Page Nav

HIDE

Grid Style

GRID_STYLE

Post/Page

Weather Location

Breaking News:

latest

ব্যবসায়ীর খাটের নীচে টাকার পাহাড়

ব্যবসায়ীর খাটের নীচে টাকার পাহাড়
মাত্র একটি মাসের ব্যবধান। ২২ জুলাইয়ের পর শনিবার আবারও ইডির তল্লাশিতে বিপুল নগদ উদ্ধারের সাক্ষী শহর কলকাতা। এবার গার্ডেনরিচ। এক ব্যবসায়ীর সাদামাটা বাড়ির খাটের নীচেই মিলল টাকার পাহাড়। সকাল থেকে রাত গ…

 


ব্যবসায়ীর খাটের নীচে টাকার পাহাড়


মাত্র একটি মাসের ব্যবধান। ২২ জুলাইয়ের পর শনিবার আবারও ইডির তল্লাশিতে বিপুল নগদ উদ্ধারের সাক্ষী শহর কলকাতা। এবার গার্ডেনরিচ। এক ব্যবসায়ীর সাদামাটা বাড়ির খাটের নীচেই মিলল টাকার পাহাড়। সকাল থেকে রাত গড়িয়ে যায় সেই নোট গুনতে। ১৪ ঘণ্টা বাদে জানা যায়, উদ্ধার হওয়া অর্থের অঙ্ক প্রায় ১৮ কোটি। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী আমির খান পলাতক। আটক করা হয়েছে তাঁর বাবা পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার আহমেদ খানকে। এদিনের ঘটনার সঙ্গে অবশ্য নিয়োগ দুর্নীতি কাণ্ডের কোনও যোগ নেই। একটি অনলাইন গেম জালিয়াতি মামলার তদন্তেই সকাল ৯টা নাগাদ আমিরের বাড়িতে হানা দেয় ইডি। পাশাপাশি কলকাতার আরও পাঁচটি জায়গায় চলে অভিযান। তার মধ্যে অন্যতম ম্যাকলয়েড স্ট্রিটে আরিফ রহমান নামের এক আইনজীবীর দু’টি বাড়ি। এছাড়া মোমিনপুরে এক বস্ত্র ব্যবসায়ীর বাড়ি, মেটিয়াবুরুজ, নিউটাউন ছিল তালিকায়।

আমিরের বাড়িতে প্রথমে দোতলার সমস্ত আলমারি হন্যে হয়ে খুঁজে শুধু নথি মেলে। এরপর হঠাত্ই  একটি ঘরে খাটের নীচে চোখ যায় তদন্তকারীদের। সেখানে ছিল চেন দিয়ে আটকানো প্রচুর চটের ব্যাগ।  প্রতিটির গায়ে সংখ্যা লেখা। ব্যাগ খুলতেই বেরিয়ে আসে ১০০, ২০০, ৫০০ ও ২০০০ টাকার বান্ডিল বান্ডিল নোট। খানিকক্ষণ বাদে আসে টাকা গোনার মেশিন ও ১০টি ট্রাঙ্ক। রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ শেষ হয় গণনা।  ততক্ষণে টাকার ট্রাঙ্ক দেখতে ভিড় জমে গিয়েছে বাড়ির বাইরে।

এত টাকা এল কোথা থেকে? ইডির বক্তব্য, তদন্ত চলছে। সূত্রের অবশ্য দাবি, এর একটা বড় অংশই এসেছে একটি অনলাইন গেমিং অ্যাপ জালিয়াতি থেকে। তবে উদ্ধার হওয়া অর্থের মধ্যে অন্যান্য সূত্র থেকে আসা কালো টাকাও রয়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পার্ক স্ট্রিট থানায় আমির খান সহ অন্যান্য ব্যক্তিদের নামে প্রতারণার অভিযোগ দায়ের করেন ফেডারেল ব্যাঙ্কের আধিকারিকরা। পরে ব্যাঙ্কশাল আদালতের চিফ মেট্রোপলিটান ম্যাজিস্ট্রেট মামলার তদন্তভার দেয় ইডিকে। কেন্দ্রীয় সংস্থার অভিযোগ, এক প্রভাবশালীর নির্দেশে কলকাতা পুলিস তদন্তে গা ছাড়া ভাব দেখিয়েছিল। অভিযুক্ত আমির ‘ই-নাগেটস’ নামের একটি মোবাইল গেমিং অ্যাপ তৈরি করে প্রতারণার ফাঁদ পেতেছিলেন। বিভিন্ন ব্যাঙ্কে বেনামে তাঁর শ’খানেকের মতো অ্যাকাউন্ট রয়েছে। একটিমাত্র অ্যাকাউন্ট আমির ও তাঁর আত্মীয়ের নামে। এছাড়া ৩০০-৪০০টি ওয়ালেটেরও খোঁজ মিলেছে। অ্যাকাউন্টগুলির ঠিকানা গার্ডেনরিচ, মেটিয়াবুরুজ ও মোমিনপুর অঞ্চলের। ইডি সূত্রে খবর, এখান থেকে মহারাষ্ট্র, বিহারে গিয়েছে টাকা। এমনকী বাংলাদেশ ও দুবাইতেও অর্থ পাঠানোর প্রমাণ হাতে এসেছে তদন্তকারীদের।

ইডি আধিকারিকদের আরও দাবি, প্রতিদিন ওই অ্যাপে ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকার খেলা হতো। সেই হিসেবে প্রতারণার অঙ্ক গিয়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় ১০০ কোটি টাকায়। তাহলে বাকি টাকা কোথায়? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে ইডি। আমিরের বাবার পরিবহণ ব্যবসার গত ১০ বছরের লেনদেন খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়াও ওই পরিবারের আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার হদিশ মিলেছে বলে খবর। এপ্রসঙ্গে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘যদি কেউ অন্যায় করে থাকেন, ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু এত তল্লাশি অভিযানের ফলে ভয়ের আবহ তৈরি হচ্ছে।’ সিপিএমের সুজন চক্রবর্তীর বক্তব্য, ‘রাজ্যে কালো টাকা উড়ে বেড়াচ্ছে।’ বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্যের অভিযোগ, নিসার খান শাসকদলের ঘনিষ্ঠ।

No comments