছি।পুজোর সমস্ত দায় দায়িত্ব মহিলাদের।মণ্ডপ,প্রতিমা থেকে ঢাকি বায়না,অনুষ্ঠান সূচি তৈরি,অতিথি আপ্যায়ন,পুরোহিত নির্বাচন আরও কত কী কাজ পুজোর।ঝর্ণাদেবী বলেন,“সমস্ত কাজের জন্য এক-একটি টিম তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। এখন কাজ চলছে পুরোদমে।আজ মহালয়া,পুজো শুরু হয়ে গেল।দু'বছর কোভিড আতঙ্ক কাটিয়ে এবার পুজোয় মাতবে আট থেকে আশি সকলেই।”
আমাদের বাড়ির ছেলেমেয়েদের নিয়েই হবে নানা অনুষ্ঠান। বহিরাগত শিল্পীদের নিয়ে কোনও অনুষ্ঠান থাকছে না। অত টাকাই বা কোথায়?” পুজো কমিটির সদস্য সরস্বতী মাজী বলেন,একদল নবীন-প্রবীণ মহিলারা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন।কেউ ছুটছেন মৃৎশিল্পীর কাছে,তো কেউ বা আবার যাচ্ছেন মণ্ডপ শিল্পীর কাছে।আবার কেউ পাড়ায় চাঁদা সংগ্রহ করতে যাচ্ছেন।কারও দায়িত্ব পড়েছে ১০৮ পদ্ম আনার।কেউ কেউ আবার ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন অনুষ্ঠান সূচি নিয়ে।
এলাকার এক কলেজ ছাত্রী বৈশাখী মাজী বলেন, “পুজোয় এবছর আমাদের উৎসাহ অনেকটাই বেশি। দু'বছর কোভিডের জন্য পুজোয় সেভাবে আনন্দ করতে পারিনি।এবছর কোভিড কাটতেই পাড়ায় ধুমধাম করে পুজোর আয়োজন শুরু হয়েছে।পুজোয় আবার বন্ধুদের নিয়ে আনন্দ করতে পারব,খুব ভালো লাগছে"।
No comments