স্বাধীনতার ৭৫ বছর, সংগ্রামের ইতিহাস ও মাহাত্ম্য
ব্রিটিশ রাজের ২০০বছরের নিপীড়ন অত্যাচার, মানুষ হত্যা এমনকি নারী অত্যাচারের শেষ সীমায় দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ভোলার নয় একেবারেই। ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধের পর বা…
স্বাধীনতার ৭৫ বছর, সংগ্রামের ইতিহাস ও মাহাত্ম্য
ব্রিটিশ রাজের ২০০বছরের নিপীড়ন অত্যাচার, মানুষ হত্যা এমনকি নারী অত্যাচারের শেষ সীমায় দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অক্লান্ত পরিশ্রম ভোলার নয় একেবারেই। ১৭৫৭ সালের পলাশীর যুদ্ধের পর বাংলার শেষ স্বাধীন নবাব সিরাজদ্দৌলার পতনের পর থেকেই দেশে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির রাজ শুরু হয় এবং ১৮৫৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির থেকে ক্ষমতা হস্তান্তরিত হয় ব্রিটিশ রাজের হাতে। ব্রিটিশ শাসনে দেশে ব্যাপক বিরক্তি ও বিদ্রোহের জন্ম দেয়। ভারতের বুকে তখন থেকে চলেছে নিজের অধিকার ফিরে পাওয়ার লড়াই। বেশ কয়েকটি প্রতিশোধ এবং স্বাধীনতা আন্দোলনের দ্বারা ব্রিটিশ উপনিবেশবাদীদের দেশ ছাড়তে বাধ্য করার পথ ছিল বেশ কঠিন এবং দুর্গম। কারাবাস, মৃত্যুদণ্ড এবং ভারতজুড়ে সাহিত্য মহল, বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিকদের নিরন্তর লড়াই। দেশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা, স্বদেশের স্বপ্ন দেখানোর লক্ষ্যে ব্রতী হন অনেক দিগ্বিজয়ী মানুষ।। লর্ড মাউনটব্যাটেনকে ব্রিটিশ
পার্লামেন্ট কর্তৃক, ১৯৪৮ সালের ৩০জুনের মধ্যে ভারতের স্বাধীনতার আদেশ দেওয়া হলেও কাজটি ১৯৪৭
এর ১৫ অগস্ট সম্পন্ন করেন তিনি।সি রাজাগোপালচারীর স্মরণীয় কথায়,তিনি যদি অপেক্ষা করতেন, স্বাধীনতা
ক্ষমতা থাকত না। স্বাধীনতার আনন্দেরক্তের দাগ পড়ে দেশভাগের কারণে।বহু মানুষের মৃত্যু, দেশান্তর, উদ্বাস্তু সমস্যা বৃদ্ধি পায় তখন।
মাহাত্ম্য: স্বাধীনতার তাৎপর্য বলতে আদৌ যদি কিছু থেকে থাকে তবে এর সঙ্গে জড়িত দেশের প্রতিটি মানুষের জীবন এবং গণতান্ত্রিক প্রয়োগ সঙ্গে বাকস্বাধীনতা এবং প্রজাতন্ত্রের সঠিক সংগঠন বজায় কিনা সেই দিকে নজর দেওয়া। স্বাধীনতা দিবস তাৎপর্যপূর্ণ কারণ এটি ব্রিটিশ শাসন থেকে জাতির স্বাধীনতার জন্য লড়াই করা সংগ্রামীদের বীরত্ব এবং চেতনার স্মরণ দিবস। দিনটি জাতীয় গৌরব ও সম্মানের দিন হিসেবে স্বীকৃত, প্রধানমন্ত্রীরা প্রতি বছর লালকেল্লা থেকে পতাকা উত্তোলন এবং দেশকে সম্বোধন করেন। স্বাধীনতা দিবসের
একদিন আগে, দেশের রাষ্ট্রপতি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিনটি পালিত টেলিভিশনে ‘জাতির উদ্দেশে ভাষণ” হলেও, কোভিড মহামারির কারণে প্রদান করেন। গত বছরের মতো এবছরও উদযাপন সীমাবদ্ধ থাকবে। সমস্ত সামাজিক সারা দেশে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সীমাবদ্ধ থাকবে। সামাজিক কুচকাওয়াজ এবং পতাকা উত্তোলন দূরত্ব এবং সুরক্ষা নির্দেশিকা বজায় রেখে এই ঐতিহাসিক দিনের চেতনা উদযাপন করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাই ৭৫' এর স্বাধীনতায় রোগ থেকে অবশ্যই স্বাধীন থাকুন। স্বতন্ত্রতা উদযাপিত হক!
No comments