হোমে পাঁচ মন আমকাঠ পোড়ে সুতাহাটার দেববাড়ির দুর্গাপুজোয়
সময়ের স্রোতে বদলেছে অনেককিছুই।কিন্তু বদলায়নি পুজোর বেশ কিছু রীতিনীতি।রাধাঅষ্টমীতে খড়ের কাঠামোয় প্রথম মাটি লেপে দেওয়ার প্রক্রিয়া আজও নিয়ম মেনে তিথি ধরেই হয়।সেই সঙ্গ…
হোমে পাঁচ মন আমকাঠ পোড়ে সুতাহাটার দেববাড়ির দুর্গাপুজোয়
সময়ের স্রোতে বদলেছে অনেককিছুই।কিন্তু বদলায়নি পুজোর বেশ কিছু রীতিনীতি।রাধাঅষ্টমীতে খড়ের কাঠামোয় প্রথম মাটি লেপে দেওয়ার প্রক্রিয়া আজও নিয়ম মেনে তিথি ধরেই হয়।সেই সঙ্গে মায়ের তরবারি পুজো।ক্ষত্রিয় পরিবারের দুর্গা পূজা।তেজস্বীতা,বংশ মর্যাদার গরিমা-জৌলুস বংশপরম্পরায় চলে আসছে।সেই নিরিখে দেবী দুর্গা অভিজাত তেজস্বীয়ানার আবহে পূজিতা হন।তাই প্রথমে সাড়ে তিন ফুট লম্বা লোহার তরবারি পুজো করা হয়।পরে দেবী পুজো হয়।হলদিয়ার সুতাহাটা থানার অন্তর্গত জামালচক গ্রামের দেব বাড়ির দুর্গাপুজোয় এমনই রীতি আজও বহমান।রাজা যাদবরাম রায়ের জামাইবাড়ি।এক সময় দৌহিত্র সূত্রে ঘটা করে পুজোর আয়োজন রাজসিক আভিজাত্য জানান দিত।এখন সে সব রীতি নীতি বর্তমানে গল্পে ঠাঁই নিয়েছে।কিন্তু নিয়ম মেনে পুজোয় ক্ষত্রিয় ঘরানার ছোঁয়া রয়েছে।এবার পুজো ১৮৫ বছরে পা দিয়েছে।ষষ্ঠী থেকে পুজো পর্ব শুরু।সপ্তমীতে শুরু হয় হোম,চলে নবমীর বিকেল পর্যন্ত।রাত-দিন মিলে টানা তিনদিনের এই হোমে পাঁচ মন আমকাঠ পোড়ানো হয়।অষ্টমীতে ১০৮ পদ্মে পুজো এবং আরতি হয়।নবমীতে দেড় মন বাতাসার হরিনুট দেখতে আশেপাশের বেশ কয়েকটি গ্ৰামের মানুষ ভিড় করেন।বাড়ির প্রবীণ স্বপন দেব জানান,"আগের থেকে আড়ম্বর কমলেও নিয়ম মেনে পুজোটা হয়। ক্ষত্রিয় রীতিকে মান্যতা দিয়ে পুজোর আয়োজনে বাড়ির সকলেই হাত লাগায়।দু'বছর কোভিড কাটিয়ে এবার পুজো স্বমহিমায় ফিরছে।"সব মিলিয়ে দেববাড়ির দুর্গা পুজো এখন আভিজাত্যের আগল ভেঙে সার্বজনীন আবহের রঙ-মিলান্তিতে রূপান্তরিত হয়েছে।
No comments