মহালয়ার আগে শিব দুর্গার সেবা করলেন পছন্দের অধিকারে ছন্দা জানা শিল্প শহর হলদিয়া এলাকার দু:স্থ অসহায় মানুষ জনদের পাশে দাঁড়ালেন ছন্দা জানা। হলদিয়া দুর্গাচক কলোনি বাজারের অভিজাত বস্ত্র প্রতিষ্ঠান থেকে বস্ত্র কিনে দিলেন। বাঙালি…
মহালয়ার আগে শিব দুর্গার সেবা করলেন পছন্দের অধিকারে ছন্দা জানা
শিল্প শহর হলদিয়া এলাকার দু:স্থ অসহায় মানুষ জনদের পাশে দাঁড়ালেন ছন্দা জানা। হলদিয়া দুর্গাচক কলোনি বাজারের অভিজাত বস্ত্র প্রতিষ্ঠান থেকে বস্ত্র কিনে দিলেন। বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর আগেই এলাকার প্রায় শতাধিক মানুষ জনদের তাঁদের পছন্দের মত নতুন জামা ,কাপড় কেনার স্বাধীন " পছন্দের অধিকার "দিলেন হলদিয়া হাজরা মোড় নটরাজ ডান্স এন্ড কালচাল একাডেমীর অধ্যক্ষা শ্রীমতি ছন্দা জানা । একাডেমির অধ্যক্ষা শতাধিক বৃদ্ধ-বৃদ্ধাদের হাজির করে তাঁদের বাসে করে নিয়ে পৌঁছান হলদিয়া দুর্গাচকে অভিজাত বস্ত্রালয়ে। সেখানে প্রত্যেকে তাঁদের নিজেদের পছন্দের মত শাড়ি, জামা, সায়া ও ব্লাউজ কিনলেন । প্রত্যেকের টাকা অধ্যক্ষা মিটালেন। তারপর বাসে করে তাঁদের হলদি নদীর মেরিন ড্রাইভে বেড়াতে নিয়ে গেলেন ।সেখানে দীর্ঘ সময় কাটালেন। খাওয়া-দাওয়া করার পর আবার তাঁদের কে ফিরিয়ে আনলেন হাজরামোড়ে সংস্থার প্রতিষ্ঠানে। সংস্থার অধ্যক্ষা শ্রীমতি ছন্দা জানা জানান, এইসব মানুষজনদের দিয়েই দুর্গা পুজোর আনন্দের শুরু। এদের স্বামী নেই ।ছেলে-মেয়ে থেকেও নেই ।পূজোর সময় কোন বছর এদেরকে কেউ নতুন পোশাক কেনাকাটা করে দেয় না। পরপর দু' বছর করোনা ভাইরাসের জন্য আমি উদ্যোগ নিয়ে এই প্রোগ্রামটি করতে পারিনি । এই বছর এই প্রোগ্রামটি করলাম। আমি সমাজে একটাই বার্তা দিতে চাই ।যে সব এলাকার অসহায় দু:স্থ মানুষজন রয়েছেন । তাঁদেরকে যদি আমরা প্রত্যেকে উদ্যোগী হয়ে কিছু কিছু পুজোর আগেই নতুন পোশাক কিনে দেই । তাহলে তাঁদেরও মনে একটা আনন্দের উচ্ছ্বাস ভেসে উঠবে। তাঁরাও পাঁচজনের মত পুজোর আনন্দ উপভোগ করতে পারবেন। সংস্থার সভাপতি উৎপল জানা বলেন ,আগামী দিনে এই ধরনের উদ্যোগ আরও আমরা বেশি করে নেব। আমরা চাই বিভিন্ন সংস্থাগুলি যদি এই ধরনের প্রোগ্রাম করে সমাজে মেহনতি মানুষের কাছে একটা বার্তা পৌঁছে দেয়। তাহলে সমস্ত মানুষ সতর্ক হবেন। একই সাথে সবাই আনন্দ উপভোগ করবেন। একসাথে কাটালেন পুত্র প্রতীক জানা ও আকাশ জানা। পুত্রবধূ রেশমি জানা ও দেবাঙ্গনা জানা ও নটরাজ ড্যান্স অ্যান্ড কালচারাল একাডেমির ছাত্রী ও শুভানুধ্যায় বৃন্দ।
No comments